কৃষ্ণকালী বা কৃষ্ণকালীকা হলেন কৃষ্ণকালী র সম্মিলিত রূপ। ইনি শাক্তবৈষ্ণব উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পুরানো ব্রজে রাধারানি গোপীনী সহ যখন কৃষ্ণের সাথে বিহার করছিলেন, এমন সময় জটিলা ও কুটিলা আয়ানদ্বীপ ঘোষ (রাধার স্বামী) কে গিয়ে নালিশ করল। আয়ান তখনই রাধাকে হাতে নাতে ধরবে বলে যায়,এবং কৃষ্ণ কালী রূপ ধারণ করেন আর রাধাও নিষ্ঠা ও ভক্তি সহকারে কৃষ্ণকালীর পূজা করে। এই দেখে আয়ান আনন্দে আপ্লুত হয়ে গেল। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল যে আয়ান ছিলেন কালীভক্ত। দেবীর বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয় মাঘ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী বা রটন্তী চতুর্দশী তিথিতে, এছাড়াও যে যে স্থানে তাঁর মন্দির আছে সেখানে নিত্য পূজা হয়। কৃষ্ণকালীর ধ্যান মন্ত্র অনুযায়ী, কৃষ্ণকালী চতুর্ভুজা কৃষ্ণবর্ণা চূড়ামুকুট মণ্ডিতা। দক্ষিণহস্তে শঙ্খ ও খর্পর ধারিণী এবং নবযৌবনসম্পন্না। বাম হস্তে খড়্গ ও চক্র ধারণ করে আছেন এবং মুণ্ডমালা বিভূষিতা। গোপিনীদের দ্বারা অর্চিতা এবং নানালঙ্কার ভূষিতা। আয়ানের (রাধার স্বামী) দ্বারা ভয়ত্রস্ত শ্রী রাধিকার দ্বারা পূজিতা। চতুর্বর্গ প্রদানকারিনী সেই দেবী ব্রহ্মরূপা সনাতনী। দারিদ্র্য শোক নাশকারিনী এবং মোক্ষদায়িনী। দেবীর পূজায় সকল বিপদ-দুঃখ-দৈন দূরে চলে যায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা