কাস্বাবটুলি জামে মসজিদ

বাংলাদেশের মসজিদ

কাস্বাবটুলি জামে মসজিদ পুরান ঢাকার কসাইটুলির কে.পি. ঘোষ রোডে অবস্থিত শতবর্ষী একটি মসজিদ। স্থানীয়ভাবে এটি ‘চিনির টুকরা মসজিদ’ নামে পরিচিত।[] মূলত, মসজিদের গায়ে চিনামাটির সাদা টুকরাগুলো দেখতে চিনির দানার মতো হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদটিকে এই নামে ডাকেন।

কাস্বাবটুলি জামে মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহানাফী / সুন্নি
পবিত্রীকৃত বছর১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থান
অবস্থানকে.পি. ঘোষ রোড, কসাইটুলি, পুরান ঢাকা
মসজিদের দেয়ালে গোলাপের নকশা

নির্মাণ

সম্পাদনা

মসজিদটি ১৯০৭ সালে নির্মিত হয়। আবদুল বারি নামে এক ব্যবসায়ী এটি নির্মাণ করেন।[] ১৯৭৯ সালে কারুকার্যে কোন পরিবর্তন না করে মসজিদ সংস্কার করা হয়। পরে মসজিদটির ধারণক্ষমতা বাড়াতে এর পূর্ব ও উত্তর দিকের সম্প্রসারণ করা হয়। মূল মসজিদটি একতলা হলেও বর্ধিত অংশটি তিনতলা। বর্তমানে এটি প্রায় পাঁচ কাঠা জায়গায় অবস্থিত।[]

মূল মসজিদটির ভবনে সমতল কোন ছাদ নেই। ছাদবিহীন মসজিদের প্রতিটি পিলারের মাথায় রয়েছে গম্বুজ।[] মূল অংশের ছাদে রয়েছে তিনটি গম্বুজ। তিনটি গম্বুজের মাঝের গম্বুজটি বড় আর দুপাশের দুটির আকার মাঝারি। এছাড়া চার কোণায় রয়েছে চারটি বুরুজ, চারটির কারুকাজ একই ধরনের। গম্বুজ ও বুরুজগুলোর মাথায় পদ্মফুলের নকশা করা তির রয়েছে। ছাদের চারদিক ঘিরে আছে অনেকগুলো টারেট।[]

এছাড়া ছয়টি ছোট ও দুটি জোড়া পিলারের দুটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজগুলোর উচ্চতা ৫-১২ ফুট।[]

মসজিদটির মূল বৈশিষ্ট্য হলো এতে করা ‘চিনিটিকরির কারুকাজ’। মূল ভবনের ভেতরে ও বাইরের দেয়ালসহ সম্পূর্ণ জায়গায় চিনিটিকরি পদ্ধতির মোজাইক দিয়ে নকশা করা হয়েছে। চিনামাটির ভাঙা টুকরা আর রঙিন কাচ দিয়ে গোলাপ ঝাড়, আঙুরের থোকা, ফুলদানির ছবি মসজিদের দেয়ালে-খিলানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।[] মসজিদের ভেতরের মিহরাব ও মিহরাবের আশপাশের নকশাগুলি হচ্ছে সবচেয়ে রঙিন ও জমকালো।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. ইসলাম, মুশফেকা। "কসাইটুলির শতবর্ষী 'চিনির টুকরা মসজিদ'"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. "ঢাকা কোষ"। এশিয়াটিক সোসাইটি।
  3. "শতবর্ষী কসাইটুলীর চিনির টুকরো মসজিদ"দৈনিক সমকাল। ৫ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]