খৈয়াছড়া ঝর্ণা

বাংলাদেশের জলপ্রপাত

খৈয়াছড়া ঝর্ণা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের পাহাড়ে অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। মীরসরাই উপজেলায় অবস্থিত অন্যান্য জলপ্রপাত যেমন কমলদহ ঝর্ণা, নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা, সহস্রধারা ঝর্ণা, ঝরঝরি ঝর্ণা প্রভৃতির তুলনায় খৈয়াছড়া ঝর্ণা ও এর ঝিরিপথ অন্যতম বৃহৎ।[১] খৈয়াছড়া ঝর্ণায় মোট ৯টি বড় ঝর্ণার ধাপ (তথা ক্যাসকেড) ও অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ধাপ রয়েছে।[২][৩] মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নে ঝর্ণারটির অবস্থানের কারণে ঝর্ণাটির নামকরণ করা হয়েছে "খৈয়াছড়া ঝর্ণা"।

খৈয়াছড়া ঝর্ণা
খৈয়াছড়া জলপ্রপাত
খৈয়াছড়ার ঝর্ণার ২য় ক্যাসকেড
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 393 নং লাইনে: স্থানাঙ্কের মান বিকৃত।
লুয়া ত্রুটি মডিউল:মানচিত্রের_কাঠা এর 318 নং লাইনে: attempt to perform arithmetic on local 'lat_d' (a nil value)।
অবস্থানমীরসরাই উপজেলা, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২২°৪৬′১০″ উত্তর ৯১°৩৬′৪৩″ পূর্ব
ধরনবিভক্ত
ঝরার সংখ্যা

অবস্থান সম্পাদনা

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর পার্শ্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪.২ কিলোমিটার পূর্বে এই ঝর্ণার অবস্থান।[৪] ঝর্ণাটির অবস্থান পাহাড়ের ভেতরের দিকে হওয়ায় সরসরি কোন যানবাহন ব্যবহার করে ঝর্ণাটির পাদদেশ পর্যন্ত পৌছানো সম্ভব হয় না। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক পাশ থেকে পায়ে হেঁটে কিংবা স্থানীয় যানবাহন (যেমনঃ সিএনজি) ব্যবহার করে ঝর্ণাটির কাছাকাছি গ্রামে পৌছানো সম্ভব। কিন্তু পাহাড়ের পাদদেশের গ্রামের ভিতর দিয়ে ঝর্ণার মূল ধারা পর্যন্ত পৌছানোর বাকি পথের জন্য কোন যানবাহনের ব্যবস্থা নেই, শুধুমাত্র পায়ে হেটে পৌছানো সম্ভব।[২][৩]

ইতিহাস সম্পাদনা

ধারণা করা হয় প্রায় ৫০ বছর আগে থেকেই প্রবাহিত হচ্ছে খৈয়াছড়া ঝর্ণাটি।[৫] জনমানহীন পাহাড়ি এলাকা এবং ঝোপ ঝাড়ের আধিক্যের জন্য এটির অবস্থান আবিষ্কারে সময় লেগেছে। আবার অনেকে ধারণা করেন প্রায় ৫০ বছর আগে পাহাড়ি ঢলের ফলে এই ঝর্ণাটি তৈরি হয়েছে, এর পূর্বে এখানে ঝর্ণাটি ছিল না।[৬]

২০১০ সালে সরকার বারৈয়াঢালা ব্লক থেকে কুণ্ডের হাট (বড়তাকিয়া) ব্লকের ২৯৩৩.৬১ হেক্টরর পাহাড়কে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করায় খৈয়াছড়া ঝর্ণা জাতীয় উদ্যানের আওতাভুক্ত হয়।[৬]

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের "রামগড়-সীতাকুন্ড- রিজার্ভ ফরেস্টের" খৈয়াছড়া ঝর্ণাকে কেন্দ্র করে ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যার অন্যতম মূল লক্ষ্য হল খৈয়াছড়া ঝর্ণার সংরক্ষণ।[৭]

গ্যালারি সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সবুজ পাহাড়ের বুনো ঝর্ণা "খৈয়াছড়া""Protikhon। ২০১৭-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৩ 
  2. Times, The Dhaka (২০১৪-০৯-১১T২০:০২:৪৩+০৬:০০)। "ঘুরে আসুন দেশের বৃহৎ ঝর্ণা খৈয়াছড়া থেকে - The Dhaka Times"The Dhaka Times-US। সংগ্রহের তারিখ 2017-08-23  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  3. "BD Travellers-US"। ২০১৭-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৩ 
  4. "পাহাড়ের গহীণে প্রকৃতির এক বিস্ময় 'খৈয়াছড়া জলপ্রপাত'"। পূর্বকোণ। বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ২০১৪-০৯-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-০৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. "হাতছানি দেয় খৈয়াছড়া ঝর্ণা"। ইত্তেফাক। ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ইং।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  6. "প্রিয় গন্তব্য: মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা"প্রিয়.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৩ 
  7. "বারৈঢালা জাতীয় উদ্যানের ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্প"http://www.dainikpurbokone.net। ১৪ মে ২০১৭। ২০১৭-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২৩  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা