ক্লোরোপ্লাস্ট

উদ্ভিদ কোষের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু হচ্ছে প্লাস্টিড। সবুজ রঙের এই প্লাস্টিডগুলিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ঘটে। এদের স্ট্রোমার মধ্যে ক্লোরোফিল অণুর উপস্থিতির জন্যেই এদের রং সবুজ হয়। ক্রোরোপ্লাস্ট দুইস্তর বিশিষ্ট একটি পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। বাইরের দিকের স্তরটিকে বলা হয় বহিঃস্তর এবং ভেতরের দিকের স্তরটিকে বলা হয় অন্তঃস্তর। ক্রোরোপ্লাস্টে গ্রানাম (বহুবচনে গ্রানা) চাকতি নামক একটি স্তরিভূত অঙ্গ থাকে। একটি ক্লোরোপ্লাস্টে সাধারণত ৪০-৮০টি গ্রানা থাকে এবং এই গ্রানাগুলো একটির পর একটি সজ্জিত হয়ে ৫-২৫টি গ্রানাম চক্র বা চাকতি গঠন করে। ক্লোরোপ্লাস্টে অবস্থিত গ্রানাগুলো পরস্পর গ্রানাম ল্যামেলা নামক নালিকা দ্বারা সংযুক্ত থাকে।

অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ক্লোরোপ্লাস্ট।

ক্লোরোপ্লাস্ট মূলত থাকে গাছের পাতায়, কচি কান্ডের ত্বকে, ফুলের বৃতিতে এবং কচি ফলের ত্বকে। সাধারণত যে সমস্ত কোষকলাতে সালোকসংশ্লেষণ হয়, সেই সব কলার কোষে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোপ্লাস্ট উপস্থিত থাকে। এছাড়াও বীজের মধ্যে ভ্রূণে আর বড় গাছের প্যারেনকাইমা কলার কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট পাওয়া যায়। সাধারণত একটি উদ্ভিদ কোষে গড়ে ১০-৪০টি ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে।

নামকরণসম্পাদনা

ক্লোরোপ্লাস্ট শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ "ক্লোরোস" এবং "প্লাস্টেস" থেকে। ক্লোরোস (χλωρός) অর্থ সবুজ এবং প্লাস্টেস (πλάστης) অর্থ যা গঠিত হয়।[১] ১৮৮৩ সালে Andreas Schimper এর নামকরণ করেন। [২][৩]

কাজসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা