কিরণ বেদি (জন্ম ৯ই জুন ১৯৪৯), একজন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা কর্মকর্তা, সামাজিক কর্মী, সাবেক টেনিস খেলোয়াড় এবং রাজনীতিবিদ, যিনি পুদুচেরির বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর। তিনি ভারতীয় পুলিশ সার্ভিসে (আইপিএস) যোগদানকারী প্রথম মহিলা। ২০০৭ সালে তিনি পুলিশ গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক হিসাবে অবসর গ্রহণের পূর্বে ৩৫ বছর চাকরিতে ছিলেন।

কিরণ বেদি
২০১৭ সালে ডঃ কিরন বেদি
পুদুচেরি লেফটেন্যান্ট গভর্নর
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৯ শে মে ২০১৬[]
পূর্বসূরীএ কে সিং
অফিসার, ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস
কাজের মেয়াদ
১৯৭২–২০০৭
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মকিরণ পেশোয়ারিয়া
(1949-06-09) ৯ জুন ১৯৪৯ (বয়স ৭৫)
অমৃতসর, পাঞ্জাব, ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলভারতীয় জনতা পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীব্রিজ বেদি (১৯৭২–২০১৬; তার মৃত্যু)[]
সন্তানসাইনা (জন্মের সময় নাম সুকৃতি), মেয়ে
পিতামাতাপ্রকাশ লাল ও প্রেম লতা
বাসস্থানপুদুচেরি
শিক্ষাবিএ (সম্মান) ইংরেজি, ১৯৬৮
এমএ রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ১৯৭০
। এলএল.বি, ১৯৮৮
পিএইচডি, ১৯৯৩
প্রাক্তন শিক্ষার্থীপাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড়
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
আইআইটি দিল্লি
পেশারাজনীতিবিদ, সামাজিক কর্মী, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা
পুরস্কারজাতিসংঘ পদক, ২০০৪
রামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ১৯৯৪
রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক, ১৯৭৯
ওয়েবসাইটkiranbedi.com

কিশোর বয়সে, কিরণ বেদি ১৯৬৬ সালে জাতীয় জুনিয়র টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছিলেন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে তিনি জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্তরের চ্যাম্পিয়নশিপে বিভিন্ন শিরোপা জিতেছিলেন। আইপিএস যোগদান করার পর তিনি দিল্লি, গোয়া, চন্ডীগড়মিজোরামে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি দিল্লির চানক্যপুরি এলাকায়, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতির থেকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক জিতেছিলেন। পরবর্তীতে, তিনি পশ্চিম দিল্লিতে চলে যান, যেখানে তিনি নারীর বিরুদ্ধে অপরাধে হ্রাস আনেন। তারপরে, ট্রাফিক পুলিশ অফিসার হিসাবে, তিনি দিল্লির ১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসের জন্য ট্র্যাফিক ব্যবস্থা ও ১৯৮৩ সালে গোয়াতে সিএইচওজিএম-এর জন্য ট্র্যাফিক ব্যবস্থা সামলেছেন। উত্তর দিল্লির ডিসিপি হিসাবে তিনি মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান, যা নবজ্যোতি দিল্লি পুলিশ ফাউন্ডেশন (২০০৭ সালে নবজ্যোতি ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন নামে অভিহিত) হয়ে উঠে।

১৯৯৩ সালের মে মাসে তাকে দিল্লি কারাগারে ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি তিহার কেন্দ্রীয় কারাগারে বেশ কয়েকটি সংস্কারের সূচনা করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল এবং ১৯৯৪ সালে তিনি রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০০৩ সালে, তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবের পুলিশ উপদেষ্টা হিসেবে শান্তি অধিদপ্তর বিভাগে নিযুক্ত প্রথম ভারতীয় নারী। ২০০৭ সালে তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ড ও লেখার উপর মনোযোগ দেওয়ার জন্য পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন বই লিখেছেন এবং ইন্ডিয়া ভিশন ফাউন্ডেশন পরিচালনা করেন। ২০০৮-১১ সালের মধ্যে তিনি একটি আদালতের প্রদর্শনী আপ কি কাছারি আয়োজন করেছিলেন। ২০১১ সালের ভারতীয় দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। ২০১৫ সালের দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে তিনি দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে লড়াই করেছিলেন। ২২ শে মে ২০১২ সালে বেদিকে পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিযুক্ত করা হয়।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

তিন বোন সহ কিরণ বেদী প্রকাশ লাল পেশোয়ারিয়া ও প্রেম লতা পেশোয়ারিয়ারের পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ভারতীয়-আমেরিকান আইনজীবী আনু পেশোয়ারিয়া বেদি তার ছোট বোন।

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি

সম্পাদনা
বছর পুরস্কার কর্তৃক জন্য সূত্র
১৯৬৮ ক্যাডেট কর্মকর্তা পুরস্কার জাতীয় ক্যাডেট কর্পস একজন এনসিসি ক্যাডেট হিসাবে কর্মক্ষমতা
১৯৭৯ রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক বীরত্বের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি আকালী-নিরঙ্কারী সংঘর্ষের সময় সহিংসতা প্রতিরোধে স্পষ্ট সাহস []
১৯৯১ এশিয়া অঞ্চল পুরস্কার ইন্টারন্যাশনাল অর্গানিজশন অফ গুড টেম্পলার্স, নরওয়ে ড্রাগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ []

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Kiran Bedi assumes charge as LG of Puducherry"The Indian Express। ২৯ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৬ 
  2. "Kiran Bedi's Husband Brij Bedi Passes Away in Gurgaon"The New Indian Express। ৩১ জানুয়ারি ২০১৬। ১১ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  3. Saxena 2000, পৃ. 33।
  4. "Interview of Dr. Kiran Bedi"Opportunities Today। RBCS Group। ২০০৪। ১২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা