ক্লার্ক কিম্বার্লিং

গণিতবিদ, সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীত রচয়িতা

ক্লার্ক কিম্বার্লিং একাধারে গণিতবিদ, সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীত রচয়িতা। তিনি ১৯৪২ খ্রীস্টাব্দের ৭ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের হিন্সডেল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি ইভান্সওয়াইল বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপকরূপে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ত্রিভুজের কেন্দ্র, পূর্ণ সংখ্যার অনুক্রম এবং স্তোত্রবিদ্যা নিয়ে গবেষণা কার্য করছেন।

ক্লার্ক কিম্বার্লিং ইলিনয় ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি থেকে স্ক্লার উপপাদ্যের প্রবর্তক অ্যাইব স্ক্লারের তত্ত্বাবধানে ১৯৭০ খ্রীস্টাব্দে গণিতে পিএইচডি অর্জন করেন।[১] কিম্বার্লিং ১৯৯৪ সাল থেকে ত্রিভুজের কেন্দ্র এবং তাদের গুণাবলি সম্পর্কে একটি তালিকা তৈরি করছেন আজকের দিনে যা অনলাইনে ত্রিভুজ কেন্দ্রের বিশ্বকোষ (Encyclopedia of Triangle Centers) নামে প্রকাশিত। তালিকাটিতে এ পর্যন্ত ৩৪১৯৬ টি ত্রিভুজ-কেন্দ্রের বিবরণ রয়েছে এবং তালিকাটি ক্রমশ বর্ধমান।[২]

কাজ সম্পাদনা

  • Geometry in Action: A Discovery Approach Using The Geometer's Sketchpad (জ্যামিতি নিয়ে)
  • Solos For... (এই সিরিজের বেশ কয়েকটি সংখ্যক গ্রন্থ রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলের একক সুরের উপর রচিত। যেমন— Solos for Flute Collection 5: American Melodies After 1865)
  • Duets for Flutes or Recorders (সঙ্গীত নিয়ে)

কিম্বার্লিং এর সোনালি ত্রিভুজ সম্পাদনা

 
একটি চরম সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ যার কোণগুলো সোনালি অনুপাতের (Φ:1) বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

রবার্ট সি. শান সোনালি অনুপাতের বাহু যুক্ত ত্রিভূজকে "সোনালি ত্রিভুজ" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। কিম্বার্লিং এক্ষেত্রে সোনালি অনুপাতের বাহুর পাশাপাশি সোনালি অনুপাতের কোণের ধারণাকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সোনালি ত্রিভুজের সংজ্ঞাটিকে বিবর্ধিত করেছেন।[৩] অর্থাৎ কিম্বার্লিং "দ্বিগুণ সোনালি ত্রিভুজের" একটি ধারণার বর্ণনা দিয়েছেন যেখানে ত্রিভুজটির দুটি বাহু সোনালি অনুপাত যুক্ত এবং একই সাথে এর দুটি কোণও সোনালি অনুপাত যুক্ত।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Mathematics Genealogy Project
  2. faculty.evansville.edu
  3. Clark Kimberling. "A New Kind of Golden Triangle". In Applications of Fibonacci Numbers: Proceedings of the Fourth International Conference on Fibonacci Numbers and Their Applications, Wake Forest University (edited by G. E. Bergum, A. N. Philippou, and A. F. Horadam). Dordrecht, Netherlands: Kluwer, pp. 171–176, 1991.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা