গো শালিক

পাখির প্রজাতি

গোশালিক বা গোবরে শালিক ভারতীয় উপমহাদেশদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একপ্রজাতির শালিক যার বৈজ্ঞানিক নাম (Gracupica contra)। এদের সমতলভূমি ও পাহাড়ের পাদদেশে খুব সহজেই দেখা মেলে। ভাতশালিকের মত এরাও মানুষের আশেপাশে থাকতে ভালবাসে। সেকারণে শহরে আর গ্রামেগঞ্জে অতি সহজেই এদের দেখা মিলে যায়। এরা বেশ উচ্চস্বরে ডাকে এবং ডাক বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সুরেলা।

গোশালিক/গোবরে শালিক
গো শালিক, রমনা উদ্যান, ঢাকা

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস
পরিবার: Sturnidae
গণ: Gracupica
প্রজাতি: G. contra
দ্বিপদী নাম
Gracupica contra
(লিনিয়াস, ১৭৫৮)
প্রতিশব্দ

Sturnus contra লিনিয়াস, ১৭৫৮

বর্ণনা

সম্পাদনা

গোশালিক সর্বোচ্চ ২৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।[] এদের ঠোঁট লম্বা এবং হলুদাভ, ঠোঁটের গোড়া লালাচে। কালো পুতির মতো দুটো চোখ এবং চোখের দু’পাশে, দু’ডানার পাশে লম্বা রেখার মতো সাদা পালক এদের আকর্ষণীয় করে তোলে। এদের বুকের পালক সাদা বা সাদাটে, লেজ পুরোটাই কালো রঙের। এছাড়া পিঠ, মাথা, গলার পালকের রং কালো।[] গোশালিকের স্ত্রী ও পুরুষে কোন ভিন্নতা নেই। অপ্রাপ্তবয়স্ক শালিকের গায়ের রঙ গাঢ় বাদামি।[] এরা বেশ ধীরলয়ে ওড়ে এবং ওড়ার ধরন অনেকটা প্রজাপতির মত।[] সম্পূর্ণ শ্বেতকায় গোশালিক দেখা গেছে, তবে তা হয়েছে জিনগত কারণে।[]

 
১৮৯০ সালে জোসেফ স্মিট অঙ্কিত তিনটি উপপ্রজাতির মস্তকচিত্র; G. c. contra (উপরে), G. c. superciliaris (মাঝে) এবং G. c. jalla (নিচে)

স্বভাব

সম্পাদনা
 
বাসা

গোশালিক খড়, শুকনো ঘাস, লতাপাতা ইত্যাদি দিয়ে আগোছালো বাসা বানায়। এরা মূলত পোকা মাকড় খেতেই বেশি ভালবাসে। এদের গোবরে শালিক নামকরণের অন্যতম কারণ এদের গরু, ঘোড়া অন্যান্য পশুর গোবর ঘেঁটে পোকা মাকড় খেতেই দেখা যায় বেশি।[]

গ্যালারি

সম্পাদনা

জীবন ও সাহিত্যে

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. BirdLife International (২০০৯)। "Sturnus contra"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 3.1প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১১ 
  2. "জনবসতির আশপাশে থাকতেই বেশি পছন্দ,এখন দেখা মেলে না: হারিয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির শালিক"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ১৬ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. Rasmussen, P.C.; Anderton, J.C. (২০০৫)। Birds of South Asia. The Ripley Guide. Volume 2। Washington DC and Barcelona: Smithsonian Institution and Lynx Edicions। পৃষ্ঠা 583। 
  4. Freare, Chris (১৯৯৮)। Starlings and Mynas। London: Croom Helm। পৃষ্ঠা 167–168। আইএসবিএন 071363961X  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  5. Inglis, CM (১৯০৪)। "The birds of the Madhubani sub-division of the Darbhanga district, Tirhut, with notes on species noticed elsewhere in the district. Part VIII."J. Bombay Nat. Hist. Soc.16 (1): 70–75। 

অন্যান্য উৎস

সম্পাদনা
  • Ray,D (1972) Pied Myna Sturnus contra in Delhi. Newsletter for Birdwatchers. 12(10):11.
  • Narang,ML; Lamba,BS (1976) On the feeding-time and feeding-area preference of Indian Pied Myna, Sturnus contra Linn. Newsl. Zool. Surv. India 2(3), 83–86.
  • Gupta,AP (1982) About the distribution of birds. Newsletter for Birdwatchers. 22(2):10
  • Saini,Harjeet K; Chawla,Geeta; Dhindsa,Manjit S (1995): Food of Pied Myna Sturnus contra in the agroecosystem of Punjab. Pavo 33(1&2):47–62.
  • Chawla,G (1993) Ecological studies on the Pied Myna (Sturnus contra) in an intensively cultivated area. M.Sc. Thesis, Punjab Agricultural University, Ludhiana.
  • Gupta, SK & BR Maiti (১৯৮৬)। "Study of atresia in the ovary during the annual reproductive cycle and nesting cycle of the pied myna"। Journal of Morphology190 (3): 285–296। ডিওআই:10.1002/jmor.1051900305 
  • Gupta SK and B. R. Maiti (১৯৮৭)। "The male sex accessories in the annual reproductive cycle of the Pied Myna Sturnus contra contra"। J. Yamashina Inst. Ornithol.19: 45–55। ডিওআই:10.3312/jyio1952.19.45 
  • Islam, M.S. (২০০১)। "Southward Migration of Shorebirds in the Ganges Delta, Bangladesh" (পিডিএফ)The Stilt39 (31–36): 34। ২৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

  উইকিমিডিয়া কমন্সে গোশালিক সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।