ক্রিসমাস দ্বীপ জাতীয় পার্ক

অস্ট্রেলিয়ার সুরক্ষিত এলাকা

ক্রিসমাস আইল্যান্ড জাতীয় উদ্যান হলো ক্রিসমাস আইল্যান্ডের বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে বিস্তমত একটি জাতীয় উদ্যান। এটি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি অস্ট্রেলিয়ার অংশ।[১] এই পার্কটি বিভিন্ন জাতি প্রাণী ও উদ্ভিদের বাসস্থান, যার মধ্যে রয়েছে লাল কাঁকড়া, বার্ষিক গণনায় দেখা যায় প্রায় ১০০ মিলিয়ন কাঁকড়া ডিম পারার জন্য সমুদ্রে আসে। ক্রিসমাস দ্বীপটি বিপন্ন প্রজাতি অ্যাবট সামুদ্রিক হাস এবং ফ্রিগেট পাখির একমাত্র বাসস্থান, যা এটিকে বিজ্ঞানীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। [২]

ক্রিসমাস দ্বীপ জাতীয় উদ্যান
অস্ট্রেলিয়া
ক্রিসমাস দ্বীপ জাতীয় উদ্যানে ডলি সৈকত, অস্ট্রেলিয়া
ক্রিসমাস দ্বীপ জাতীয় উধ্যান জাবাতে অবস্থিত
ক্রিসমাস দ্বীপ জাতীয় উদ্যান
ক্রিসমাস দ্বীপ জাতীয় উদ্যান
নিকটতম নগর বা শহর উড়ন্ত মাছের উপসাগর
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা ১০°২৫′দ ১০৫°৪০′পূ / ১০.৪১৭°দ ১০৫.৬৬৭°পূ / -১০.৪১৭; ১০৫.৬৬৭ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা: ১০°২৫′দ ১০৫°৪০′পূ / ১০.৪১৭°দ ১০৫.৬৬৭°পূ / -১০.৪১৭; ১০৫.৬৬৭
গঠিত ১৯৮০
এলাকা ৮৫ কিমি (32.8 sq mi)
ব্যবস্থাপক জাতীয় উদ্যানের পরিচালক
ওয়েবসাইট ক্রিসমাস দ্বীপ জাতীয় উদ্যান
Map

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৭০এর দশকে ক্রিসমাস দ্বীপের ফোনা ও ফ্লোরা থেকে ফসফেট উত্তরণের প্রভাব চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়াঁয়। বিশেষ করে অ্যাবোট সামুদ্রিক হাসের আবাসের বিষয়টি নজরে ছিল, যেগুলো অস্তিত্ব হারাতে বসেছিল। ১৯৭৪সালে একটি সরকারি দল নিয়োগ দেয়া হয় যারা খনন ও অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজের জন্য পরিবেশের উপর প্রভাবকে পর্যালোচনা করেন এবং দ্বীপ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

ভূতত্ত্ব এবং ভূগোল সম্পাদনা

ক্রিসমাস দ্বীপটি চুনাপথরের টিলায় পরিপূর্ণ যা কোরাল প্রাচীর নির্মিত। পার্কের সীমানা পানির স্তর থেকে ৫০ফুট নিচে।[৩] দ্বীপের ৭৩কিমি এর প্রায় ৪৬কিমি পার্কের তটরেখার মধ্যে। এখানে পানি ভর্তি ও শুকনো উভয় ধরনের গুহা রয়েছে।

ক্রিসমাস দ্বীপের দুটি রামসার কনভেনশন, ডেলস এবং হসনিস স্প্রিং, পার্কের মাঝে অবস্থিত।

প্রাণী ও উদ্ভিদকুল সম্পাদনা

 
গেকারকোইডিয়া নাটালিস, ক্রিসমাস দ্বীপের লাল কাঁকড়া

দ্বীপের চারপাশের পানি এবং এর ভূমি খুবই উর্বর, পার্কটিতে বিভিন্ন স্থানিকতা জীববৈচত্র্য দেখা যায়।

প্রাণীকুল সম্পাদনা

কাঁকড়া সম্পাদনা

এই দ্বীপটি প্রধানত লাল কাঁকড়ার সংখ্যার জন্য উল্লেখযোগ্য। তাদের উজ্জ্বল লাল রং ও ঘনত্ব আকাশ থেকেও দেখা সম্ভব। সর্বেশেষ, লাল কাঁকড়ার সংখ্যা ঝুঁকির মুখে রয়েছে হলুদ পিঁপড়ার আগমনের জন্য। এই পিঁপড়াগুলো হঠাৎ ১৯১৫সাল থেকে ১৯৩৪সালের মাঝে চলে আসে। [৪] এবং এর ঘনত্ব ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে।[৫]

