গোপালপুর দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা

গোপালপুর দারুল উলুম কামিল মাদরাসা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার একটি উল্লেখযোগ্য আলিয়া মাদ্রাসা।[১][২] এটি ১৯৬৪ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসাটি ঢাকা বিভাগের মধ্যে ভালো ফলাফল করে থাকে।[৩] মাদ্রাসাটির দাখিল ও আলিম স্তর বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক পরিচালিত হয়, আর ফাজিল ও কামিল স্তর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত হয়।[৪] এই মাদ্রাসাটি প্রতিবছর দাখিল থেকে কামিল পর্যন্ত সব পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৫] মাদ্রাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নাম মাওলানা সরাফত উল্লাহ।[৬]

গোপালপুর দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা
মাদ্রাসার লোগো
ধরনএমপিও ভুক্ত
স্থাপিত১ জানুয়ারি ১৯৬৪; ৬০ বছর আগে (1964-01-01)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬- ২০১৬)
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান)
অধ্যক্ষমাওলানা সরাফত উল্লাহ
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তিবাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
শিক্ষার্থীআনু. ৯০০
অবস্থান, ,
শিক্ষাঙ্গনগ্রাম্য
EIIN সংখ্যা১১৪২৫০
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন
এমপিও সংখ্যা৪২০৫০৯২৩০১
ওয়েবসাইটhttp://114250.ebmeb.gov.bd/

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায় ইসলামি আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটানোর প্রয়োজন অনুভব করেন স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। সেই প্রেক্ষিতেই এই মাদ্রাসাটি স্থাপন করা হয়। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি অত্র অঞ্চলে ইসলামি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পরে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে। এরপরে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে দাখিল ও আলিম শ্রেণী চালু করা হয়। এরপর ২০০৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২০০৬ সালের সংশোধনীতে ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাগুলোকে অধিভুক্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এরপরে মাদ্রাসাটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধিভুক্তি লাভ করে। এরপরে ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করলে, এটি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়।

শিক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনা

হয়বতনগর এ.ইউ কামিল মাদরাসাটিতে কামিল স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তিনটি বিভাগ চালু রয়েছে। মাদ্রাসাটিতে দাখিল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায় কামিল শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।

১। কামিল হাদিস

২। কামিল ফিকহ

৩। কামিল তাফসির

এছাড়াও ফাযিল স্নাতক পর্যায়ে পাস কোর্স ছাড়াও ফাযিল স্নাতক সম্মান পর্যায়ে আল-কোরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালূ আছে।

মাদ্রাসার ফলাফল সম্পাদনা

মাদ্রাসার ফলাফল সর্বদাই ভালো হয়ে থাকে।[৭] পাশের হার প্রায়ই ৯৯% বা ১০০% হয়ে থাকে।

পরীক্ষার সাল জেডিসি দাখিল আলিম
পরীক্ষার বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাসকরা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাসের হার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাসকরা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাসের হার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাসকরা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাসের হার
২০২২ ০.০০ ৪১ ৪১ ৩৭ ৯০.২৪ ৭৪ ৭৩ ৭১ ৯৭.২৬
২০২১ ৫৪ ৫৪ ৫৪ ১০০.০০ ৩৯ ৩৮ ৩৩ ৮৬.৮৪ ১৩১ ১২৮ ১২০ ৯৩.৭৫
২০২০ ৫৩ ৫৩ ৫৩ ১০০.০০ ৩৩ ৩৩ ৩২ ৯৬.৯৭ ৫৪ ৫৪ ৫৪ ১০০.০০
২০১৯ ৫০ ৪৯ ৪৬ ৯৩.৮৮ ৪৭ ৪৭ ৪৭ ১০০.০০ ৬১ ৬০ ৫৬ ৯৩.৩৩
২০১৮ ৪২ ৩৬ ৩৬ ১০০.০০ ৩৫ ৩৫ ২১ ৬০.০০ ২১১ ২০৯ ২০৬ ৯৮.৫৬
২০১৭ ৩৭ ৩৭ ৩৭ ১০০.০০ ৩১ ৩১ ৩১ ১০০.০০ ১৮৬ ১৮৫ ৯৮ ৫২.৯৭
২০১৬ ৪২ ৪২ ৪২ ১০০.০০ ৪৪ ৪৪ ৪৪ ১০০.০০ ১৫৫ ১৫৫ ১৪৩ ৯২.২৬
২০১৫ ৪৩ ৪৩ ৪২ ৯৭.৬৭ ৪০ ৪০ ৩৯ ৯৭.৫০ ১১৭ ১১৭ ১১৪ ৯৭.৪৪
২০১৪ ৩৫ ৩৫ ৩৫ ১০০.০০ ৪৯ ৪৯ ৪৮ ৯৭.৯৬ ১৬৯ ১৬৭ ১৬৬ ৯৯.৪০
২০১৩ ৪৩ ৪৩ ৪২ ৯৭.৬৭ ৩৪ ৩৪ ৩৩ ৯৭.০৬ ৯৫ ৯৫ ৯৩ ৯৭.৮৯
২০১২ ৩৪ ৩৪ ৩৪ ১০০.০০ ৪১ ৪১ ৪০ ৯৭.৫৬ ১৪১ ১৩৯ ১৩১ ৯৪.২৪
২০১১ ৫৪ ৫৪ ৫১ ৯৪.৪৪ ৫৭ ৫৬ ৫২ ৯২.৮৬ ১০৫ ১০৫ ৯২ ৮৭.৬২
২০১০ ৪৫ ৩৯ ৩৮ ৯৭.৪৪ ৩৭ ৩৭ ৩৬ ৯৭.৩০ ১১৮ ১১৮ ১০৪ ৮৮.১৪

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Gopalpur Darul Ulum Kamil Madrasah - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৩ 
  2. "মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নিয়োগ নোটিশ" (পিডিএফ)মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৩ 
  3. "মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে সেরা ২০"www.risingbd.com। ২০১৫-০৫-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৩ 
  4. "কামিল পরীক্ষার কেন্দ্র ঘোষণা" (পিডিএফ)ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৩ 
  5. "গোপালপুরে এস.এস.সি ও সমমান পরীক্ষার্থী ৩৭৯১জন"ভোরের বাংলাদেশ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৯-১৪। ২০২৩-০৭-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৩ 
  6. Sayon, Sahadev Sutradhar। "গোপালপুরে দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা তথ্য আপার উঠান বৈঠক"amadertangail24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৩ 
  7. "গোপালপুরে কামিল মাদ্রাসা দাখিল পরীক্ষার্থীর বিদায়"টাঙ্গাইল প্রতিদিন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৩