কেঁচো
কেঁচো এনিলিডা বা অঙ্গুরীমাল পর্বের অতি পরিচিত মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বাস করা প্রাণী।[১] এনিলিডা পর্বের অলিগোকীট উপশ্রেণীর মধ্যে যারা দীর্ঘদেহী তাদেরকে কেঁচো বলা যায়। কেঁচোকে "কৃষকের বন্ধু" বলা হয়।
কেঁচো | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | অ্যানিলিডা (Annelida) |
শ্রেণি: | Clitellata |
বর্গ: | Opisthopora |
উপবর্গ: | Lumbricina |
বর্ণনা
সম্পাদনাএদের দেহ লম্বা, নলাকার,সরু এবং দ্বিপাশ্ব প্রতিসম। দেহের সম্মুখভাগ একটু চাপা কিন্তু পশ্চাদ্ভাগ কিছুটা ভোঁতা। দেহের পৃষ্ঠদেশে পৃষ্ঠীয় রক্তনালিকার গাঢ় মধ্যস্থ রেখা দৃশ্যমান যা দেহের দৈর্ঘ্য বরাবর ঠিক চামড়ার নিচ দিয়েই অবস্থান করে । অন্যদিকে দেহের সম্মুখ অঙ্কীয় তলে জনন ছিদ্র এবং প্যাপিলা বিদ্যমান। কেঁচোর আকার প্রজাতিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। একটি পূর্ণবয়স্ক কেঁচোর দৈর্ঘ্য ১৫৫ মিলিমিটার এবং প্রস্থ ৩–৫ মিলিমিটার হয়। এদের দেহে প্রায় ১০০-১২০টি খণ্ডে বিভক্ত ।এদের দেহে প্রকৃত খণ্ডায়ন বিদ্যমান ।
দৈহিক বর্ণ
সম্পাদনাএদের দেহ সাধারণত পিচ্ছিল ধরনের । দেহে পরফাইরিন নামক বিশেষ ধরনের রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতির কারণে এদের বর্ণ গাঢ় বাদামী। এই রঞ্জক পদার্থ এদের দেহকে প্রখর রোদের হাত থেকে রক্ষা করে।
স্বভাব ও বাসস্থান
সম্পাদনাএরা মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বাস করে। এদের ক্ষয়িষ্ণু মাটিতে গর্তে পাওয়া যায় যেখানে প্রচুর জৈব পদার্থ বিদ্যমান। বালুকাময় বা এসিডিক পরিবেশে এদের পাওয়া যায় না । এরা ভূপৃষ্ঠ হতে ৩০-৪৫ সে.মি. গভীর গর্ত তৈরি করে বাস করে। বর্ষাকালই এদের সবচেয়ে অনুকূল সময়। এরা নিশাচর প্রাণী এবং শীতল রক্তবিশিষ্ট। এরা মাটি খোঁড়ে বলে কৃষকের বন্ধু বলে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ps verma। Invertebrate zoology। পৃষ্ঠা 537।