খড়্গপুর
[১]খড়্গপুর (ত) ভারতের একটি শিল্প নগরী। এটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত। মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠানের (আইআইটি) প্রথম ক্যাম্পাসের জন্যে খড়্গপুরকে চয়ন করা হয়েছিল। আইআইটিগুলি ভারতের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তারা আন্তর্জাতিকভাবে কেতাবি এবং প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব দ্বারা স্বীকৃত।
খড়্গপুর মিনি ইন্ডিয়া | |
---|---|
নগরী | |
খড়গপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন | |
স্থানাঙ্ক: ২২°১৯′৪৯″ উত্তর ৮৭°১৯′২৫″ পূর্ব / ২২.৩৩০২৩৯° উত্তর ৮৭.৩২৩৬৫৩° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | পশ্চিম মেদিনীপুর |
সরকার | |
• পৌরসভার চেয়ারম্যান | প্রদীপ সরকার (সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস) |
আয়তন | |
• মোট | ১২৭ বর্গকিমি (৪৯ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬১ মিটার (২০০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩,৭২,৩৩৯ |
• জনঘনত্ব | ২,৯০০/বর্গকিমি (৭,৬০০/বর্গমাইল) |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারী | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | ভাপ্রস (ইউটিসি+৫:৩০) |
ডাক সূচক সংখ্যা | ৭৩২৩০১ /৭২১৪০৪ |
এসটিডি কোড | ০৩২২২ |
যানবাহন নিবন্ধন | ডব্লিউ বি-৩৪-xxxx |
লোকসভা কেন্দ্র | মেদিনীপুর |
বিধানসভা কেন্দ্র | খড়্গপুর সদর |
ওয়েবসাইট | paschimmedinipur |



এছাড়াও খড়্গপুরে বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম রেলপথ প্ল্যাটফর্ম [১০৭২,৫ মিটার] এবং ভারতবর্ষের বৃহত্তম রেল কর্মশালা আছে। খড়্গপুরের দমদমা নামে একটি সুবিস্তৃত ৪০ ফুটের টিলা ছিল। বেঙ্গল নাগপুর রেলের জংশন পরিকল্পনার সময় টিলার চুড়ায় গাছপালা বিশেষ ছিল না ও লাল রঙের দেখাত। তার ওপরের অংশ ভেঙে তার ওপরে রেল কর্মশালা করা হয়েছিল। খড়্গপুরের কলাইকুন্ডায় দেশের প্রথম ভূতল বায়ু সেনাবাহিনীর ঘাঁটি আছে এবং আরেকটি বায়ু সেনাবাহিনীর ঘাঁটি সালুয়ায় অবস্থিত।
ইতিহাস সম্পাদনা
খড়্গপুর নামটি খড়্গপুরে অবস্থিত, খড়গেশ্বর নামক একটি পুরানো শিব মন্দিরের নাম থেকে প্রাপ্ত৷ মন্দিটি খড়্গ পাল সিং দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং তারই নামে মন্দিটির নামকরণ করা হয়৷ খড়্গপুরে বিভীন্ন পৌরাণিক স্থানের অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে৷ পঞ্চপান্ডবের রাজকুমারেরা তাদের প্রত্যাবাসন-কালের কিছুটা অংশ (কয়েক বৎসর) এখানে কাটিয়েছিলেন।
খড়্গপুর মল্লভূম রাজবংশের দ্বাদশ রাজা খড়গ মল্লের কাছ থেকে এর নাম লাভ করে, যখন তিনি এটি জয় করেন। [6][7] খড়গপুর হিজলি রাজ্যের একটি অংশ ছিল এবং ওড়িশার গজপতি রাজাদের অধীনে সামন্ত হিসেবে হিন্দু ওড়িয়া শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। ঐতিহাসিকদের দাবি, ষোড়শ শতাব্দীতে খড়গপুর তখনও ঘন জঙ্গলে ঘেরা একটি ছোট গ্রাম ছিল। গ্রামটি ছিল উঁচু পাথুরে অনুর্বর জমিতে। খড়্গপুরের কাছে একমাত্র জনবসতি ছিল হিজলি। হিজলী ছিল বঙ্গোপসাগরের ব-দ্বীপে রসুলপুর নদীর তীরে একটি ছোট দ্বীপ গ্রাম। এটি 1687 সালে একটি বন্দর শহরে বিকশিত হয়। হিজলিও