কিউভি৬৬ (ইংরেজি: QV66) হল মিশরের রানিদের উপত্যকায় ফ্যারাও দ্বিতীয় রামেসিসের প্রধান পত্নী নেফেরতারির সমাধি। ১৯০৪ সালে টুরিনের মিশরীয় জাদুঘরের অধিকর্তা আর্নেস্টো শিয়াপারেলি এটি আবিষ্কার করেন। এই সমাধিটিকে প্রাচীন মিশরের সিস্টিন চ্যাপেল বলা হয়। নেফেরতারি (নামটির অর্থ "সুন্দরী সঙ্গিনী") ছিলেন দ্বিতীয় রামেসিসের প্রিয়তমা পত্নী। এই বিষয়টি তাঁর একাধিক কাজ থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়: নিজের রচনায় দ্বিতীয় রামেসিস নেফেরতারি সম্পর্কে লেখেন "[তিনি সেই রমণী] যাঁর জন্য সূর্য দীপ্তিময় হয়"; নেফেরতারি দেবী হিসেবে পূজা করার জন্য তিনি হাথোরের মন্দির নির্মাণ করেন; এবং দেওয়ালচিত্র অঙ্কন করান। যেমন অধিকাংশ মিশরীয় সমাধিতে পাওয়া যায় নেফেরতারি সমাধিতেও একদা নেফেরতারির মমিকৃত দেহ এবং তাঁর প্রতিনিধিত্বকারী প্রতীকগুলি সবই ছিল। এখন অবশ্য শুধু ৫,২০০ বর্গফুট দেওয়ালচিত্রের দুই-তৃতীয়াংশ ছাড়া সবই লুট হয়ে গিয়েছে। এই দেওয়ালচিত্রগুলি থেকে নেফেরতারির চরিত্রের একটি বিবরণ পাওয়া যায়। ছবিগুলিতে তাঁর সৌন্দর্যটি ফুটিয়ে তোলার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কোনও কোনও ছবি রেখা ও লাল, নীল, হলুদ ও সবুজ রং দ্বারা পরিপূর্ণ। এগুলি পরলোকের মধ্য দিয়ে স্বর্গের চমৎকার পথনির্দেশ হিসেবে অঙ্কিত হয়েছিল।[১][২][৩][৪][৫]

{{{Name}}}
তথ্য
অন্যান্য

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Fischer, D (জুন ১, ১৯৯২)। "Mummy Dearest"Time (22)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. Carroll, Colleen। "Clip And Save Art Notes."। Arts & Activities। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. Shaw, Garry (ডিসেম্বর ২০১৪)। "Egypt reopens tomb as tourism falls."Art Newspaper (263)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "The Tomb of Nefertari"BBC। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৫ 
  5. Wilson-Yang, K.M.; Burns, George (নভেম্বর ১৯৮৯)। "The Stability of the Tomb of Nefertari 1904-1987"। Studies in Conservation (4 সংস্করণ)। Maney Publishing। 34 (4): 153–155। জেস্টোর 1506283 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা