গরিমা চৌধুরী (জন্ম ২রা এপ্রিল ১৯৯০) হলেন একজন ভারতীয় জুডো খেলোয়াড় । তিনি ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে মহিলাদের প্রতিযোগিতায় ৬৩ কেজি বিভাগে ভারতের একমাত্র জুডোকা ছিলেন।[১][২]

গরিমা চৌধুরী
ব্যক্তিগত তথ্য
জাতীয়তাভারতীয়
জন্ম (1990-04-02) ২ এপ্রিল ১৯৯০ (বয়স ৩৪)
মিরাট, উত্তরপ্রদেশ, ভারত
ওজন৬২ কেজি (১৩৭ পা)
ক্রীড়া
দেশ ভারত
ক্রীড়াজুডো
প্রশিক্ষকজে জি শর্মা, এ সি সাক্সেনা
পদকের তথ্য
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
দক্ষিণ এশীয় গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০১৯ কাঠমান্ডু/পোখারা ৭০ কেজি
১০ই আগস্ট ২০১২ তারিখে হালনাগাদকৃত

শৈশব এবং প্রাথমিক প্রশিক্ষণ সম্পাদনা

একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে গরিমা জন্মগ্রহণ করেছেন। শৈশব থেকেই খেলাধুলার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল। তিনি কাবাডি, অ্যাথলেটিক্স এবং ক্রিকেটের মতো খেলাধুলায় পারদর্শী ছিলেন। গরিমার বাবা যখন তাঁর শিক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন, তাঁর মা তখন তাঁকে খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ দিতে থাকেন। তিনি প্রাথমিকভাবে তাঁর জন্মস্থান উত্তর প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। রাজ্যের ক্রীড়া সংস্থা থেকে উপযুক্ত সমর্থনের অভাবের কারণে, তিনি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় হরিয়ানার প্রতিনিধিত্ব করতে শুরু করেছিলেন।[৩]

২০০৪ সাল থেকে, চৌধুরী পাতিয়ালা -ভিত্তিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টসে জীবন শর্মা এবং দিব্যা শর্মার সাথে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তাঁকে ছেলেদের সঙ্গে অনুশীলন করতে হয়েছে। গরিমা এটিকে প্রশিক্ষণের একটি ভাল উপায় বলে মনে করেন।[৩] শর্মা বলেছেন যে আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম এবং বিজয়ী মনোভাবের মতো গুণাবলী হল গরিমার শক্তি।[৪]

২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক সম্পাদনা

তিনি প্যারিসে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালের বিশ্ব জুডো চ্যাম্পিয়নশিপে এবং বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যাতে ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে তাঁর যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন। তাসখন্দে অনুষ্ঠিত ২০১২ এশিয়ান জুডো চ্যাম্পিয়নশিপে, তিনি ৬৩ কেজি বিভাগে সপ্তম স্থান অধিকার করেন।[৫][৬] তাঁর প্রদর্শনের ফলস্বরূপ, তিনি ৩৪ পয়েন্ট অর্জন করেন এবং লন্ডন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা অর্জন করেন।[৫]

অলিম্পিকের প্রস্তুতির জন্য গরিমা জার্মানিফ্রান্সে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি আরও প্রতিযোগিতা-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁর প্রতিপক্ষদের সম্বন্ধে অধ্যয়ন করেছেন এবং নির্দিষ্ট দক্ষতার দিকগুলিতে মনোনিবেশ করেছেন।[৪]

২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে মহিলাদের ৬৩ কেজি বিভাগে, প্রথম অপনয়ন (এলিমিনেশন) রাউন্ডে গরিমা ৮১ সেকেন্ডের মধ্যেই ইয়োশি উয়েনোর কাছে ইপ্পনের (জাপানী মার্শাল আর্টে একজন খেলোয়াড়ের অর্জিত সর্বোচ্চ পয়েন্ট) মাধ্যমে পরাজিত হন।[৭] যদিও এটি অলিম্পিকে তাঁর চ্যালেঞ্জের অবসান ঘটিয়েছিল, তবুও ভারতের ক্রীড়া প্রশাসকরা মনে করেছিলেন যে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমস এবং ইনচিওন এশিয়ান গেমস - উভয় ক্রীড়াতেই ২০১৪ সালে তাঁর একটি ভালো পদক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।[৫]

২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে, গরিমা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন।[৮]

২০১৯ সালে দক্ষিণ এশীয় গেমসে, তিনি মহিলাদের ৭০ কেজি ওজন বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Indo-Asian News Service (৩১ জুলাই ২০১২)। "Olympics 2012: India's sole judoka knocked out"Daily News and Analysis। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১২ 
  2. "Garima Chaudhary - Judo - Olympic Athlete"London Organising Committee of the Olympic and Paralympic Games। ৩০ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১২ 
  3. Sharma, Arun (১৮ জুলাই ২০১২)। "I've sometimes had to fight against boys to train"The Times of India। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১২ 
  4. Rizvi, Taus (২০ জুলাই ২০১২)। "Being an underdog is a blessing, says Garima Chaudhary"Daily News and Analysis। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১২ 
  5. "India's lone judoka Garima confident of good show"The Indian Express। ১৬ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১২ 
  6. "JUA Continental Championships 2012 - Results" (পিডিএফ)International Judo Federation। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১২ 
  7. PTI (৩১ জুলাই ২০১২)। "London Olympics: Judoka Garima knocked out by Japanese Ueno"The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৮ 
  8. "Glasgow 2014 - Garima Choudhary Profile"g2014results.thecgf.com। ২০১৯-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা