কালকা রেলওয়ে স্টেশন
কালকা রেলওয়ে স্টেশনটি দিল্লি-কালকা লাইনের উত্তর টার্মিনাস এবং ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান কালকা―সিমলা রেলওয়ের সূচনা বিন্দু। এটি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে অবস্থিত। এটি কালকা এবং সিমলায় যাওয়া যাত্রীদের পরিষেবা দিয়ে থাকে।
কালকা রেলওয়ে স্টেশন | |
---|---|
ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশন | |
অবস্থান | কালকা―সিমলা মহাসড়ক, কালকা, পাঞ্চুকলা জেলা, হরিয়ানা ভারত |
স্থানাঙ্ক | ৩০°৫০′১৮″ উত্তর ৭৬°৫৫′৫৫″ পূর্ব / ৩০.৮৩৮৩° উত্তর ৭৬.৯৩১৯° পূর্ব |
উচ্চতা | ৬৫৮ মিটার (২,১৫৯ ফু) |
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেলওয়ে |
পরিচালিত | নর্দার্ন রেলওয়ে |
লাইন | দিল্লি–কালকা লাইন কালকা―সিমলা রেল |
প্ল্যাটফর্ম | ৭ |
রেলপথ | ৯ |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | আদর্শ (অন-গ্রাউন্ড স্টেশন) |
পার্কিং | হ্যাঁ |
সাইকেলের সুবিধা | না |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | কার্যরত |
স্টেশন কোড | কেএলকে (KLK) |
অঞ্চল | নর্দার্ন রেলওয়ে |
বিভাগ | আম্বালা |
ইতিহাস | |
চালু | ১৮৯১ |
বৈদ্যুতীকরণ | ১৯৯৯–২০০০ |
অবস্থান | |
রেল স্টেশন
সম্পাদনাকালকা রেলওয়ে স্টেশনটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৫৮ মিটার (২,১৫৯ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত। এটি আম্বালা রেল বিভাগের এখতিয়ারে কেএলকে (KLK) রেল কোড বরাদ্দ করা হয়।[১]
ইতিহাস
সম্পাদনাদিল্লি―পানিপথ―আম্বালা―কালকা লাইন ১৮৯১ সালে খোলা হয়।[২]
৬১০ মিমি (২ ফুট) চওড়া ন্যারো-গেজ কালকা-সিমলা রেলওয়ে দিল্লি―পানিপথ―আম্বালা―কালকা রেলওয়ে কোম্পানি দ্বারা নির্মিত হয় এবং ১৯০৩ সালে তা চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। [৩] ১৯০৫ সালে লাইনটি ৭৬২ মিমি (২ ফুট ৬ ইঞ্চি) প্রশস্ত ন্যারো গেজে পুনরায় গেজ করা হয়।
বিদ্যুতায়ন
সম্পাদনাচন্ডীগড়-কালকাতে ১৯৯৯-২০০০ সালে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়।[৩]
লোকো শেড
সম্পাদনাকালকার জেডডিএম-৩ এবং জেডডিএম-৫ ন্যারো গেজ ডিজেল লোকো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি ন্যারো গেজ ডিজেল শেড রয়েছে।[৪]
সুবিধা
সম্পাদনাকালকা রেল স্টেশনে দুটি ডাবল বেডযুক্ত নন-এসি রিটায়ারিং রুম এবং একটি চার শয্যার ডরমিটরি রয়েছে।[৫] এখানে একটি কম্পিউটারাইজড রিজার্ভেশন অফিস, নিরামিষ এবং আমিষ হালকা নাস্তার স্থান এবং বইয়ের স্টল রয়েছে।[৬]
প্লাটফর্ম
সম্পাদনা৮ টি প্লাটফর্ম রয়েছে। ৪টি দূরপাল্লার ও ৪টি সিমলা ন্যারো পথের। যেখানে দূরপাল্লার প্লাটফর্মের শেষ , সেখানেই ন্যারো পথের প্লাটফর্মের শুরু।
ট্রেন
সম্পাদনাকালকা মেইল
সম্পাদনাকালকা মেইল (নম্বর ১ আপ/ ২ ডাউন) ১৯৬৬ সালে হাওড়া এবং দিল্লির মধ্যে যাতায়াত শুরু করে এবং তারপরে ১৮৯১ সালে দিল্লি থেকে কালকা পর্যন্ত এর যাত্রাপথ আরও প্রসারিত হয়। উভয় টার্মিনাল স্টেশনে ভাইসরয় এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের গাড়ি যেন তাদের রেল কোচের পাশে পৌঁছাতে পারে, তার জন্য অভ্যন্তরীণ ক্যারেজওয়ে ছিল। হাওড়া ক্যারেজওয়ে এখনও ব্যবহৃত হয় এবং প্ল্যাটফর্ম ৮ এবং ৯ এর মধ্যে চলে, তবে কালকার ক্যারেজওয়েটি একটি প্ল্যাটফর্মে পরিবর্তিত হয়।[৭]
অন্যান্য ট্রেন সমূহ
সম্পাদনা- কাটরা - কালকা এক্সপ্রেস
- একতা এক্সপ্রেস (ভিওয়ানি , হরিয়ানা থেকে)
- দিল্লি কালকা শতাব্দী এক্সপ্রেস
- শিরডি কালকা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস
- আম্বালা কালকা এক্সপ্রেস
- দিল্লি কালকা এক্সপ্রেস
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Kalka Railway Station"। India Rail Info। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "IR History: Early Days II (1870–1899)"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "History of Electrification"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Sheds and workshops"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Northern Railway retiring room facilities"। ৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Kalka Railway Station"। Make My Trip। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Train tales from a bygone era"। The Tribune। ২০ এপ্রিল ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৩।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিভ্রমণ থেকে কালকা রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।