কমলারাণীর দীঘি

বাংলাদেশের মানব সৃষ্ট ২য় বৃহত্তম বড় দীঘী

কমলারাণীর সাগরদীঘি বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় অবস্থিত একটি বৃহদায়তনের জলাধার।[১] ৬৬.০০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই দীঘিটি আয়তনের দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাধার হিসাবে স্বীকৃত।[২] এই দীঘিটি খনন করান স্থানীয় সামন্ত রাজা পদ্মনাভ।[১] দেশ-বিদেশে এটি রাণী কমলাবতীর দীঘি, বা বানিয়াচং-এর সাগরদীঘি, বা কমলারাণীর দীঘি অথবা এলাকাবসীর কাছে এটি সাগরদিঘী নামেও বহুল পরিচিত।[১][২]

অবস্থানসম্পাদনা

কমলারাণীর দীঘিটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বানিয়াচং দক্ষিন পূর্ব ও বানিয়াচং দক্ষিন পশ্চিম ইউনিয়ন মিলে অবস্থিত এবং এটি সাগরদীঘি মৌজায় অবস্থিত।[৩]

ইতিহাসসম্পাদনা

প্রায় দ্বাদশ শতাব্দিতে রাজা পদ্মনাভ প্রজাদের জলকষ্ট নিবারণের জন্য বানিয়াচং গ্রামের মধ্য ভাগে একটি বিশাল দিঘি খনন করেন। এ দিঘি খননের পর পানি না উঠায় স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে রাজা পদ্মনাভের স্ত্রী রাণী কমলাবতী এ দিঘিতে আত্মবিসর্জন দেন বলে একটি উপাখ্যান এ অঞ্চলে প্রচলিত আছে। এ জন্য এ দিঘিকে কমলারাণীর দিঘিও বলা হয়ে থাকে। এ দিঘি নিয়ে বাংলা ছায়াছবিসহ রেডিও মঞ্চ নাটক রচিত হয়েছে। এর পাড়ে বসে পল্লী কবি জসিমউদ্দিন ‘রাণী কমলাবতীর দিঘি’ নামে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। সে কবিতাটি তার ‘সূচয়নী’ কাব্য গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ দিঘিটি বাংলা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দিঘি বলে খ্যাতি রয়েছে। ১৯৮৬ সালে দিঘিটি পুনঃখনন করান তৎকালীন মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রী সিরাজুল হোসেন খাঁন।

বিবরণসম্পাদনা

জনপ্রিয় মাধ্যমে পরিচিতিসম্পাদনা

কবি জসীমউদ্দীন বানিয়াচংয়ে পরিদর্শনে কালে নয়নাভিরাম সাগরদীঘির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে ‘রানী কমলাবতীর দীঘি’ নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন, যা তার সূচয়ণী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।[১]

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "বানিয়াচং ও সাগরদীঘি ঘিরে পর্যটনের হাতছানি"। মানবকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "সাগরদীঘি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৫ 
  3. "সাগর দীঘি"। বানিয়াচং.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৫ 

বহিঃসংযোগসম্পাদনা