কাঞ্চন চৌধুরি ভট্টাচার্য

কাঞ্চন চৌধুরি ভট্টাচার্য (হিন্দি: कंचन चौधरी भट्टाचार्य) হলেন উত্তরাখণ্ড পুলিশ ফোর্সের একজন প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং সাম্প্রতিককালে রাজনীতিতে এসেছেন, ২০১৪ ভারতীয় সাধারণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তিনি আম আদমি পার্টি প্রার্থী হিসেবে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হরিদ্বার কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি একজন প্রথম মহিলা, যিনি কোনো রাজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ হয়েছিলেন এবং ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন।[১] তিনি হলেন কিরণ বেদির পর দেশের দ্বিতীয় আইপিএস অফিসার।[২]

কাঞ্চন চৌধুরি ভট্টাচার্য
कंचन चौधरी भट्टाचार्य
জন্ম
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনদিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাআইপিএস আধিকারিক (১৯৭৩-২০০৭)
দাম্পত্য সঙ্গীদেব ভট্টাচার্য
সন্তানদুই কন্যা
পুরস্কার১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে দীর্ঘ এবং বুদ্ধিদীপ্ত সেবার জন্যে রাষ্ট্রপতির পদক
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে বিশিষ্ট সেবার জন্যে রাষ্ট্রপতির পুরস্কার।
২০০৪ খ্রিস্টাব্দ অভাবনীয় সার্বিক কাজকর্মের মহিলা অর্জনকারী হিসেবে রাজীব গান্ধি পুরস্কার।
ওয়েবসাইটkanchan4aap.in

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা সম্পাদনা

কাঞ্চন চৌধুরি ভট্টাচার্য হলেন মদন মোহন চৌধুরির প্রথম সন্তান। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন হিমাচল প্রদেশে এবং বাস করেছেন অমৃতসর ও দিল্লি শহরে।[৩] কাঞ্চন দেবী অমৃতসর শহরের গভর্নমেন্ট কলেজ ফর ওমেন-এ পড়াশোনা করেছেন।[৪] পরবর্তীতে, তিনি ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ইন্দ্রপ্রস্থ কলেজ থেকে,[৫] এবং ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইউনিভার্সিটি অফ উল্লংগং, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন।[৬] তার পিতা সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িয়ে পড়েন এবং ভীষণভাবে প্রহৃত হন, সেই সময় পুলিশ আধিকারিকরা এফআইআরের মাধ্যমে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে প্রস্তুত ছিলেননা; এই ঘটনা তাকে পুলিশ আধিকারিক হওয়ার জন্যে এবং জনগণের প্রয়োজনে সাহায্য করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। [৭]

কর্মজীবন সম্পাদনা

কাঞ্চন চৌধুরি ভট্টাচার্যের কর্মজীবনধারায় আছে ৩৩টা উজ্জ্বল বছর। তিনি হলেন (কিরণ বেদি মহাশয়ার পর) দ্বিতীয় মহিলা যিনি ১৯৭৩ ব্যাচের আইপিএস আধিকারিক হন। তিনি উত্তর প্রদেশ নিযুক্ত প্রথম মহিলা আইপিএস আধিকারিক এবং বেরেইলি, উত্তর প্রদেশ অঞ্চলের প্রথম মহিলা ডেপুটি জেনারেল ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ। তিনি সেই সময় উত্তর প্রদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রথম মহিলা ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে উন্নীত হয়েছিলেন। তিনি হলেন উত্তরাঞ্চল রাজ্যের প্রথম মহিলা অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং সেই সময়কালে তার পদোন্নতি হয়ে তিনি ওই রাজ্যের প্রথম মহিলা ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ হয়েছিলেন। তিনি তার ৩৩ বছরের গৌরবময় কর্মজীবনে অনেক সংবেদনশীল ঘটনাবলি নিজের হাতে সামলেছেন; যেমন ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে সাত বারের জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন সৈয়দ মোদি খুনের ঘটনা এবং রিলায়েন্স-বোম্বে ডাইং ঘটনা। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং পাবলিক সেক্টরে হোয়াইট কলার অপরাধ দমনের কাজ করেছেন।[৮]

২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কানকুন, মেক্সিকোতে ইন্টারপোল সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Chaudhary, first woman DGP, retires"। Indianexpress Portal। ৩১ অক্টোবর ২০০৭। 
  2. "Officer who changed the face of the police"The Hindu। ২০১২-০৭-২৬। 
  3. "First Woman Director General of Police (DGP) of India"WomenPlanet.in (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১২-২৩। ২০১৭-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-২৮ 
  4. "A trip down memory lane"The Tribune (Chandigarh)। ১২ অক্টোবর ২০০৭। 
  5. "DU has a lot on its ladies special platter"India Today। ৩ জুন ২০০৯। 
  6. "About Kanchan Chaudhary Bhattacharya"। streeshakti.com। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  7. "Kanchan Chaudhary Bhattacharya - Second IPS Officer of the country"IAS Paper (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-১০। ২০১৬-০৩-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-২৮ 
  8. "The Tribune - Magazine section - Saturday Extra"www.tribuneindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-২৮