কুশ্তি একঠোঁটা

মাছের প্রজাতি

কুশ্তি একঠোঁটা (বৈজ্ঞানিক নাম: Dermogenys siamensis) (ইংরেজি: Wrestling halfbeak) হচ্ছে Hemiramphidae পরিবারের Dermogenys গণের একটি স্বাদুপানির মাছ

কুশ্তি একঠোঁটা
Dermogenys siamensis
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
উপপর্ব: Vertebrata
মহাশ্রেণী: Osteichthyes
শ্রেণী: Actinopterygii
বর্গ: Beloniformes
পরিবার: Hemiramphidae
গণ: Dermogenys
প্রজাতি: Dermogenys siamensis
দ্বিপদী নাম
Dermogenys siamensis
Fowler, 1934
প্রতিশব্দ

Dermogenys pusillus Brembach, 1991[২]
Demogenys siamensis Fowler, 1934[২]
Dermogenys pusillus (non Kuhl & van Hasselt, 1823)[২]
Dermogenys pusilla (non Kuhl & van Hasselt, 1823)[২]

বর্ণনা সম্পাদনা

স্ত্রীমাছ পুরুষ মাছের তুলনায় লম্বা হয়। এদের দেহ জলপাই বাদামী বা বাদামী-ধূসর বর্ণের হয়। দেহের পাশের অংশ মােটামুটি লাল ও পেট ফ্যাকাসে সাদার ন্যায়, ম্যান্ডিবলের শীর্ষ লাল।[৩]

বিস্তৃতি সম্পাদনা

এই মাছ এশিয়ার বাংলাদেশভারত পর্যন্ত বিস্তৃত।

স্বাভাব এবং আবাসস্থল সম্পাদনা

কুশ্তি একঠোঁটা মাছ জলাশয়ের উপরের অংশে ভেসে বেড়ায়। মােহনায় বসবাস করে। এরা ডিমও পাড়ে, আবার সরাসরি বাচ্চাও প্রসব করে। মা-মাছ ডিমকে নিজের মুখের মধ্যে প্রায় এক মাস বহন করতে পারে এবং মুখেই তরুণ মাছের জন্ম হয়। অর্ধঠোটা এই মাছ পােকামাকড় এবং পানির উপরিভাগে ভেসে বেড়ানাে অন্যান্য খাবার খায়। এদেরকে স্বাদুপানি বা ঈষৎ লােনাপানির ছােট বড় নদী, খাল, ড্রেন, পুকুর এবং হ্রদের উপরিভাগ দিয়ে সাঁতরাতে দেখা যায়।[৩]

অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পাদনা

ব্যবসায়িক দিক থেকে এই প্রজাতির মাছ কম গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে অ্যাকুরিয়ামে পালা যায়। কুশ্তি একঠোঁটার আকৃতিতে এতই ছােট যে, মানুষের খাদ্য হিসেবে গন্য হয় না। তবে এরা মশার লার্ভা খেয়ে মানুষের উপকারই করে থাকে।[৩]

বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ সম্পাদনা

আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে এখন বিপন্ন প্রজাতির মাছ হিসাবে চিহ্নিত। বাংলাদেশে এই মাছের উপর গবেষণা হয়নি।[৩]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Dermogenys siamensis"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। 2012। সংগ্রহের তারিখ 24/10/2012  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. Kottelat, M. (2001) Fishes of Laos., WHT Publications Ltd., Colombo 5, Sri Lanka. 198 p.
  3. এ কে আতাউর রহমান, গাউছিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৯৯–৩০০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)