কোন্ডাপল্লীর খেলনা

কোন্ডাপল্লীর খেলনা হল কাঠের তৈরি একধরনের খেলনা যা কৃষ্ণা জেলার কোন্ডাপল্লীতে বানানো হয়, কোন্ডাপল্লী গ্রামটি বিজয়বাদা এর নিকটে ভারতীয় অঙ্গরাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ এর অন্তর্গত। [১] কোন্ডাপল্লীর যে স্থানে এই শিল্পের চর্চা চলে সেই বম্মালা কলোনী নামটিকে বাংলায় খেলনার কলোনী বলা যায় ,।[২] এটিকে অন্ধ্রপ্রদেশ এর ভৌগোলিক স্বীকৃতি সুচক হস্তশিল্পের মর্যাদায়  'জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন্‌স অফ গুডস্‌ (রেজিস্ট্রেশন এন্ড প্রটেকশন) অ্যাাক্ট', ১৯৯৯ এর অনুসারে  ঘোষণা করা হয়।[৩][৪] খেলনাগুলি মুলত ঘরে ঘরে কয়েক প্রকারের তৈরী হত, বিভিন্ন উৎসবের যেমন সংকৃতি এবং নবরাত্রির সময় যাকে 'বম্মালা কলুভু' ও বলা হয়। [৫]

কোন্ডাপল্লীর খেলনা
ভৌগোলিক নির্দেশক
কোন্ডাপল্লীর খেলনা বিজয়বাদা এর নিকটে
বিকল্প নামকোন্ডাপল্লীর বম্মালা
বর্ণনাকাঠের তৈরী খেলনা
ধরনহস্তশিল্প
অঞ্চলকোন্ডাপল্লী, কৃষ্ণা জেলা, অন্ধ্রপ্রদেশ
দেশভারত
উপাদানকাঠ
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটhttp://ipindia.nic.in/girindia/

ইতিহাস সম্পাদনা

খেলনা তৈরির এই প্রাচীন প্রথা প্রায় চারশত বছর ধরে চলে আসছে।  কারিগররা যারা এ খেলনা প্রস্ততের কাজ করেন তাদের বলা হয় 'আর্য্যক্ষত্রিয়' (অথবা 'নাকারশালু' বলে), যাদের নাম উল্ল্যেখ রয়েছে ব্রাক্ষ্মণ্দ পুরাণ এর মধ্যে।[২] জনশ্রুতি আছে এরা রাজস্থান হতে ষোড়শ শতাব্দীতে  কোন্ডাপল্লীতে আসেন এবং তাদের মূল মুক্থারিষি বলে দাবী করেন, যিনি শিবের আশীর্বাদ প্রাপ্ত একজন সন্যাসী ছিলেন[১]

 
কাঠের খোদাইকৃত পুতুল দেখা যাচ্ছে । শিল্পারামাম, হায়দ্রাবাদ

খেলনার প্রস্তুতি সম্পাদনা

কোন্ডাপল্লীর খেলনা  নরম কাঠের তৈরি যা  তেল্লা পনিকি  নামে পরিচিত, নিকটবর্তী পাহাড়ে পাওয়া যায়। কাঠগুলি প্রথমে খোদাই করা হয় এবং ধারগুলি পালিশ করে মসৃণ করা হয়। এরপর এতে তৈল-রং , জল-রং অথবা উদ্ভিজ্জ রং এবং এনামেল পেইন্ট ব্যবহার করে রঙিন করে তোলা হয় খেলনার প্রকারের উপর ভিত্তি করে।[১][৬]  কারিগররা মূলত পুতুল তৈরি করেন প্রাচীন বিশ্বাসের ভিত্তিতে, পশু, পাখি, গরুর গাড়ি, গ্রাম্য জনপদ ইত্যাদির, এবং  সবচেয়ে উল্ল্যেখযোগ্য দশাবতার, নাঁচের মূর্তি ইত্যাদি।[৭]

সহায়তা সম্পাদনা

এ শিল্পরীতি প্রাচীন কালের শাসকদের কাছ থেকে সহায়তা পেয়ে আসছিল যা এখন নেই বললেই চলে মুনাফার অভাবে, সময় সাধ্য হবার কারণে, পশ্চিমা সভ্যতার প্রভাবে এবং তরুণরা অনাগ্রহী হবার কারণে।[৮][৯] লেপাক্ষী এবং  ল্যাঙ্কো ইনস্টিটিউট অফ জেনারেল হিউম্যানিটারিয়ান ট্রাষ্ট  বর্তমানে এ শিল্পরীতি রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Guhan, V (২১ জুন ২০০৩)। "Creative Kondapally"The Hindu। ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Toying with heritage: No heir to Kondapalli's amazing art - Times of India"The Times of India। Kondapalli (Krishna)। ১৯ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. "State Wise Registration Details of G.I Applications" (পিডিএফ)Geographical Indication Registry। পৃষ্ঠা 2। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Geographical Indication"The Hans India। ২৩ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ 
  5. "News Archives: The Hindu"www.hindu.com। ১২ জানুয়ারি ২০১১। ২৬ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ 
  6. Chandaraju, Aruna (২৭ জানুয়ারি ২০১৬)। "Playing safe with local craft"Deccan Herald। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ 
  7. Banu, Saira (৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Treasure in traditional toys"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ 
  8. Devalla, Rani (২৩ জানুয়ারি ২০১৬)। "Kalamkari saris in a new combination"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। Visakhapatnam। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ 
  9. "Tales that Kondapalli toys narrate"Deccan Herald। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা