কোই আপ সা

হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র

কোই আপ সা (বাংলা: কেউ আপনার মত, হিন্দি: कोई आप सा) হচ্ছে ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। পার্থ মিত্রের পরিচালনায় চলচ্চিত্রটিতে আফতাব শিবদাসানি, অনিতা হাস্যনন্দনী এবং দীপান্বিতা শর্মা মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।[][][]

কোই আপ সা
কোই আপ সা চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকপার্থ মিত্র
প্রযোজকশোভা কাপুর
একতা কাপুর
চিত্রনাট্যকারধীরাজ সারনা
মহেশ পাণ্ডে
শ্রেষ্ঠাংশেআফতাব শিবদাসানি
অনিতা হাস্যনন্দনী
দীপান্বিতা শর্মা
সুরকারহিমেশ রেশমমিয়া
চিত্রগ্রাহকদীপক মালভাংকার
সম্পাদকসলিল মল্লিক
মুক্তি
  • ১৪ অক্টোবর ২০০৫ (2005-10-14) (ভারত)
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

কাহিনীখণ্ড

সম্পাদনা

রোহান আর সিমরান 'সিমি' হচ্ছে একে অপরের খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ছোটোবেলা থেকেই তারা একে অপরের বন্ধু। তারা দুজনে এখন একই কলেজে পড়ে। এই কলেজেরই প্রীতি নামের একটা মেয়ের সাথে রোহান প্রেম করতে চায় এবং সিমি রোহানকে এই ব্যাপারে সাহায্য করে। রোহানের সাথে প্রীতির ডেটিং এর ব্যবস্থা করে দেয় সিমি। সিমি যেহেতু রোহানের খুবই ঘনিষ্ঠ সেহেতু প্রীতি রোহানকে সিমির প্রেমিক বলে ধরে নেয় মনে মনে। পরে ভিকী নামের একটা ছেলের সাথে সিমির বিয়ের জন্য বাগদান হয়, প্রীতি এতে খুশী হয়।

একদিন একটি অনুষ্ঠানে রোহান আর প্রীতি নাচছিলো, ওখানে সিমিও ছিলো। হঠাৎ ভিকীর বন্ধু রণজিৎ সিমিকে একটা উপহার দেবে বলে ওকে ওর সঙ্গে হাঁটতে বলে, হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ সে সিমিকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে সেই কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেয়। এরপর সে সিমিকে ধর্ষণ করে। প্রীতির সঙ্গে নৃত্যরত রোহান সিমিকে খোঁজার জন্য অনুষ্ঠান থেকে বের হয় এবং এক কর্মচারীর মাধ্যমে জানতে পারে যে সিমি কোন পথ দিয়ে কার সঙ্গে হেঁটেছে, রোহান সিমি যে ঘরে ছিলো সেই ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে পড়ে এবং সিমিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবিষ্কার করে; সিমির কি হয়েছে সেটা সে জিজ্ঞেস করতেই সে রণজিৎকে দেখতে পায় এবং রণজিৎ দৌড় দিয়ে পালায়, রোহান তাকে ধাওয়া করে, রণজিৎ আগেই একটা ট্যাক্সিতে উঠে পড়ে, রোহান তার নিজের গাড়ি নিয়ে তার পিছু পিছু কিছুক্ষণ যাওয়ার পরেই রণজিৎকে বহনকারী গাড়ি দূর্ঘটনায় পতিত হয় এবং সে মারা যায়।

সিমির ধর্ষণের কথা গোপন থাকে কিন্তু একদিন সিমি গাড়িতে করে ভিকীকে বিমানবন্দর থেকে আনার জন্য যাচ্ছিলো তখন হঠাৎ সে টেলিফোনে রোহানের সঙ্গে কথা বলতে বলতে মাথা ঘুরিয়ে গাড়ি ভুল চালায় এবং গাড়ি দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরপর স্থানীয় লোকজন সিমির টেলিফোন নিয়ে রোহানকে বলে যে তারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে রোহান চিকিৎসকের মাধ্যমে জানতে পারে যে সিমি গর্ভবতী, গর্ভপাত করলে সিমি মারা যেতে পারে, ভিকী পেছন থেকে এই কথাগুলো শুনছিলো। এরপর সে সিমির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য সিমির বাসায় যায়। ভিকীসহ তার বাবামা, সিমির বাবামা সবাই সিমির পেটে বাচ্চার জন্য রোহানকে দোষ দিতে থাকে, কেউই সিমির কথা বিশ্বাস করেনা যে এটা রণজিৎএর বাচ্চা।

রোহান যেহেতু সিমির ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাই সে সিমিকে সকল ধরনের সামাজিক অপমান থেকে বাঁচাতে কলেজে সবার সামনে সিমিকে বিয়ে করবে ব'লে বলে। সিমি প্রথম প্রথম রাগ করলেও রোহানের কথায় পরে তার ভালো লাগে, সিমির গর্ভের বাচ্চা যখন অনেক বড় হয়ে যায় তখন রোহানের সঙ্গে সিমির পারিবারিকভাবেই বাগদান হয় এবং ভিকী পরে এসে সিমির কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে যে সে আসল সত্য জানতে পেরেছে এবং সে এখন তাকে চায়। সিমি তার সঙ্গে মেশা শুরু করে। একদিন রোহান ফুটবল ম্যাচ খেলতে থাকে এবং সিমির সঙ্গে দর্শলগ্যালারীতে ভিকী এবং পরে প্রীতিও যোগ দেয়, প্রীতি সিমিকে বলে যে রোহানকে তাকে (সিমিকে) ভালোবাসে। রোহান হঠাৎ গোল করে এবং তখনই সিমির পেটে ব্যথা শুরু হয়। সিমিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সিমির একটা মেয়ে হয় এবং সিমির মেয়ের বাবা কে সেটা নার্স জিজ্ঞেস করলে সিমি রোহানের ইঙ্গিত দেয়, নার্স বুঝতে পেরে তাকে বাইরে থেকে ডাক দিয়ে ভেতরে যেতে বলে। রোহান তখনই সিমিকে ভালোবাসি বলে।

অভিনয়ে

সম্পাদনা

গানের তালিকা

সম্পাদনা

সমীরের লেখা গানগুলোর সুরকার ছিলেন হিমেশ রেশমমিয়া

# গানের শিরোনাম কণ্ঠশিল্পী
"সিনে মেঁ দিল" উদিত নারায়ণ, অল্কা ইয়াগনিক
"আদাত হো চুকি" শান, সুনিধি চৌহান
"বান্ধ মেরে প্যারো মেঁ" সোনু নিগম, সুনিধি চৌহান
"তেরে দিল কা রিশতা" সোনু নিগম
"কোই আপ সা" সোনু নিগম, অল্কা ইয়াগনিক
"কাভি না সুকুন আয়া" উদিত নারায়ণ, অল্কা ইয়াগনিক
"কাভি না সুকুন আয়া" (দুঃখ) উদিত নারায়ণ, অল্কা ইয়াগনিক
"সিনে মেঁ দিল" (নারী) অল্কা ইয়াগনিক

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "KAS Movie Review"। Apunkachoice। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১২ 
  2. "KAS Movie Overview"। Bollywood Hungama। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১২ 
  3. "Anita Hassanandani has a quirky birthday message for 'the love of her life' Rohit Reddy - watch video"timesnownews.com 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা