কালীপদ বিশ্বাস (৩ ডিসেম্বর, ১৮৯৯ – ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৬৯) ছিলেন খ্যাতনামা উদ্ভিদবিজ্ঞানী যিনি ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলের এক শৈবালবিশেষজ্ঞ এবং কলকাতার বটানিক্যাল গার্ডেনের ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ সময়ের প্রথম ভারতীয় অধিকর্তা ছিলেন।।

কালীপদ বিশ্বাস
জন্ম(১৮৯৯-১২-০৩)৩ ডিসেম্বর ১৮৯৯
মৃত্যু২৯ ডিসেম্বর ১৯৬৯(1969-12-29) (বয়স ৭০)
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষাডি.এসসি
মাতৃশিক্ষায়তনবঙ্গবাসী কলেজ
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণউদ্ভিদ বিজ্ঞান, শৈবালবিশেষজ্ঞ
পুরস্কাররবীন্দ্র পুরস্কার
ইলিয়ট গোল্ড মেডেল
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রউদ্ভিদ বিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহকলকাতার বটানিক্যাল গার্ডেন
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টাস্যার উইলিয়াম রাইট স্মিথ

কালীপদ বিশ্বাস বৃটিশ ভারতের কলকাতার বেলতলায় ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ৩রা ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন সারদাপ্রসাদ বিশ্বাস। তিনি কলকাতার ভবানীপুরের মিত্র ইন্সটিটিউশনে স্কুলে পডাশোনা করেন। এখানে তার সহপাঠী ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।তিনি ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে আই.এ, পাশ করেন এবং  স্নাতক হন। এখানে তার শিক্ষকেরা  ছিলেন শঙ্কর পুরুষোত্তম আগারকার, সূর্যকান্ত নিজানন্দ বল, এস সি ব্যানার্জি, গিরিশচন্দ্র বসু। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে তিনি উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন এবং স্বর্ণ পদক লাভ করেন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপ যান এবং যুক্তরাজ্যের কিউ এবং এডিনবরার  রয়াল বোটানিক্যাল গার্ডেনে ও বৃটিশ মিউজিয়ামের প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগে যোগ দেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.এসসি ডিগ্রি লাভ করেন

তিনি ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে এবং ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে  ইলিয়ট গোল্ড মেডেল লাভ করেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে রয়াল বটানিক্যাল গার্ডেনের ওষধিশালায় মেধাবী সেবা প্রদানের জন্য পান করোনেশন মেডেল। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে পদ্ধতিগত উদ্ভিদবিদ্যায় উল্লেখযোগ্য গবেষণার জন্য পল জোহানেস ব্রিহিল স্মৃতি পদক লাভ করেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি এককড়ি ঘোষের সঙ্গে  'ভারতীয় বনৌষধি (৩ খণ্ড) বইটির  জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে বার্কলে স্মৃতি পদক পান

কালীপদ বিশ্বাস পল জোহানেস ব্রুলের আগ্রহে কলকাতার সল্ট লেক ও ওড়িশার চিল্কা হ্রদে জলজ প্রাণী হতে শৈবালপুঞ্জের পুঙ্খানুপুঙ্খ সমীক্ষা করেন [১] তিনি ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার রয়াল বটানিক্যাল গার্ডেনের ওষধিশালার কিউরেটর নিযুক্ত হন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্যার উইলিয়াম রাইট স্মিথের অধীনে গবেষণার জন্য এডিনবার্গে যান। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.এসসি ডিগ্রি লাভ করেন এবং দেশে ফিরে বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তা হন। বটানিক্যাল গার্ডেন থেকে অবসরের পর ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে  তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওষধি গাছপালা বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা হন। ১৯৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান মেডিসিনাল প্লান্টস অরগানাইজেশন এবং লখনউ-এর ন্যাশনাল বটানিক গার্ডেনের কার্বকরী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের, ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ছিলেন [২]

বিশ্বাস উদ্ভিদবিদ্যা এবং উদ্ভিদ ইতিহাসের উপর অসংখ্য গবেষণাপত্র লিখেছেন। [৩] তিনি ফিকাস কৃষ্ণকে ফিকাস বেঙ্গালেনসিসের একটি মিউট্যান্ট জাত হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। [৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Biswas, K. (১৯৩৪)। "Progress of Algological Studies in India" (পিডিএফ): 237–241। আইএসএসএন 0011-3891 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. Jain, S.K.; Banerjee, R.N. (১৯৮৪)। "Kalipada Biswas": 73–78। 
  3. Biswas, K. (১৯৪০)। "The Royal Botanic Garden, Calcutta" (ইংরেজি ভাষায়): 959–962। আইএসএসএন 0028-0836ডিওআই:10.1038/145959a0 
  4. Biswas, Kalipada (১৯৩৫)। (পিডিএফ): 424–425 https://www.currentscience.ac.in/Downloads/article_id_003_09_0424_0425_0.pdf  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]