কিলিতবাহির দুর্গ
কিলিতবাহির দুর্গ (পুরানো বানান কিলিদুল-বাহর ), যার অর্থ "সমুদ্র দুর্গের তালা", দার্দানেলসের ইউরোপীয় তীরে ১৪৫২ সালে নির্মিত একটি দুর্গ।
কিলিতবাহির দুর্গ | |
---|---|
Kilitbahir Kalesi | |
প্রাক্তন নাম | কিলিদুল বাহর দুর্গ |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | দুর্গ |
শহর | চানাক্কালে |
দেশ | তুরস্ক |
সম্পূর্ণ | ১৪৫২ |
নকশা ও নির্মাণ | |
স্থপতি | মুসলিহিদ্দিন |
ইতিহাস
সম্পাদনাকিলিতবাহির দুর্গটি চানাক্কালের এজিয়াবাত জেলার কিলিতবাহির গ্রামে অবস্থিত। এই দুর্গ ১৪৫২ সালে ইস্তানবুল অবরোধের সময় সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহ কর্তৃক ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি যাতে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যকে সাহায্য করতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়। এটি চানাক্কাল প্রণালীর ইউরোপীয় প্রান্তে, প্রণালীর সবচেয়ে সংকীর্ণ স্থানে, চিমেনলিক দুর্গের বিপরীতে অবস্থিত। গ্যালিপলি সানজাকবেয়ি ইয়াকুপ বে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করেন। ইসমাইল উতকুলার উল্লেখ করেছেন যে, এই দুর্গ ফাতিহ আমলের গুরুত্বপূর্ণ স্থপতি মুসলিহিদ্দিন দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
এই দুর্গের মূল উদ্দেশ্য ছিল, প্রণালীর নিরাপত্তা এবং জাহাজ চলাচলের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা এবং সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করা। ৩০টি কামান দ্বারা সজ্জিত এই দুর্গ প্রণালীর ১,২৫০ মিটার বিস্তৃতির মধ্যে রাখা হয়েছিল। ১৫৫১ সালে সুলতান সুলতান সুলাইমান কানুনি কিলিতবাহিরকে সোনালী টাওয়ার এবং নতুন প্রাচীর দিয়ে শক্তিশালী করেন এবং ভেনিসের সাথে চলমান ক্রিট যুদ্ধের সময় কিলিতবাহির পুনঃনির্মাণ করা হয়। ১৮শ শতকে ফরাসি কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় বিস্তৃত করা হয়। তৃতীয় সেলিম কর্তৃক নেপোলিয়ন যুদ্ধের সময় আবারও পুনর্নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় আব্দুল হামিদের আমলেও সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হয়েছিল।[১][২][৩]
দুর্গের গঠন
সম্পাদনাদুর্গের দৈর্ঘ্য ২২০ মিটার এবং প্রস্থ ১২০ মিটার। দুর্গের দেয়ালে সম্পূর্ণ বৃত্তাকার কাছাকাছি ৩টি বুর্জ রয়েছে, যা দুর্গটির পরিকল্পনাকে একটি তিন পাতার ক্লোভার আকৃতি দেয়। ভিতরে দীর্ঘ একটি ত্রিভুজ আকৃতির টাওয়ার রয়েছে যার দেয়ালগুলি হালকাভাবে বাঁকানো এবং এই টাওয়ারটি ৩০ মিটার উচ্চ এবং ৭ তলা বিশিষ্ট। দেয়াল থেকে এই টাওয়ারে পৌঁছাতে ৩টি পাথরের সেতু রয়েছে। দুর্গের চারপাশে একটি নিম্নতর দেয়াল হিসাবে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। সুলতান সুলেমান আমলে তৈরি অতিরিক্ত প্রাচীর ও টাওয়ার (সারিকুল)[৪] সহ দুর্গটি দক্ষিণ দিকে সম্প্রসারিত হয়।[৫][৬]
স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে, কিলিতবাহির দুর্গটি "মাঝখানে ত্রিভুজাকার প্রধান টাওয়ার, টাওয়ারটির চারপাশে তিনটি ১৮০ ডিগ্রী কোণে তিনটি ত্রিপাত্রীক ক্লোভার আকৃতির প্রাচীর, বাহ্যিক প্রাচীর এবং পরিখা নিয়ে গঠিত।" এই কাঠামোটি ঐতিহ্যবাহী আয়তক্ষেত্রাকার বা বর্গাকার দুর্গ কাঠামোর তুলনায় একক এবং বিশেষ একটি স্থাপত্য। সুলতান সুলাইমানের আমলে দক্ষিণ দিকে নতুন একটি টাওয়ার এবং প্রাচীরের জন্য ত্রিভুজাকার দুর্গ প্রাচীর যোগ করা হয়। এই সংযোজনের ফলে পরিখার ধারণাটি বিস্তৃত হয়, যা প্রথম একরেম হাক্কি আইভারদি দ্বারা লক্ষ্য করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে করা খননকার্য থেকে প্রাপ্ত প্রমাণগুলি আইভারদির অনুমানকে নিশ্চিত করে।
প্রাথমিক স্থাপত্য আকৃতি হলো অভ্যন্তরীণ/বাহ্যিক প্রাচীর, প্রধান টাওয়ার এবং বাহ্যিক প্রাচীরের চারপাশে অবস্থিত পরিখা। বাহ্যিক প্রাচীরের উচ্চতা ৭ মিটার এবং প্রস্থ ২.১৮ মিটার থেকে ২.২৭ মিটার পর্যন্ত। প্রাচীরের উপরে ৯টি টাওয়ার রয়েছে। এই টাওয়ারগুলির উচ্চতা ১.৫০ মিটার বলে জানা যায়। পরিখার প্রস্থ ১০ মিটার থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত।[৭]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- কিলিতবাহির দুর্গ (৩ডি) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৯-১২-১৬ তারিখে
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ (পিডিএফ) https://www.academia.edu/download/65616422/502199_1_.pdf। অজানা প্যারামিটার
|başlık=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|çalışma=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|tarih=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|yayıncı=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]টেমপ্লেট:Ölü bağlantı - ↑ https://islamansiklopedisi.org.tr/kilitbahir-kalesi। অজানা প্যারামিটার
|başlık=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|arşivurl=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|erişimtarihi=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|ölüurl=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|arşivtarihi=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ । অজানা প্যারামিটার
|sayfalar=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|dil=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|yayıncı=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|soyadı=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|ad=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|başlık=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ "Kilitbahir Kalesi"। 10 Ağustos 2020 তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 9 Ağustos 2020। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=, |আর্কাইভের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Nicolle, David। Osmanlı Kaleleri 1300-1810 (Türkçe ভাষায়)। Türkiye İş Bankası Kültür Yayınları। পৃষ্ঠা 4,9,11,13,17,28,31,40,51।
- ↑ "Kilitbahir Kalesi"। 10 Ağustos 2020 তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 9 Ağustos 2020। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=, |আর্কাইভের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ (পিডিএফ) https://www.academia.edu/download/65616422/502199_1_.pdf। অজানা প্যারামিটার
|başlık=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|çalışma=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|tarih=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|yayıncı=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]টেমপ্লেট:Ölü bağlantı