কিন্নরের শাল হল এক ধরনের শাল যেটি ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের কিন্নর জেলায় তৈরি হয়।[১] শালগুলি তাদের জ্যামিতিক নকশার জন্য পরিচিত।

২০১০ সালের অক্টোবরে, শালটি ভারত সরকার দ্বারা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস অফ গুডস অ্যাক্ট, ১৯৯৯ এর বিধান অনুসারে নিবন্ধিত হয়েছিল। যার ফলে শালের অননুমোদিত উৎপাদন নিষিদ্ধ হয়েছে এবং এটি অমান্য করলে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।[২]

কাঁচামাল সম্পাদনা

বিশ্বায়নের কারণে, আজকের বাজার কৃত্রিম উলে ভর্তি। এগুলি স্বল্পমূল্যের হয় এবং মূলত উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করে। এগুলি সারা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান বাজারগুলিতে চাহিদা মেটাতে কাজে আসে। ভাগ্যক্রমে কিন্নরের বুননের বাণিজ্যিকীকরণ হয়নি। এখানকার স্থানীয়রা আধুনিক বিশ্বের ওপর আস্থা রাখতে পারেনা, এছাড়াও এলাকার দুর্গমতা একটি কারণ। কিন্নরিরা বছরের আট মাস পনেরো ফুট বরফের ওপর বাস করে। প্রতিটি পরিবারের নিজস্ব ভেড়া আছে, যেগুলিকে তারা তাদের পরিবারের অংশ হিসাবে পালন করে। এই ভেড়াগুলি থেকেই তারা এখনও তাদের পশম সংগ্রহ করে।[৩]

নকশা সম্পাদনা

পৌরাণিক রঙের ছোঁয়া লাগানো ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর জটিল জ্যামিতিক নকশা এই শালগুলিতে বোনা হয়। ব্যবহৃত রঙগুলির প্রত্যেকটির একটি অর্থ রয়েছে, সবুজ রঙ ইঙ্গিত দেয় বায়ুর, নীল রঙ - নির্মল আকাশের, সাদা রঙ - জলের, পৃথিবীর জন্য হলুদ এবং আগুন প্রকাশ করার জন্য লাল রঙ।[১] জ্যামিতিক নকশাগুলি শালগুলিকে একটি মধ্য এশীয় প্রভাব দেয়।[৪]

বুনন সম্পাদনা

বাণিজ্যিক বিপননের উদ্দেশ্যে নির্মিত শালগুলি ফ্রেম তাঁত দিয়ে বোনা হয়, পিটলুম তাঁতে স্থানীয় ব্যবহারযোগ্য শাল তৈরি হয়। তাঁতিরা একই নকশা সমন্বিত শালের অর্ধ দৈর্ঘ্যের দুটি অংশ বুনন করে, এবং সমাপ্তির পরে সেলাইয়ের মাধ্যমে অংশদুটি জুড়ে দেয়। গড়ে, একটি শাল সম্পূর্ণ করতে প্রায় ৪৫ দিন সময় লাগে।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Kinnauri Shawl"। Kullu Heritage। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Kinnauri shawl latest HP product to get GI tag"। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  3. "The art of weaving: Shawls from Kinnaur"। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২১ 
  4. "Kinnauri Shawls"। Himbunkar। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  5. "Kullu and Kinnauri Shawls"। D Source। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