লাল কাঁকড়া যেখানে ক্রিসমাস দ্বীপের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কাঁকড়া সেখানে এটিতে রয়েছে বিশ্বের বেশি সংখ্যক নারকেল কাঁকড়া।[৬][৭] Thereসেখানে সম্ভবত ১০লক্ষ নারকেল কাঁকড়া রয়েছে।[৮]

সরীসৃপ সম্পাদনা

পার্কে ছয় ধরনের সরীসৃপ দেখতে পাওয়া যায়, যাদের মধ্যে পাঁচটি খুবই দুর্লব। এইগুলোর বেশিরভাগই কিছু সাম্প্রতিক বছরে হ্রাস পেয়ে গেছে।

স্তন্যপায়ী সম্পাদনা

পার্কে তিন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছেঃ ক্রিসমাস দ্বীপের শ্রিউ, এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় তুলে ধরা হয়েছে কারণ এটি হারিয়ে যাচ্ছে। কালো ইঁদুর (Rattus rattus) এবং ঘর নেঙটি ইঁদুর (Mus musculus) এখানে দেখা যায়। বিড়াল ও কুকুররাও খুবই সাধারণ যাদেরকে পার্কে সহজেই পাওয়া যায়।

পাখি সম্পাদনা

 
অ্যাবোটস বুবি, ক্রিসমাস দ্বীপের বৈচিত্র

এখানে ১০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে, যাদের ১০টি স্থানীয়। বেশিরভাগ পাখিই অনিয়মিত (জীববিদ্যা), যেমন গ্রেট করমোর্যান্ট। অন্যান্য পাখি যেমন ফ্রিগেটবার্ড খুবই নিয়মিত। পাখির সংখ্যা হলুদ পিঁপড়ের জন্য ঝুঁকিতে আছে।

উদ্ভিদকুল সম্পাদনা

এই দ্বীপের গাছপালা প্রধানত অতিবৃষ্টি অরণ্য এর উদ্ভিদ। প্রায় ২০০ প্রজাতির সপুষ্পক উদ্ভিদ ক্রিসমাস দ্বীপে পাওয়া যায়।[৯] পার্কের উপকূলে কোন ম্যানগ্রোভ নেই। যাহোক, বিশেষ প্রজাতির ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ বি. সেক্সাঙ্গুলা সমুদ্র উচ্চতা থেকে ৫০মিটার উচুতে হসনিস ঝর্ণায় পাওয়া যায়।

উদ্যান ব্যবস্থাপনা সম্পাদনা

পার্কটিকে ব্যবস্থাপনা করে জাতীয় পার্কের পরিচালক, যার কাজ হলো পার্কের প্রাকৃতিক অঞ্চল রক্ষা করা এবং পরিদর্শকদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা। এটির নতুন ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা (২০০২) তে হলুদ পিঁপড়াকে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন দেওয়া হয়েছে।

পার্ক প্রধানদের ১৭জন সদস্য রয়েছে, তারা দ্বীপের উত্তরাঞ্চলের অংশকে পর্যালোচনা করে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আরও দেখুন সম্পাদনা

১) সুরক্ষিত এলাকা অস্ট্রেলিয়ার সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Christmas Island National Park"। Department of the Environment, Water, Heritage and the Arts। ২০০৮-০৭-০৮। ২২ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-৩১ 
  2. Christmas Island National Park Management Plan। Environment Australia। ২০০২। আইএসবিএন 0-642-54828-9 
  3. OECD Environmental Performance Reviews: AustraliaOECD Publishing। ২০০৮। পৃষ্ঠা 94। আইএসবিএন 978-92-64-03960-5 
  4. O’Dowd, D.J. (১৯৯৯)। "Crazy Ant Attack": 7। 
  5. "Loss of biodiversity and ecosystem integrity following invasion by the Yellow Crazy Ant (Anoplolepis gracilipes) on Christmas Island, Indian Ocean" 
  6. "Christmas Island Land Crabs Brochure" (পিডিএফ)। Environment Australia। ২০০৬। ২ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  7. New, T.R. (১৯৯৫)। Introduction to Invertebrate Conservation Biology। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 163। আইএসবিএন 978-0-19-854051-9 
  8. টেমপ্লেট:Cite AHPI
  9. "Christmas Island Environment and Heritage"। Australian Government, Attorney-General's Department। ২১ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০০৮