কৃষক সেতু

পশ্চিমবঙ্গের সেতু

কৃষক সেতু ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে দামোদর নদের ওপর অবস্থিত একটি সেতু। এর মাধ্যমে দামোদর নদের উত্তর তীরের বর্ধমান শহরের সঙ্গে দামোদর নদের দক্ষিণ তীরের গ্রামীণ এলাকার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষিত হচ্ছে। সেতুটি সব রকম যানবাহনের ক্ষেত্রেই টোল মুক্ত সেতু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মোট দৈর্ঘ্য ৫০০ মিটারের কিছু বেশি। এটি পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘতম সেতুগুলির মধ্যে একটি। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে সেতুটির উদ্বোধন করা হয়।[১] পূর্ত দফতরের অধীনে সরকারি উদ্যোগে এই সেতুটি নির্মিত হয়েছিল।

কৃষক সেতু
কৃষক সেতুর ছবি
স্থানাঙ্ক২৩°১২′৪২″ উত্তর ৮৫°৩৬′২৬″ পূর্ব / ২৩.২১১৬৭১২° উত্তর ৮৫.৬০৭৩০৫৪° পূর্ব / 23.2116712; 85.6073054
বহন করেএকটি পথ, পথে দুটি সবরকম যানবাহন চলাচলের উপযোগী লেন
অতিক্রম করেদামোদর নদ
স্থানবর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ
দাপ্তরিক নামকৃষক সেতু
অন্য নামসদরঘাট সেতু
রক্ষণাবেক্ষকরাজ্য পূর্ত দপ্তর
বৈশিষ্ট্য
মোট দৈর্ঘ্য৫০০ মিটার (১,৬৪০ ফু)
ইতিহাস
চালু১৯৭৭
পরিসংখ্যান
টোলনা
অবস্থান
মানচিত্র

ইতিহাস

সম্পাদনা

সেতুটি বর্ধমানের দক্ষিণ দামোদর এলাকায় বাসিন্দাদের দাবি মেনে ১৯৭৫ সালে তৈরি করা হয়। শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ভোলানাথ সেন। ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরে বামফ্রন্ট সরকার ওই সেতু মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য খুলেদেয়।[১]

সংস্কার

সম্পাদনা

১৯৭৭ সালে চালু হওয়া সেতুটি সংস্কারের অভাবে জীর্ণ হয়ে পরে।[২] সেতুটির বেহাল দশা নিয়ে বহু বার অভিযোগ জানায় স্থানীয় বাসিন্দার। রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর কৃষক সেতু পরিদর্শন করেন। তিনি পরিদর্শন শেষে জেলা পূর্ত দফতরকে সেতুর ভাঙা অংশ দ্রুত সারাই করার নির্দেশ দেন।[১]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "অবশেষে কৃষক সেতু সংস্কারের নির্দেশ মন্ত্রীর"। www.anandabazar.com। আনন্দবাজার পত্রিকা। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০২১ 
  2. "ঝুঁকির যাতায়াত বর্ধমানের 'লাইফলাইনে'"। www.eisamay.indiatimes.com। এই সময়। ২৭ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০২১ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা