কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত
কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া দ্বীপে অবস্থিত একটি সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতটির দৈর্ঘ্য ২৩ কিলোমিটার।[১] এই সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের নিকট জনপ্রিয় না হওয়ায় সৈকত এলাকা নির্জন ও শান্ত থাকে।[২] সমুদ্র সৈকত ছাড়াও এখানে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাতিঘর, কুতুব আউলিয়ার দরবার, কুতুবদিয়া চ্যানেল এবং বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের বৃহত্তম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র।[২]
ইতিহাস ও নামকরণ
সম্পাদনাধারণা করা হয় পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এ দ্বীপে মানুষের পদচারণা। হযরত কুতুবুদ্দীন নামে এক কামেল ব্যক্তি আলী আকবর, আলী ফকির, এক হাতিয়া সহ কিছু সঙ্গী নিয়ে মগ পর্তুগীজ বিতাড়িত করে এ দ্বীপে আস্তানা স্থাপন করেন। অন্যদিকে আরাকান থেকে পলায়নরত মুসলমানেরা চট্টগ্রামের আশেপাশের অঞ্চল থেকে ভাগ্যান্বেষণে উক্ত দ্বীপে আসতে থাকে। জরিপ করে দেখা যায়, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, পটিয়া, চকরিয়া অঞ্চল থেকে অধিকাংশ আদিপুরুষের আগমন। নির্যাতিত মুসলমানেরা কুতুবুদ্দীনের প্রতি শ্রদ্ধান্তরে কুতুবুদ্দীনের নামানুসারে এ দ্বীপের নামকরণ করেন কুতুবুদ্দীনের দিয়া, যা পরবর্তীতে কুতুবদিয়া নামে স্বীকৃতি লাভ করে।[৩]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত
-
সৈকত এলাকার তীর রক্ষাকারী বাঁধ
-
বিরূপ আবহাওয়ায় কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত
-
সৈকত এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগর
-
কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে পর্যটকেরা
-
সমুদ্র সৈকত থেকে কুতুবদিয়ার বাতিঘর
-
সৈকত এলাকার ঝাউবন
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "টানা ২৩ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত তবু পর্যটনকেন্দ্র হয়ে ওঠেনি শতবর্ষী কুতুবদিয়া"। কালের কণ্ঠ।
- ↑ ক খ "শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন কুতুবদিয়া দ্বীপে"। Dhaka Tribune বাংলা। ১৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "কুতুবদিয়া উপজেলার পটভূমি - কুতুবদিয়া উপজেলা - কুতুবদিয়া উপজেলা"। www.kutubdia.coxsbazar.gov.bd। ১০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭।