খুররম খান পন্নী

ভারতীয় রাজনীতিবিদ

খুররম খান পন্নী পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের চিফ হুইপ এবং পাকিস্তানে সাবেক রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

খুররম খান পন্নী
পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের চিফ হুইপ
কাজের মেয়াদ
১৯৬২ – ১৯৬৫
কেনিয়ায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার
কাজের মেয়াদ
১৯৬৩
পূর্বসূরীআমজাদ আলী খান নুন
উত্তরসূরীহামিদ রাজা গিলানি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯২১
মৃত্যু১৯৯৭ (বয়স ৭৫–৭৬)
রাজনৈতিক দলমুসলিম লীগ
সন্তানমোরশেদ আলী খান পন্নী
ওয়াজিদ আলী খান পন্নী

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা সম্পাদনা

খুররম খান পন্নী ১৯২১ সালে করটিয়ার জমিদার নামে পরিচিত বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা, মাসুদ আলী খান পন্নী, পন্নী উপজাতির একজন পশতুন বংশোদ্ভূত ছিলেন, যিনি ১৬ শতকে আফগানিস্তান থেকে বাংলায় চলে এসেছিলেন এবং পরিবারটি বাংলাদেশেই সাংস্কৃতিকভাবে আত্তীকৃত হয়েছিল।

তিনি সেন্ট পলস স্কুল, দার্জিলিং, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুল এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।[১]

কর্মজীবন সম্পাদনা

পন্নী পূর্ব বাংলার আইনসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন কিন্তু ২১ বছরের কম বয়সী হওয়ায় তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল[১]

পন্নী ১৯৪৯ সালের এপ্রিলের নির্বাচনে টাঙ্গাইল থেকে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে সাবেক মুসলিম লীগ রাজনীতিবিদ শামসুল হকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৪৯ সালের ২৬ এপ্রিল নাগরপুর, মির্জাপুর ও বাসাইলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তিনি হকের কাছে হেরে যান।[২][৩]

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পন্নী হেরে যান।[১]

১৯৬২ সালে, পন্নী পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হন এবং ক্ষমতাসীন দলের হুইপ হন।[১]

১৯৬৩ সালে, পন্নী কেনিয়ায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।[৪]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, পন্নী[৫] ফিলিপাইনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাথে আরও দুই বাঙালি পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আব্দুল মমিন এবং আবুল ফতেহকে নিয়ে তিনি যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন।[৬]

১৯৭৪ সালে, পন্নী ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।[৭] তিনি ১৯৭৫ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং সিয়াটল, ওয়াশিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।[১]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

পন্নী করটিয়া জমিদারির জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর নাতি ছিলেন। তাঁর মাতামহ ছিলেন আবদুল হালিম গজনভী, যার জন্য তিনি একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করতেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Muktijuddho (Bangladesh Liberation War 1971) - Bengali Ambassadors par excellence - History of Bangladesh"Londoni (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৪-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-৩০ 
  2. "Birth of AL: Funds from sale of pens, watches paved the way"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১০-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-৩০ 
  3. Umar, Badruddin (২০০০)। Language Movement in East Bengal (ইংরেজি ভাষায়)। Jatiya Grontha Prakashan। পৃষ্ঠা 51–53। আইএসবিএন 978-984-560-094-1 
  4. Assembly, Pakistan National (১৯৬৪)। Debates: Official Report (ইংরেজি ভাষায়)। Manager of Publications.। পৃষ্ঠা 87। 
  5. State, United States Department of (১৯৭১)। United States Foreign Policy, 1969-1970: A Report of the Secretary of State (ইংরেজি ভাষায়)। Superintendent of Documents, U.S. Government Office। পৃষ্ঠা 519। 
  6. "The Daily Star Web Edition Vol. 5 Num 1141"archive.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-৩০ 
  7. Daily Report: Asia & Pacific (ইংরেজি ভাষায়)। The Service। ১৯৭৪।