কেলাসবিজ্ঞান
কেলাসবিজ্ঞান বিজ্ঞানের একটি ব্যবহারিক শাখা যেখানে কেলাসিত কঠিন পদার্থের অভ্যন্তরে পরমাণুসমূহের বিন্যাস ও বন্ধন নিয়ে এবং কেলাস পিঞ্জরসমূহের (crystal lattice) জ্যামিতিক কাঠামো বের করা নিয়ে গবেষণা করা হয়। চিরায়তভাবে কেলাসসমূহের আলোকীয় ধর্মগুলিকে খনিজবিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞানে বিভিন্ন পদার্থ চিহ্নিত করতে ব্যবহার করা হত। আধুনিক কেলাসবিজ্ঞানে কেলাসের ভেতরে রঞ্জনরশ্মি চালনা করে সেগুলির অপবর্তন পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়, যেখানে কেলাসগুলি এক ধরনের আলোক গরাদ বা জালি হিসেবে কাজ করে। রঞ্জনরশ্মি কেলাসবিজ্ঞানের বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে রসায়নবিদেরা বিভিন্ন খনিজ ও জৈব পদার্থের (যেমন প্রোটিন বা ডিএনএ) জটিল, বৃহদাকার অণুর অভ্যন্তরীণ কাঠামো ও এদের অন্তর্নিহিত বিভিন্ন রাসায়নিক বন্ধন নির্ণয় করতে পারেন। রঞ্জনরশ্মি ছাড়াও ইলেকট্রন ও নিউট্রন রশ্মির অপবর্তন-ভিত্তিক কেলাসবিজ্ঞানও বিদ্যমান।
জাতিসংঘ ক্ষেত্রটিকে মর্যাদা দিয়ে ২০১৪ সালকে কেলাসবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক বছর হিসেবে ঘোষণা দেয়।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ UN announcement "International Year of Crystallography". iycr2014.org. 12 July 2012