কেনিয়া–চীন সম্পর্ক

চীন ও কেনিয়ার মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক

কেনিয়া–চীন সম্পর্ক হল কেনিয়া এবং চীন রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

কেনিয়া–চীন সম্পর্ক
মানচিত্র China এবং Kenya অবস্থান নির্দেশ করছে

চীন

কেনিয়া

রাজনৈতিক বন্ধন সম্পাদনা

দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৩ সালে, কেনিয়ার স্বাধীনতা লাভের দুইদিন পর। চীনই ছিল নাইরোবিতে দূতাবাস স্থাপন করা চতুর্থ রাষ্ট্র।[১] গত যুগ ধরে দুই দেশের মধ্যে সামরিক বিনিময় বেড়েছে। জেনারেল লিউ জিংসং, লানঝউ সামরিক অঞ্চলের কমান্ডার, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে চীনের প্রথম সামরিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব দেন। মেজর জেনারেল নিক লেসান, কেনিয়ান বিমানবাহিনীর প্রধান, ১৯৯৭ সালে ফিরতি সফর করেন।[২] কেনিয়া রাষ্ট্রপতি মোয়াই কিবাকি ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে বেইজিংয়ে সফর করেন।[৩]

২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি উহুরু কেনিয়াত্তা চীনে সফর করেন। তিনি চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনফিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন। কেনিয়া এবং চীন ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করে।[৪]

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খছিয়াং ২০১৪ সালের আফ্রিকা সফরের মাঝে নাইরোবিতে সফর করেন। তিনি এবং রাষ্ট্রপতি কেনিয়াত্তা ১৭টি কয়েক বিলিয়নের চুক্তি স্বাক্ষরে উপস্থিত ছিলেন। এ চুক্তিগুলোর উদ্দেশ্য ছিল নানাবিধ অবকাঠামোভিত্তিক প্রকল্প এবং চুক্তির বাস্তবায়ন। এরই মাধ্যমে চীন-আফ্রিকা ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।[৫]

অর্থনৈতিক বন্ধন সম্পাদনা

২০০২ সালের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৮৬.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; চীন কেনিয়াতে ১৮০.৫৭৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে, পক্ষান্তরে মাত্র ৫.৭৯৮ মিলিয়ন ডলারের কেনিয় সামগ্রি আমদানি করে। কেনিয়া থেকে আমদানিকৃত পণ্যসমূহ হল ব্ল্যাক টি, কফি এবং চামড়া[২]

২০০৬ সালের শুরুতে চীনের রাষ্ট্রপতি হু জিন্তাও কেনিয়ার সাথে তেল উৎপাদনের একটি চুক্তি করেন; চীনের সাথে আফ্রিকার ক্রমিক অর্থনৈতিক চুক্তির মধ্যে অন্যতম ছিল এ চুক্তিটি। চুক্তি মোতাবেক চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল ও গ্যাস কোম্পানি সিএনওওসি লিমিটেড কেনিয়াতে তেলের সন্ধান করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানতি সুদান ও সোমালিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং সামুদ্রিক তীরবর্তী এলাকায় তেলের সন্ধান করবে। এখন পর্যন্ত কোনো তেল খুঁজে পাওয়া যায়নি, এবং সম্ভাব্য তেলের খনির কোনো অনুমানও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।[৬]

২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ধাতু প্রক্রিয়াজাতকরণ সংস্থা জিনচুয়ান গ্রুপ প্রথম চীনা কোম্পানি হিসেবে তিওমিন কেনিয়ার ২০ শতাংশ ক্রয় করে কেনিয়ার খনি খাতে প্রবেশ করে এবং।[৭]

কেনিয়ায় চীনের উন্নয়নমূলক সহযোগিতা সম্পাদনা

২০০০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে কেনিয়ায় পরিচালিত চীনের প্রায় ৬৫টি উন্নয়নমূলক অর্থ প্রকল্পের সন্ধান পাওয়া গেছে।[৮] এই প্রকল্পসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের উত্তর ও পূর্ব রিং রোড সেকশন,[৯] কেনিয়াটা ইউনিভার্সিটি টিচিং নির্মাণের জন্য দেয়া ঋণ, গবেষণা এবং ২০১১ সালের রেফারেল হাসপাতাল প্রকল্প ইত্যাদি।[১০]

সাংস্কৃতিক বন্ধন সম্পাদনা

২০০৬ সাল থেকে পিআরসি রাষ্ট্রায়ত্ত চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল সিআরআই নাইরোবি ৯১.৯ এফএম রেডিও স্টেশন পরিচালনা করে আসছে।

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Kenya, China Mark 40-year Diplomatic Ties"। Xinhua News Agency। ২০০৩-১২-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৬ 
  2. "Kenya: Bilateral Relations"। Ministry of Foreign Affairs of the People's Republic of China। ২০০৩-১০-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৬ 
  3. "China to promote cooperation with Kenya: Chinese premier"। People's Daily। ২০০৫-০৮-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৭ 
  4. "Kenya's Kenyatta and China's Xi sign $5bn deals"। BBC। ২০১৩-০৮-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-১৯ 
  5. "Kenya signs 17 multi-billion deals with China"। বিজনেস ডেইলি। ২০১৪-০৫-১০। ২০১৫-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-১৯ 
  6. Barber, Lionel; Andrew England (১০ অক্টোবর ২০০৬)। "China's scramble for Africa finds a welcome in Kenya"। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭ 
  7. Onyango, Jim; Allan Odhiambo (২০০৭-১০-৩০)। "Kenya: Attention Shifts to China After Latest Catch"। Business Daily, Nairobi। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৭ 
  8. Austin Strange, Bradley C. Parks, Michael J. Tierney, Andreas Fuchs, Axel Dreher, and Vijaya Ramachandran. 2013. China’s Development Finance to Africa: A Media-Based Approach to Data Collection. CGD Working Paper 323. Washington DC: Center for Global Development.http://china.aiddata.org[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. Strange, Parks, Tierney, Fuchs, Dreher, and Ramachandran, China’s Development Finance to Africa: A Media-Based Approach to Data Collection.http://aiddatachina.org/projects/202
  10. Strange, Parks, Tierney, Fuchs, Dreher, and Ramachandran, China’s Development Finance to Africa: A Media-Based Approach to Data Collection.http://aiddatachina.org/projects/1290

টেমপ্লেট:কেনিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক টেমপ্লেট:চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক