গাইরিথ লেমচে

ডেনীয় লেখক, নারী অধিকার কর্মী এবং সম্পাদক

এলেন গাইরিথ লেমচে ফ্রিশ (১৮৬৬–১৯৪৫) ছিলেন একজন ডেনীয় লেখক, নারী অধিকার প্রচারক এবং স্থানীয় ইতিহাসবিদ। ড্যানিশ উইমেন্স সোসাইটির ক্রিয়াকলাপে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তার জন্য তাকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়, বিশেষ করে ১৯১৫ সালের দিকে যখন ডেনমার্কের সংবিধান সংশোধন করে নারীদের ভোটাধিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।[১] তিনি ১৯২৭ সালে লিংগবি-টারবাক লোকাল হিস্টোরিক সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

গাইরিথ লেমচে
জন্ম
এলেন গাইরিথ লেমচে

১৭ এপ্রিল ১৮৬৬
মৃত্যু৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫
জাতীয়তাডেনীয়
পেশালেখক
কর্মী
ইতিহাসবিদ

প্রাথমিক জীবন এবং পরিবার সম্পাদনা

১৮৬৬ সালের ১৭ই এপ্রিল কোপেনহেগেনে জন্মগ্রহণকারী এলেন গাইরিথ ফ্রিশ ছিলেন প্রধান শিক্ষক হার্টভিগ ফ্রিশ (১৮৩৩–৯০) এবং এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মৌরিয়ার (১৮৩৫–৯২) এর কন্যা। ১৮৯৩ সালের ১৯ জুলাই তিনি চিকিৎসক জোহান হেনরিচ লেমচেকে (১৮৬৩-১৯৬২) বিয়ে করেন।[২]

এলেন গাইরিথ তার প্রথমদিকের বছরগুলি কোপেনহেগেনের স্টোর কোঙ্গেন্সগেডে কাটিয়েছিলেন। তার পরিবারের সাথে তিনি লিংগবিতে চলে যান, যেখানে তার নানি থাকতেন। তার তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম বাড়িতে শিক্ষিত হন, তারপর তিনি এনজাহেলে স্কুলে পড়াশোনা করেন। ম্যাট্রিকুলেশন করার সময়, তিনি কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান পড়া শুরু করেন কিন্তু শীঘ্রই ছেড়ে দেন, কারণ পুরুষদের আধিপত্যপূর্ণ পরিবেশের দ্বারা তিনি নিরুৎসাহিত হন। পরিবর্তে তিনি ১৮৯৩ সালে তার বিয়ের আগ পর্যন্ত তিনি তার বাবার স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনটি সন্তানের জন্ম দেওয়া সত্ত্বেও, তাদের মধ্যে দুই বছর বয়সে একজন মারা গিয়েছিল। তিনি লেখালেখিতে নিজেকে নিবেদিত করেছিলেন এবং তার সন্তান, স্বামী ও তার পরিবারের কর্মীদের যত্নে রেখেছিলেন।

লেখক হিসেবে কর্মজীবন সম্পাদনা

তার প্রথম বই, আধা-জীবনীভিত্তিক উপন্যাস সোয়েডম্যানস জোমফ্রুয়ার, মধ্যযুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত লিংগবি অধিবাসীদের, তার আত্মীয়-স্বজন সহ বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরে। স্থানীয় ইতিহাসের প্রতি তার আগ্রহের কারণে, তিনি পরবর্তীতে ১৯২৭ সালে লিংগবি-টারবুক হিস্ট্রি সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হয়ে ওঠেন। ১৮৯৯ সালে, তিনি ফোকেটস সিন্ডার প্রকাশ করেন যা নারীদের যৌনতার প্রতি মনোযোগের অভাবকে প্রকাশ করে। তবে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ছিল পারিবারিক উপন্যাস এডওয়ার্ডসগেভ যা ১৯০০ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত পাঁচটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছিল।

একজন নারী অধিকার কর্মী হিসেবে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

১৯০৬ সালে, তার বড় বোন বিবেকে সালিকাথ যিনি ড্যানিশ উইমেন সোসাইটির বোর্ড সদস্য ছিলেন, লেমচেকে সোসাইটির জাতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানান। ১৯১০ সালে, লেমচে বোর্ডে নিযুক্ত হন এবং ১৯১৩ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত অ্যাস্ট্রিড স্ট্যাম্প ফেডারসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সবচেয়ে সক্রিয় আদর্শবাদী এবং কার্যকরী নেতা হয়ে উঠেছিলেন। বিশেষ করে ১৯১২ সালে তার ভাষণের জন্য তাকে স্মরণ করা হয় যাতে সংবিধানে সংস্কারের আহ্বান জানানো হয়, যেন নারীরা ভোট দিতে পারে। পরবর্তীতে ১৯১৫ সালে সংশোধনীটি গৃহীত হয়।

মৃত্যু সম্পাদনা

১৯৪৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি লিংগবিতে গাইরিথ লেমচে মারা যান। তাকে লিংগবির অ্যাসিস্টেন্স সমাধিতে সমাধিস্থ করা হয়েছে।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Lund, Marie (২০১৭-০৪-১৬)। An Argument on Rhetorical Style (ইংরেজি ভাষায়)। ISD LLC। আইএসবিএন 978-87-7184-434-4 
  2. "Gyrithe Lemche | lex.dk"Dansk Biografisk Leksikon (ডেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৮ 
  3. "Gyrithe Lemche"www.gravsted.dk। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৮