কমলাকান্ত ভট্টাচার্য

বাংলা শাক্ত কবি এবং ভারতের যোগী

কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (অনেক সময় সাধক কমলাকান্ত নামেও পরিচিত) (১৭৭২ - ১৮২০) রামপ্রসাদ সেনের পরেই শাক্ত পদাবলী তথা শ্যামা সংগীতের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি মহারাজ তেজশ্চন্দ্রের গুরু এবং সভাকবি ছিলেন।

কমলাকান্ত ভট্টাচার্য
জন্ম১৭৬৯
মৃত্যু১৮২১
পেশাবর্ধমান মহারাজ তেজচাঁদের গুরু ও সভাসদ
পরিচিতির কারণশাক্ত পদাবলি

কমলাকান্ত ভট্টাচার্য ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে বর্ধমানের তাঁর মাতুলালয়ের জান্না গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মহেশ্বর ভট্টাচার্য এবং মাতার নাম মহামায়াদেবী। কিশোর বয়সে পিতার মৃত্যু হলে মা মহামায়াদেবী দুই শিশু পুত্র কমলাকান্ত ও শ্যামাকান্তকে নিয়ে পিত্রালয়ে আসেন। মহামায়াদেবী কমলাকান্তকে পড়াশোনার জন্য টোলে ভর্তি করে দেন। টোলে পড়াশোনার পাশাপাশি কমলাকান্ত গোপনে সাধন ভজন অনুশীলন শুরু করেন। বর্ধমানের মহারাজ তেজচন্দ্র তার উচ্ছৃঙ্খল পুত্র প্রতাপচন্দ্রকে শিক্ষা দীক্ষায় উপযুক্ত করে তোলার জন্য কমলাকান্তকে বর্ধমানে নিয়োগ দেন। লাকুড্ডিতে তাঁর বাড়ি তৈরি করে দিলেন। মহারাজ তেজচন্দ্র কোটালহাটে কমলাকান্তের সাধন ভজনের জন্য মন্দির করে দেন। সেখানে কমলাকান্ত কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে সাধনা করতেন। শাক্ত পদাবলীতে রামপ্রসাদ সেনের পরেই কমলাকান্তের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি শতাধিক ভক্তিগীতি রচনা করেন।[] আগমনী ও বিজয়া পদে তিনি শ্রেষ্ঠ ছিলেন। ১৮২১ খ্রীষ্টাব্দে কমলাকান্ত মৃত্যুবরণ করেন।[] সাধক কমলাকান্তের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অজস্র অলৌকিক ঘটনা। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গেও সংযুক্ত এক আশ্চর্য অলৌকিক :

[]

সংগীত রচয়িতা

সম্পাদনা

কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের রচিত কয়েকটি বিখ্যাত গান হচ্ছে 'মজিল মোর মন ভ্রমরা শ্যামাপদ নীল কমলে', 'শুকনো তরু মুঞ্জরে না', 'তুমি যে আমার নয়নের নয়ন' ইত্যাদি।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সাধক কবি কমলাকান্ত, উদয় চট্টোপাধ্যায়, পরবাস-৭২"www.parabaas.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  2. "কমলাকান্ত ভট্টাচার্য"onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  3. "Kali Puja 2021: এই তিন কালীসাধকের মৃত্যু ঘিরে রয়েছে রহস্য, রইল সেই সব অতিলৌকিক কাহিনি" 
  4. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ১১২, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