গোমস্তাপুর গণহত্যা

গোমস্তাপুর গণহত্যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে স্থানীয় চিহ্নিত রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি দখলদারি সেনাবাহিনী দ্বারা বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানাসংলগ্ন খাল পাড়ে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার বাঙালি হিন্দুদের উপর সংগঠিত হত্যাকান্ডকে বোঝায়। ১৯৭১ সালের ২৩ শে এপ্রিলের এই হত্যাকাণ্ডে ৩৫ জন বাঙ্গালী হিন্দুকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়।[১][২]

গোমস্তাপুর গণহত্যা
গোমস্তাপুর গণহত্যা বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
গোমস্তাপুর গণহত্যা
স্থানচাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, বাংলাদেশ
স্থানাংক২৪°৩১′ উত্তর ৮৮°১০′ পূর্ব / ২৪.৫২° উত্তর ৮৮.১৭° পূর্ব / 24.52; 88.17
তারিখ২৩ এপ্রিলে ১৯৭১ (ইউটিসি+৬:০০)
লক্ষ্যবাঙ্গালী হিন্দু
হামলার ধরনগণহত্যা
ব্যবহৃত অস্ত্ররাইফেল
নিহত৩৫ জন পুরুষ
হামলাকারী দলপাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার

হত্যাকাণ্ডসম্পাদনা

২৩শে এপ্রিল ১৯৭১ শুক্রবার দুপুর ১২টায় গোমস্তাপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মিলিটারী অপারেশন শুরু করে। গোমস্তাপুর থানার নিকটবর্তী বাজারপাড়া হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে থেকে ৩১ জন পুরুষকে ধরে নিয়ে আসে এবং সমস্ত গ্রামে তান্ডব করার পর পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। বন্দি হিন্দু ব্যক্তিদের থানার পিছন দিকে মহানন্দা নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে ১৫ ও ১৬ জনের দুটি সারিতে ভাগ করে। ১৫ জনের প্রথম দলটিকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। এরপর অপর দলটির ১৬ জনকেও ঐ একইভাবে গুলি করে হত্যা করে। ব্রাশফায়ার করে হত্যা করার পর মৃত দেহ গুলিকে পেট্রোল দিয়ে জ্বালাবার নির্দেশ দিলে মৃত ৩১ জনের মধ্য থেকে অমিল কর্মকার নামে এক ব্যক্তি পুড়িয়ে দেওয়ার ভয়ে লাফিয়ে ওঠে। তৎক্ষণাৎ তাকেও গুলি করে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী।[১][৩]

ভবিষ্যৎ ফলসম্পাদনা

স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় একটি স্মৃতি মন্দির তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক বছর এই দিনটি মৃতদের উদ্দেশ্যে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।[১][৪]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "১৯৭১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গণহত্যা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৫ 
  2. "বধ্যভূমির গদ্য (Unicoded) Part 2"সংগ্রামের নোটবুক (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৫ 
  3. Nobel (২০১৭-০১-০৯)। "রাজশাহী বিভাগের গণহত্যা ও নির্যাতনের বিবরণ"যুদ্ধদলিল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "১৯৭১ সালে গোমস্তাপুরে সংঘটিত হিন্দু গণহত্যা ঘটনায় স্মরণসভা"। ২১ এপ্রিল ২০১৭।