একটি প্রদেশ ছিল এবং এটি 1886 সাল পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। এটি বাংলা ও উড়িষ্যার কিছু অংশ জুড়ে ছিল। বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে খড়্গপুর, কেশিয়ারি, দাঁতন এবং জলেশ্বর দ্বারা বেষ্টিত উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে কেলঘাই এবং হলদি নদীর পাশাপাশি তমলুক, পাঁশকুড়া এবং ডেবরার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি ছিল।
হিজলি শাসন করতেন তাজ খান যিনি ছিলেন গুরু পীর ম্যাকড্রাম শা চিস্তির শিষ্য। এটি কুশান, গুপ্ত এবং পাল রাজবংশ এবং মুঘলদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। কথিত আছে যে, হিন্দু রাজাদের শাসনামলে এবং মুঘল রাজত্বের সময় হিজলীতে বিচার বিভাগ, কারাগার এবং প্রশাসনিক অফিস সহ চমৎকার ব্যবসা ও বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। 1628 সাল পর্যন্ত হিজলির রাজধানী বাহিরিতে ছিল এবং পরে হিজলিতে স্থানান্তরিত হয়। হিজলি প্রদেশ 1754 সালে তার শীর্ষে ছিল এবং এই সময়কালে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল।
ক্যাপ্টেন নিকোলসনই প্রথম ইংরেজ উপনিবেশবাদী যিনি হিজলি আক্রমণ করেন এবং বন্দর দখল করেন। 1687 সালে জব চার্নক সৈন্য ও যুদ্ধজাহাজ নিয়ে হিন্দু ও মুঘল রক্ষকদের পরাজিত করে হিজলি দখল করেন। মুঘলদের সাথে যুদ্ধের পর জব চার্নক এবং মুঘল সম্রাটের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জব চার্নকের ক্ষতির কারণে তাকে হিজলি ত্যাগ করতে এবং উলুবেরিয়ার দিকে অগ্রসর হতে বাধ্য করে, যখন মুঘল সম্রাট প্রদেশটি শাসন করতে থাকেন। সেখান থেকে তারা শেষ পর্যন্ত পূর্ব ভারতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠার জন্য কলকাতার সুতানুটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এটি ছিল ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সূচনা। হিজলি আজকে আমরা জানি হিজলি প্রদেশের একটি ছোট অংশ এবং 19 শতকে ব্রিটিশদের দ্বারা প্রশাসনিক অফিস স্থাপনের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। এটা কৌতূহলজনক যে আজকের প্রায় সমগ্র খড়গপুর বিভাগের সীমানা হিজলি প্রদেশের অনুরূপ।
18 শতকে খেজুরী বদ্বীপ অঞ্চলের কাউখালী নদীর তীরে আরেকটি বন্দর শহর স্থাপিত হয়েছিল। এটি মূলত ইউরোপীয় দেশগুলির সাথে বাণিজ্য পরিচালনার জন্য ব্রিটিশদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। খেজুরিও একটি দ্বীপ ছিল। 1864 সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে উভয় বন্দরই ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর থেকে দ্বীপগুলো মূল ভূখণ্ডের সাথে মিশে গেছে।
আরও দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ঘোষ, সুতনু (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "খড়গপুরের দমদমা : ইতিহাস ও ভূতত্ত্ব"।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়্গপুর
- খড়্গপুরের নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ জুলাই ২০১০ তারিখে
- খড়্গপুর সিলভার জুবিলী হাই স্কুল
- আইআইটি
- খড়্গপুর রেলপথ
- মেদিনীপুরের সংবাদজ্ঞাপন
- জনতার কণ্ঠ- খড়্গপুর
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |