ক্রীড়া তত্ত্ব

গণিতের শাখা

ক্রীড়া তত্ত্ব ফলিত গণিত এবং অর্থশাস্ত্রের একটি শাখা। এই শাস্ত্রে এমন সমস্ত পরিস্থিতির অধ্যয়ন করা হয় যেখানে একাধিক "খেলোয়াড়" তাদের মুনাফা বর্ধিত করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ক্রীড়া তত্ত্ব সামাজিক পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের সাথে কারক বা এজেণ্টদের মিথষ্ক্রিয়ার একটি লৌকিক মডেল দান করে। ক্রীড়া তত্ত্ব সাধারণ অপটিমাইজেশন দৃষ্টিভঙ্গিকে নব্য-ধ্রুপদী অর্থশাস্ত্রে সম্প্রসারিত করেছে।

সাধারণ ক্রীড়া
কৌরনট ডুওপলি ন্যাশ ভারসাম্য
কমপ্লেক্স সিস্টেম

গেম থিউরির ক্ষেত্র বাস্তব রূপ লাভ করে ১৯৪৪ সালে জন ভন নিউম্যান এবং অসকার মরজেনস্টার্ন এর ক্লাসিক থিউরি অফ গেমস এণ্ড ইকনোমিক বিহ্যাভিয়ার প্রকাশিত হবার পর। এর উন্নতির পিছনে আরএএনডি করপোরেশন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এবং যেখানে এটি নিউক্লিয়ার স্ট্র্যাটেজির বর্ণনায় ব্যবহৃত হয়।

গেম থিউরি সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে এবং রেখে চলেছে এবং তা বর্তমানে বিভিন্ন প্রকৃতির শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে চলেছে। ১৯৭০ থেকে শুরু করে এই তত্ত্ব ইভোলিউশনারি থিউরিসহ প্রাণীবৈশিষ্ট নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়েছে। অনেক খেলা, বিশেষ করে প্রিজনার’স ডিলেমা রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং নীতিশাস্ত্র চিত্রিত করতে ব্যবহৃত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে গেম থিউরি কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে যার কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসাইবারনেটিক্সসাইবারনেটিক্সে এর অবদান।

শিক্ষাসংক্রান্ত কারণ ছাড়াও গেম তত্ত্ব গণমাধ্যমের আগ্রহের কারণ হয়েছে। নোবেল পুরস্কারবিজয়ী গেম তত্ত্ববিদ জন ন্যাশ, ১৯৯৮ সালে সিলভিয়া নাসার রচিত আত্মজীবনী এবং ২০০১ সালের চলচ্চিত্র এ বিউটিফুল মাইণ্ড এর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। গেম তত্ত্ব ১৯৮৩ সালের ছবি ওয়ারগেমসেরও থিম ছিল। বেশ কিছু গেম শো গেম তত্ত্বের ধারণাকে গ্রহণ করে তৈরি হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ফ্রেণ্ড অর ফো? এবং কিছু ক্ষেত্রে সারভাইভরটেলিভিশন অনুষ্ঠান এলিয়াস এলিয়াসের চরিত্র জ্যাক ব্রিসটো হলেন গণমাধ্যমের হাতে গোণা কাল্পনিক গেম তত্ত্ববিদদের একজন।

কিছু গেম তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে ডিসিশন তত্ত্বের সাথে এর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া গেলেও এই তত্ত্ব এমন পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে যেখানে খেলোয়াড়রা অংশ নেন। গেম তত্ত্বকে কার্যালয়ে ও অর্গানাইজেশনে প্রয়োগ করাকে কখনো কখনো গেমিং দি সিস্টেম বলে আখ্যায়িত করা হয়। এর নেতিবাচক দিক রয়েছে এবং সাধারণত কপট আচরণ হিসেবেও বিবেচিত হয়। আটজন ক্রীড়া তত্ত্ববিদ অর্থনীতিতে নোবেল পৃরষ্কার লাভ করেন, তাছাড়া জন স্মিথ (John Maynard Smith) প্রাণীবিজ্ঞানে ক্রীড়া তত্বের প্রয়োগের জন্য ক্র্যাফোর্ড পুরস্কার লাভ করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা