কিউ এ বি এম রহমান

একুশে পদক পাওয়া বাংলাদেশি মুক্তিযুদ্ধা

কিউ এ বি এম রহমান বাংলাদেশী প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা যিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রথমে পরিচালক ও পরে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের প্রথম চেয়ারম্যান ও এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]

ক্যাপ্টেন

কিউ এ বি এম রহমান
জাতীয়তাবাংলাদেশি
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণমুক্তিযোদ্ধা
পুরস্কারএকুশে পদক (২০২২)

মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২২ সালে একুশে পদক প্রদান করে।[২][৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

কিউ এ বি এম রহমান এইচএমএস কনওয়েতে প্রাক-সমুদ্র প্রশিক্ষণ শেষে ক্যাডেট হিসাবে তৎকালীন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়া শিপিংয়ে যোগদান করেন। মাস্টার মেরিনার সার্টিফিকেট পাওয়ার পর মোহাম্মদী শিপিং কোম্পানির আল-আহমাদির কমান্ডে তৎকালীন পাকিস্তানে ফিরে আসেন। এরপর তিনি ইপিএসসির মেরিন সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে যোগদান করেন। পরে তিনি আইডব্লিওটিএর সচিব ও পরিকল্পনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]

মুজিবনগর সরকারে যোগদানের জন্য তিনি ১৯৭১ সালের শুরুতে ভারতে যান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রথমে পরিচালক ও পরে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪][৫]

তার উদ্যোগেই ৫ মার্চ ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন গঠন হয় এবং তিনি বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের প্রথম চেয়ারম্যান ও এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিছু সময়ের জন্য তিনি ঘনিষ্ঠ কিছু সহযোগীদের সাথে জাহাজ-চার্টারিং ব্যবসা পরিচালনা করেন।[১]

মুক্তিযুদ্ধে অবদান সম্পাদনা

১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে কলকাতা থেকে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আটজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই দলে ছিলেন কিউ এ বি এম রহমান। তাদের লক্ষ্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। সেটা ছিল মুক্ত বাংলাদেশ সরকারের প্রথম বেসামরিক প্রশাসন। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন আবুল ফাতেহ। ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সেক্রেটারি রুহুল কুদ্দুস, পুলিশের প্রথম মহাপরিদর্শক আবদুল খালেক, সংস্থাপন সচিব এম নুরুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব আনোয়ারুল হক খান, অর্থ সচিব কে এ জামান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহনের পরিচালক উইং কমান্ডার মির্জা।[৪][৫]

সম্মাননা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Heritage to Horizon" (পিডিএফ)বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  2. "২০২২ সালের একুশে পদক পাচ্ছেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক"দৈনিক প্রথম আলো। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  3. "একুশে পদক পেলেন ৭ গুণী সংস্কৃতিজন"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  4. ঢাকা, সায়েদুল ইসলাম (২৭ ডিসেম্বর ২০২১)। "মুক্তিযুদ্ধ: পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের পরবর্তী আটদিন যেভাবে চলেছে বাংলাদেশ"বিবিসি বাংলা। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  5. জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, শহীদুল ইসলাম (১৮ ডিসেম্বর ২০২০)। "১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১: মুক্ত ঢাকায় এল সরকারের অগ্রবর্তী দল"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২