কাসিম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর

কাসিম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর (আরবি: قاسم إبن محمد) (জন্ম ৩৬ বা ৩৮ হিজরি এবং মৃত্যু ১০৬[১] বা ১০৮ হিজরি; অর্থাৎ আনু. ৬৬০/৬৬২ এবং ৭২৮/৭৩০ খ্রিস্টাব্দ)[২] একজন তাবেয়ী এবং ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন আলেম ছিলেন।

কাসিম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর
القاسِم إبِن مُحمّد
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম৩৬ বা ৩৮ হিজরি
মৃত্যু১০৬ হিজরি,[১] ১০৮ হিজরি[২]
ধর্মইসলাম
দাম্পত্য সঙ্গীআসমা বিনতে আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর
সন্তান
পিতামাতা
যুগইসলামি স্বর্ণযুগ
প্রধান আগ্রহসুন্নত, হাদিস, ফিকহতাফসির[২]
মুসলিম নেতা
যার দ্বারা প্রভাবিত
যাদের প্রভাবিত করেন
  • আবুল জিনাদ আবদুল্লাহ ইবনে যাকওয়ান[২]

চতুর্দশ শতকে উদ্ভূত নকশবন্দী সুফি তরিকার সিলসিলায় তার নাম উল্লেখ করা হয়, যেখানে তার নাতি জাফর আস-সাদিক তার স্থলাভিষিক্ত হন।[৩]

জীবনী সম্পাদনা

কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর আনুমানিক ৩৬ বা ৩৮ হিজরির রমজান মাসের এক বৃহস্পতিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

পরিবার সম্পাদনা

কাসিমের পিতা মুহাম্মদ ইবনে আবি বকর ছিলেন খিলাফতে রাশিদার প্রথম খলিফা আবু বকরের পুত্র। কাসিমের ফুফু আয়িশা ছিলেন নবী মুহাম্মাদের একজন স্ত্রী।[২] কিছু রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে যে, আল-কাসিমের মা ছিলেন পারস্যের শেষ সাসানীয় সম্রাট তৃতীয় ইয়াযদগারদ মেয়ে এবং আলী ইবনে হোসাইনের মা শাহ্‌রবানুর বোন।[৪]

কাসিম তার চাচা আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকরের কন্যা আসমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির উম্মু ফারওয়াহ বিনতে কাসিম নামে এক মেয়ে ছিল,[৫] যিনি পরবর্তীতে আলী ইবনে হোসাইনের ছেলে মুহম্মদ আল-বাকিরকে বিয়ে করেন এবং জাফর আস-সাদিকের মা হন। আল-কাসিমের আবদুর রহমান নামে একটি ছেলেও ছিল।[২]

জীবন সম্পাদনা

আয়িশা বার্ধক্য পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন এবং তার ভ্রাতুষ্পুত্র কাসিম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবি বকরকে শিক্ষা দান করেন। কাসিমের মাধ্যমে অনেক হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে।

তিনি তার ফুপু এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের কাছ থেকে হাদিসফিকহ শিখেন। তিনি ছিলেন হাদিসের রাবী।[২]

তিনি ছিলেন মদিনার প্রখ্যাত সাত ফুকাহার মধ্যে অন্যতম,[২] যাদেরকে মদিনা থেকে ইসলামি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বহুলাংশে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তারা বর্তমানে উপলব্ধ ইসলাম ও সুন্নাহ সংক্রান্ত অসংখ্য তথ্যের উৎস।

তিনি মুহাররম মাসের ৯ তারিখে মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী আল-কুদাইদ নামক একটি স্থানে চলে যান এবং পরবর্তীতে সেখানেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন। সালটি ছিল ১০৮ (বা ১০৯) হিজরি অর্থাৎ ৭৩০ বা ৭৩১ খ্রিস্টাব্দ এবং তার বয়স হয়েছিল সত্তর বছর।

প্রথমযুগের আলেম সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Al Qâsim Ibn Muhammad Ibn Abî Bakr"আত-তাওহিদ.নেট (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৩-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. মুহাম্মাদ আবু জাহরাহ। "Imam Malik"The Four Imams (ইংরেজি ভাষায়)। সেপ্টেম্বর ২৯, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. Algar, Hamid (২০০৮)। "Jaʿfar al-Ṣādeq iii. And Sufism"Yarshater, EhsanEncyclopædia Iranica, Volume XIV/4: Jade III–Jamalzadeh, Mohammad-Ali II. Work। London and New York: Routledge & Kegan Paul। পৃষ্ঠা ৩৫৬–৩৬২। আইএসবিএন 978-1-934283-04-2  A full list of the Naqshbandi Golden Chain is given by Farrer, Douglas S. (২০০৯)। Shadows of the Prophet: Martial Arts and Sufi Mysticism। Springer Science & Business Media। পৃষ্ঠা ২৭৩। আইএসবিএন 978-1-4020-9355-5ডিওআই:10.1007/978-1-4020-9356-2 
  4. শেখ মুহাম্মদ মাহদি শামসুদ্দিন (২০০১)। "The Authenticity of Shi'ism"Shi'ite Heritage: Essays on Classical and Modern Traditions (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা ৪৯। 
  5. ইমাম আন-নববি; মুসা ফুরবার; নূহ হা মীম ক্যাল্লার (২০০৩)। Etiquette with the Quran। পৃষ্ঠা ১৭৪। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা