কুশ (প্রজাপতি)
কুশ[৩] (বৈজ্ঞানিক নাম: Hestina nama) যার শরীর ও ডানা কালচে খয়েরি রঙের, ডানায় নীলচে ধূসর সরু ডোরা দেখা যায়। এরা বড় আকারের প্রজাপতি। কুশ ‘নিমফ্যালিডি’ পরিবারের সদস্য এবং ' অ্যাপাটুরিনি' উপগোত্রের অন্তর্ভুক্ত।
কুশ Circe | |
---|---|
ডানা বন্ধ অবস্থায় | |
ডানা খোলা অবস্থায় | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | সন্ধিপদী |
শ্রেণী: | পতঙ্গ |
বর্গ: | লেপিডোপ্টেরা |
পরিবার: | Nymphalidae |
গণ: | Hestina |
প্রজাতি: | H. nama |
দ্বিপদী নাম | |
Hestina nama | |
প্রতিশব্দ | |
আকার
সম্পাদনাকুশ এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৯৫-১০৫ মিলিমিটার দৈর্ঘের হয়।[৪]
উপপ্রজাতি
সম্পাদনাভারতে প্রাপ্ত কুশ এর উপপ্রজাতি হল-[৫]
- Hestinalis nama nama Doubleday, 1844 – Sylhet Circe
বিস্তার
সম্পাদনাহিমালয় এর ২২০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত এদের দেখা মেলে ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।[৬] হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলে এদের অনেক বেশি দেখা যায়, সিমলা থেকে পূর্বে আসাম পর্যন্ত। নেপালএর ১৮০০ থেকে ৭৩০০ ফুট অবধি এদের দেখা যায়। এছাড়া মায়ানমার, তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং পশ্চিম চিন এও কুশদের দেখা মেলে।[৭]
বর্ণনা
সম্পাদনাএদের ডানা কালচে খয়েরি রঙের হয়, তার উপর প্রায় সমান্তরাল অনেকগুলি নীলচে ধূসর রেখা ডানার প্রান্ত অভিমুখে অবস্থিত। মাঝ আঁচলে অথবা তার বাইরের দিকে অনেকগুলি তিরচিহ্ন দেখা যায় তবে সেগুলির মাথা ভিতর দিকে নির্দেশ করে। প্রান্ত বরাবর দু'সারি বিন্দু দেখা যায়। পিছনের ডানাতে লালচে বাদানি রঙ এর আধিক্য দেখা যায়। তার উপরে নীলচে ধূসরের টানা দাগ এবং বিন্দু থাকে।
সাদৃশ্য প্রজাপতি
সম্পাদনাপুরুষ এবং স্ত্রী কুশ প্রজাপতি উভয়ই ছিটমউল প্রজাপতিকে নকল অথবা অনুকরণ করে। এদের সাথে ছিটমউল এর পার্থক্য হল কুশ এর উপরের ডানার হাল্কা দাগগুলি অপেক্ষাকৃত অনেক সরু এবং সামনের ডানার চাস্ট নাট বর্ণের (খয়েরি এবং হলুদের মিশ্রণ) দাগগুলি ছিটমউল এর তুলনায় অনেক সরু এবং ফ্যাকাশে।[৬]
আচরণ
সম্পাদনাএরা খুব দ্রুতবেগে ওড়ে, তবে মাঝেমধ্যেই এদের শূন্যে ভাসমান অবস্থায় ডানা ঝাপটাতে দেখা যায় এবং এই সময় এদের মিল্ক উইড প্রজাপতিদের সাদৃশ মনে হয়। কুশরা খোলামেলা উপত্যকা এবং জংগলের প্রান্তদেশে এদের ওড়াওড়ি করতে দেখা যায়।[৬] এই প্রজাতির প্রজাপতিরা খুব পাকা ফল এবং ফুলে বসতে ভীষণ পছন্দ করে। পুরুষ কুশরা মাড পাডল এর উদ্দেশ্য ভিজে মাটি অথবা ভিজে ছোপযুক্ত জায়গায় বসে। প্রায়শই এদের নিচু ঝোপঝাড়ে, ঘাসের মাথায় বসে অল্প কিছুখন এর জন্য রোদ পোহায়। এদের ফুলের প্রতি আসক্তি দেখা যায়।[৮]
চিত্রশালা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Savela, Markku। "Hestina Westwood, [1850] - Sirens"। Lepidoptera - Butterflies and Moths। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২২।
- ↑ Varshney, R.; Smetacek, P.। ASynoptic Catalogue of the Butterflies of India. (English ভাষায়) (2015 সংস্করণ)। New Delhi: Butterfly Research Centre, Bhimtal and Indinov Publishing। পৃষ্ঠা 214।
- ↑ Dāśagupta, Yudhājit̲̲̲̲̲̲a (২০০৬)। Paścimabaṅgera prajāpati (1. saṃskaraṇa. সংস্করণ)। Kalakātā: Ānanda। পৃষ্ঠা ১০৭। আইএসবিএন 81-7756-558-3।
- ↑ A Pictorial Guide Butterflies of Gorumara National Park (2013 সংস্করণ)। Department of Forests Government of West Bengal। পৃষ্ঠা 167।
- ↑ "Hestinalis nama Doubleday, 1844 – Circe"। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ গ Isaac, Kehimkar (২০০৮)। The book of Indian Butterflies (1st সংস্করণ)। New Delhi: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 399। আইএসবিএন 978 019569620 2।
- ↑ Sanjay et al.,, S.। "Butterflies (Lepidoptera) of the Kameng Protected Area Complex, western Arunachal Pradesh, India"। The Journal of Threatened Taxa। পৃষ্ঠা 1-76। আইএসএসএন 0974-7893। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Lee, Y.J.। "Apaturinae (Lepidoptera: Nymphalidae) from the Korean Peninsula: Synonymic Lists and Keys to Tribes, Genera and species" (পিডিএফ)। Zootaxa। পৃষ্ঠা 1–20। আইএসএসএন 1175-5326। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।