কাবেরী পুষ্করম হল কাবেরী নদীর একটি উৎসব। এটি সাধারণত ১২ বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়।

কাবেরী মহা পুষ্করম্
কাবেরী নদী, ত্রিচি
অবস্থাউদ্‌যাপিত
ধরনহিন্দু উৎসব
পুনরাবৃত্তিপ্রতি ১২ বছর অন্তর (প্রতি ১৪৪ বছর পর মহা পুষ্করম সংঘটিত হয় )
ঘটনাস্থল
অবস্থান (সমূহ)কাবেরী নদী
দেশভারত
অতি সাম্প্রতিক১২-২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
পরবর্তী ঘটনা২১৬১ সালে
ক্ষেত্রকর্ণাটক, তামিলনাড়ু
কার্যকলাপপবিত্র নদীতে অবগাহন
দক্ষিণ ভারতীয় উপদ্বীপের মধ্যে নদীর গতিপথ
থুলা ঘাট-কাবেরী মায়িলাদুথুরাইতে সূর্যোদয়

মায়িলাদুথুরাই সম্পাদনা

 
ময়লাদুথুরাই পুষ্করামের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে

মায়িলদুথুরাই (বা মেইল-আদুম-থুরাই যার অর্থ "যেখানে ময়ূর নৃত্য করে") তামিলনাড়ুর নাগপট্টিনাম জেলার একটি শহর। শহরটি রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই থেকে ২৮১ কি.মি (১৭৫ মাইল) দূরে অবস্থিত। ময়লাদুথুরাইতে ময়ূরানাথস্বামী মন্দির নামক শৈব উপাসনালয় ও ১০৮ দিব্য দেশমগুলির মধ্যে একটি পরিমালা রঙ্গনাথর মন্দির অবস্থিত।

মহা পুষ্করম্ ১২ সেপ্টেম্বর - ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত মায়িলাদুথুরাইতে আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হয়েছিল। যেহেতু নক্ষত্রের আপেক্ষিক অবস্থান ও সরলরেখায় মিলিত হওয়া ১৪৪ বছরে একবার ঘটে। তাই ভক্তরা থুলা ঘাটে পবিত্র ডুব দেওয়ার জন্য ভিড় করেন। উৎসবের দিনগুলিতে বেদ পারায়ণম, হোমম্, মহাযজ্ঞ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যেমন সঙ্গীত, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, আধ্যাত্মিক প্রবচন, অন্নধনম ও পিথরু থর্পনমের আয়োজন করা হয়। নদীর মাঝে কংক্রিটের মেঝে এবং এক ফুট বালি দিয়ে পানি ধরে রাখার জন্য একটি স্থায়ী ট্যাঙ্ক স্থাপন করা হয়েছিল। কাঞ্চির আচার্য ও অন্যান্য বিশিষ্ট মঠ প্রধানগণ মায়িলদুথুরাইতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। [১] [২]

 
থুলা ঘাটে কাবেরী আরতি
 
কাবেরী-থুলা ঘাটে প্রদীপ ভাসান

থুলা ঘাটের ঘটনাবলী সম্পাদনা

মূল ঘটনাটি হল, কাবেরীতে মায়িলাদুথুরাইয়ের থুলা কাট্টমে হাজার হাজার ভক্ত মহা পুষ্করম উৎসবের অংশ হিসাবে প্রস্তুত বিশেষভাবে তৈরি করা ট্যাঙ্ক থেকে পবিত্র জল ছিটিয়েছিলেন। থুলা কাট্টম্ ₹3 কোটি ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছিল। থুলা কাট্টমের ১২ পবিত্র কুণ্ডও (মধ্যযুগীয় চোল যুগে নির্মিত) যথাযথভাবে সংস্কার করা হয়েছিল। নদীর তীরে কাবেরী মঠের একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে যা এই উৎসবের অংশ হিসাবে পূজা করা হয়েছে।

উৎসবের প্রথম দিকে, ভাদাপাল কারাই-এ মঙ্গল বিনয়কর মন্দিরে যগশালা পূজা করা হয়।কাঞ্চি আচার্য শ্রী জয়েন্দ্র সরস্বতী, শ্রী শঙ্কর বিজয়েন্দ্র সরস্বতী স্বামীগল ধর্মপুরম ও থিরুভাবদুথুরাই অধিনমের প্রধান যাজক পবিত্রীকৃত নদীতে জল ঢেলে দিয়েছিলেন।

শ্রী ময়ূরনাথ স্বামী, শ্রী আইয়ারাপার, শ্রী কাশী বিশ্বনাথর, শ্রী বথরন্যেশ্বরের শোভাযাত্রার বিগ্রহগণ থুলা কট্টমের তীরে আগমন করেন।এর পরেই, সেই দেবতাদের অস্ত্র দেবারদের অভিষেক করা হয়। মঠ প্রধানগণ একটি পবিত্র ডুব দেন। কাবেরী মহা পুষ্করমের সূচনা হয়। ভক্তরা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মধপ্রধানদের অনুসরণ করেছিলেন।

অন্যান্য জায়গা সম্পাদনা

মায়িলাদুথুরাই ছাড়াও শ্রীরঙ্গমে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। [৩] [৪] উৎসবটি তালাকাবেরি, হোগেনাক্কল, ভবানী কুডুথুরাই, মেট্টুর, কোদুমুদি, তিরুচেঙ্গোড়ে কোক্কারায়ণপেট্টাই, করুর, পারমাথি ভেলুর, থিরুয়েনগোইমালাই, নেরুর, কুলিথালাই, থিরুপরাইথুরাই, থিরুপ্পারাইথুরাই, থিরুপ্পারাইথুরাই, থিরুপ্পালি, কুলিথালাই, আকনম, কুত্তালাম ও পুম্পুহারে নদীর গতিপথ বরাবরও অনুষ্ঠিত হয়।[৫]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা