ক্রিট
ক্রিট (গ্রিক: Κρήτη, Kríti ['kriti]; Ancient Greek: Κρήτη, Krḗtē) গ্রিসের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধিক পরিচিত দ্বীপ। এটি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের পঞ্চম বৃহত্তম দ্বীপ; কেবল সিসিলি, সার্ডিনিয়া, সাইপ্রাস এবং কর্সিকা-ই এর চেয়ে বৃহৎ।[১] এর আয়তন ৮৩৩৬ বর্গকিলোমিটার ও উপকূল রেখার দৈর্ঘ্য ১০৬৬ কিলোমিটার। ক্রিট ও তার চারপাশের ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে ক্রিট প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত। এটি গ্রিসের ১৩টি প্রধান প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্যতম। ক্রিটের সবচেয়ে বড় শহর ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হল হেরাক্লিওন। ২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী ক্রিটের জনসংখ্যা ৬,২৩,০৬৫ জন।
স্থানীয় নাম: Κρήτη | |
---|---|
ভূগোল | |
অবস্থান | পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল |
স্থানাঙ্ক | ৩৫°১২.৬′ উত্তর ২৪°৫৪.৬′ পূর্ব / ৩৫.২১০০° উত্তর ২৪.৯১০০° পূর্ব |
আয়তন | ৮,৩০৩ বর্গকিলোমিটার (৩,২০৬ বর্গমাইল) |
আয়তনে ক্রম | ৮৯ |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ২,৪৫৬ মিটার (৮,০৫৮ ফুট) |
সর্বোচ্চ বিন্দু | মাউন্ট এডা |
প্রশাসন | |
গ্রিস | |
প্রশাসনিক অঞ্চল | ক্রিট |
রাজধানী শহর | হেরাক্লিওন |
বৃহত্তর বসতি | হেরাক্লিওন (জনসংখ্যা ১,৭৩,৯৯৩) |
জনপরিসংখ্যান | |
বিশেষণ | ক্রেটান |
জনসংখ্যা | c. ৬,২০,০০০ (২০১১) |
জনসংখ্যার ক্রম | 73 |
গ্রিসের অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ক্রিটের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। মূল গ্রিক সংস্কৃতি থেকে বেশ কিছুটা স্বতন্ত্র এই দ্বীপের নিজস্ব কাব্য ও সঙ্গীত এই অঞ্চলের আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সুপ্রাচীন মিনোয়ান সভ্যতার (মোটামুটি ২৭০০ - ১৪২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) ধাত্রীভূমি এই ক্রিট দ্বীপই। বর্তমানে এই সভ্যতাকে ইউরোপ ভূখণ্ডের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক সভ্যতা বলে গণ্য করা হয়ে থাকে।[২]
ইউরোপের মুল ভূখণ্ড থেকে ক্রিট দ্বীপের দূরত্ব ৯৫ কিলোমিটার; এশিয়া থেকে ১৭৯ কিলোমিটার ও আফ্রিকা থেকে এই দ্বীপের ন্যুনতম দূরত্ব ২৮৪ কিলোমিটার।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Charles Arnold ed.: Die Inseln des Mittelmeers. Ein einzigartiger und vollständiger Überblick. 2. Auflage. marebuchverlag, Hamburg 2008, আইএসবিএন ৯৭৮-৩-৮৬৬৪৮-০৯৬-৪.
- ↑ Ancient Crete. Oxford Bibliographies. সংগৃহীত ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫।