গোলাম কাসেম
গোলাম কাসেম (৫ নভেম্বর ১৮৯৪ - ৯ জানুয়ারি ১৯৯৮) ওরফে ড্যাডি বাংলাদেশের তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত এবং বর্তমান বাংলাদেশের প্রবীণতম আলোকচিত্রী এবং প্রথম বাঙ্গালী মুসলমান ছোট গল্পকার।[১]
গোলাম কাসেম Golam Kasem | |
---|---|
![]() গোলাম কাসেম ড্যাডি’র মুখচ্ছবি | |
জন্ম | জলপাইগুড়ি, ভারত | ৫ নভেম্বর ১৮৯৪
মৃত্যু | ৯ জানুয়ারি ১৯৯৮ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ১০৩)
জাতীয়তা | ![]() |
অন্যান্য নাম | ড্যাডি |
পেশা | আলোকচিত্রী, ছোট গল্পকার |
কর্মজীবন | ১৯১২ |
পরিচিতির কারণ | প্রবীণতম আলোকচিত্রী এবং প্রথম বাঙ্গালী মুসলমান ছোট গল্পকার |
প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা
গোলাম কাসেম ভারতের জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরেই মাতার মৃত্যু হয়। তিনি তার খালার কাছে বড় হন। [২] গোলাম কাসেম নিঃসন্তান ছিলেন।
শিক্ষা জীবনসম্পাদনা
তিনি হাওড়া থেকে ১৯১২ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। হাওড়া রিপন, সিটি ও সেন্ট জেভয়ার্স কলেজ থেকে আই এ পাশ। ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগ দানের কারণে লেখাপড়া সমাপ্ত হয়ে যায় এখানেই।
কর্মজীবনসম্পাদনা
গোলাম কাসেম ১৯১৯ সালে সাব রেজিষ্টার পদে যোগদান করেন। সেখানে তার সর্বশেষ পদবী ছিলো ডেপুটি রেজিষ্ট্রার ভূমি। ফটোগ্রফিতে হাতে খড়ি হয় ১৯১২ সাল। পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম ফটোগ্রাফি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রপিক্যাল ইন্সটিটিউট অব ফটোগ্রাফি ১৯৫১ সালে প্রতাষ্ঠিা করেন। ফটোগ্রাফি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি মাত্র দু’বছর চালু ছিল। ১৯৬৩ সালে ক্যামেরা রিক্রিয়েশন ক্লাব নামে একটি ফটোগ্রফি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই ক্লাবটি ইন্দিরা রোডের গোলাম কাশেম ড্যাডির নিজস্ব বাস ভবন থেকে পরিচালিত হত।[৩]
তাঁকে বলা হয় ফটোগ্রাফির ’ড্যাডি’। তাঁর হাত ধরে পূর্ববঙ্গে ফটোগ্রাফি শিক্ষাচর্চা শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে লিখেন ’ক্যামেরা’ নামে ফটোগ্রাফিবিষয়ক গ্রন্থ। ১৯১৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফ্যানট্রি কোরের সদস্য হিসেবে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং মহাসমরের দুর্লভ স্থিরচিত্র ধারণ করেন।
প্রকাশনাসম্পাদনা
গোলাম কাসেম এর লিখা ছোটগল্প সওগাত পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হতো। তাকে প্রথম বাঙ্গালী মুসলমান ছোট গল্পকার বলা হয়। পরবর্তিতে আলোকচিত্র নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ছোটগল্পের আলাদা কোন বই প্রকাশ করতে পারেন নি। তবে ফটোগ্রাফি নিয়ে লিখেছেন একাধিক বই। যার মধ্যে রয়েছে ১৯৭১ সালে প্রকাশিত ক্যামেরা, ১৯৮৬ সালে ক্যামেরা রিক্রিয়েশন ক্লাব কর্তৃক প্রকাশিত এক নজরে ফটোগ্রাফী এবং ২০০২ সালে পাঠশালা দৃক কর্তৃক প্রকাশিত সহজ আলোকচিত্রণ।
পাঠক সমাবেশ থেকে সাহাদাত পারভেজের সংগ্রহ, গবেষণা ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় তিন খণ্ডের ‘ড্যাডিসমগ্র’।
অর্জনসম্পাদনা
- সম্মান সূচক ফেলো, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (ফটোগ্রাফি)
- সম্মান সূচক ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ফটোগ্রাফিক কাউন্সিল অর্জন (ফটোগ্রাফি)
- নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক (সাহিত্য)
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Photographer :: Golam Kasem Daddy"। drik.net। Drik Picture Agency।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ আমার আত্মজীবনী, নিউজলেটার, বিপিএস। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি। ডিসেম্বর, ১৯৮৬। পৃষ্ঠা ৮। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য); - ↑ "মরহূম গোলাম কাসেম ড্যাডি"। ফটোগ্রাফি, (রজত জয়ন্তী): ৬। জানুয়ারি, ২০০২। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য);