ক্লারা টাইবজার্গ

ডেনীয় নারীবাদী এবং শান্তিবাদী

ক্লারা সোফি টাইবজার্গ সারাউ (১৮৬৪–১৯৪১) ছিলেন ডেনমার্কের নারী অধিকার কর্মী, শান্তিবাদী এবং শিক্ষাবিদ। ১৯১৫ সালে, তিনি থোরা দাউগার্ডের সাথে হেগের আন্তর্জাতিক মহিলা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি ১৯১৬ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত ডেনিশ উইমেন্স পিস চেইনের নেতৃত্ব দিতে সাহায্য করেন যা পরবর্তিতে উইমেনস ইন্টারন্যাশনাল লীগ ফর পিস অ্যান্ড ফ্রিডমের ডেনীয় শাখায় পরিণত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ভিয়েনা থেকে ডেনমার্কে ক্ষুধার্ত শিশুদের নিয়ে আসার সাহায্য করার জন্যও তাকে স্মরণ করা হয়।[১]

ক্লারা টাইবজার্গ

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা সম্পাদনা

১৯৬৪ সালের ৩ মার্চ ভর্ডিংবার্গের কাছে কালভেহভ প্যারিশে জন্মগ্রহণকারী ক্লারা সোফি সারাউ বনকর্মী কনরাড অগাস্ট নিকোলাস সারাউ (১৮১৬–১৮৮৬) ও বেজি উইলহেলমাইন হ্যানসেন (১৮৩৪–১৯০৯) এর মেয়ে। তার বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি কোপেনহেগেনে চলে আসেন। সেখানে তিনি ডেন কেল্লের্সকে এন্ডস্যাভেজআনস্টেল্টে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন, যা প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষায় বিষাশায়ীত ছিল। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান সেখানে তিনি কাজ করেন এবং ১৮৯২ সাল পর্যন্ত পেনসিলভানিয়া ট্রেনিং স্কুল এন্ড ফিবেলমাইন্ডেড শিশুদেরকে পড়াশোনা চালিয়ে যান।

১৮৯৩ সালের ১৮ মে, তিনি উচ্চ আদালতের বিচারক এরল্যান্ড টাইবজার্গকে (১৮৬৩-১৯২৫) বিয়ে করেন। পরের বছর, তিনি ডেনমার্কের প্রথম মিশ্র বিদ্যালয় এইচ এডলার্স ফ্লেলেসকোলে ইংরেজী শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন, সেখানে তিনি ১৯১৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন। তিনি চলে যাওয়ার পরেও, তিনি শিক্ষায় আগ্রহী হতে থাকেন, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী শিশুদের সাথে।

শান্তি কর্মী হিসেবে কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯১৫ সালে, তিনি হেগের আন্তর্জাতিক নারী শান্তি সম্মেলনে যোগ দেন। টাইবজার্গ গাইরিথ লেমচে, হেনি ফর্চহ্যামার, এস্ট্রিড হেইন, মাতিলদে বাজের এবং এলেন হারুপ সহ ৩০ জন মহিলাদের নিয়ে একটি অধ্যয়ন নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছিলেন। তারা ডেনমার্ক জুড়ে ভ্রমণ করে মহিলাদের একটি "শান্তির মুকুট" (ফ্রেডস্ক্রোন) প্রদান করে এবং "ন্যায়বিচারের পরিবর্তে" জন্য আহ্বানকারী একটি তালিকায় স্বাক্ষর করে ডিকেএফ-এর সদস্য হওয়ার জন্য উৎসাহিত করে। টাইবজার্গ ১৯১৫ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত সংগঠনটির সভাপতিত্ব করেন, পরবর্তিতে তিনি এটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে প্রায় ১০,০০০ করেন। ডেনমার্ক জুড়ে স্থানীয় শাখাগুলি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, তিনি ১৯২১ থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত কোপেনহেগেন শাখার সভাপতিত্ব করেন।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

টাইবজার্গ বিবাহিত ছিল এবং তাদের দুটি সন্তান ছিল। ১৯২৫ সালে তার স্বামীকে হারানোর পর, তিনি কয়েক বছর হিলারিডে কাটিয়েছিলেন, সেখানে তিনি শান্তি উদ্যোগে অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছিলেন। ১৯৪১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি কোপেনহেগেনে মারা যান। তাকে টিসভিল্ডের কাছে তিবিরকে সমাধিক্ষেত্রে দাফন করা হয়।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Historie | Kvindefredsliga" (ডেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৭ 
  2. "Clara Tybjerg"www.gravsted.dk। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৭