কন্ধমাল জেলা
কন্ধমাল জেলা(ওড়িয়া: କନ୍ଧମାଳ ଜିଲ୍ଲା, প্রতিবর্ণী. কন্ধমাল জিল্লা) পূর্ব ভারতে অবস্থিত ওড়িশা রাজ্যের ৩০ টি জেলার একটি জেলা৷ ১৭ই পৌষ ১৪০০ বঙ্গাব্দে(২রা জানুয়ারি ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে) পূর্বতন কন্ধমাল জেলাটি থেকে বৌধ মহকুমা জেলারূপে পৃথক করে নতুন কন্ধমাল জেলাটি গঠিত হয়৷ কন্ধমাল জেলাটি ওড়িশার দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর ফুলবাণী শহরে অবস্থিত এবং বলিগুডা মহকুমা ও ফুলবাণী মহকুমা নিয়ে গঠিত৷
কন্ধমাল জেলা କନ୍ଧମାଳ ଜିଲ୍ଲା | |
---|---|
ওড়িশার জেলা | |
ওড়িশায় কন্ধমালের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ওড়িশা |
প্রশাসনিক বিভাগ | দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগ |
সদরদপ্তর | ফুলবাণী |
তহশিল | ১২ |
আয়তন | |
• মোট | ৮,০২১ বর্গকিমি (৩,০৯৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৭,৩৩,১১০ |
• জনঘনত্ব | ৯১/বর্গকিমি (২৪০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬৪.১৩ শতাংশ |
• লিঙ্গানুপাত | ১০৩৭ |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ১৪২৮ মিমি |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
নামকরণ
সম্পাদনাপুরাতন বিভিন্ন তথ্য থেকে কন্ধমাল জেলার নামকরণের দুধরনের ইতিহাস পাওয়া যায়৷ কারো মতে পাহাড়ি জঙ্গলকে স্থানীয় জনজাতির ভাষাকে বিবর্তিত করে কন্ধমাল শব্দটি এসেছে৷ আবার কারো মতো স্থানীয় কৃৃষিজীবী আদিবাসী খোন্ড জনগোষ্ঠীর নাম থেকে খোন্ডমাল ও পরে কন্ধমাল নামটি এসেছে৷[১]
অবস্থান
সম্পাদনাজেলাটির উত্তরে ওড়িশা রাজ্যের বৌধ জেলা৷ জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) ওড়িশা রাজ্যের নয়াগড় জেলা৷ জেলাটির পূর্বে ওড়িশা রাজ্যের গঞ্জাম জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) ওড়িশা রাজ্যের গঞ্জাম জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণে ওড়িশা রাজ্যের গজপতি জেলা৷ জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ওড়িশা রাজ্যের রায়গড়া জেলা৷ জেলাটির পশ্চিমে ওড়িশা রাজ্যের কালাহান্ডি জেলা৷ জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) ওড়িশা রাজ্যের বলাঙ্গির জেলা ও ওড়িশা রাজ্যের বৌধ জেলা৷[২]
জেলাটির আয়তন ৮০২১ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে তম৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ওড়িশা রাজ্যের ৫.১৫%৷
ভাষা
সম্পাদনাকন্ধমাল জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনামোট জনসংখ্যা ৬৪৮২০১(২০০১ জনগণনা) ও ৭৩৩১১০(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে ২৩তম৷ ওড়িশা রাজ্যের ১.৭৫% লোক কন্ধমাল জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ৮১ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৯১ হয়েছে৷ জেলাটির ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ১৩.১০% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ১৮.৬৬% বৃদ্ধির হারের থেকে কম৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ১০৩৭(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৬২৷[৪]