ও ভি উষা

ভারতীয় লেখিকা

ও ভি উষা (জন্ম ৪ঠা নভেম্বর ১৯৪৮)[১] হলেন একজন মালয়ালম কবি এবং ঔপন্যাসিক। লেখক এবং শিক্ষাবিদ কে এম জর্জ তাঁর সম্বন্ধে বলেছেন, "গভীর নৈতিক চিন্তা ভাবনা এবং প্রযুক্তিগত নৈপুণ্য" সহ একজন কবি।[২] তিনি একটি উপন্যাস রচনা করার পাশাপাশি চারটি কবিতা এবং কয়েকটি ছোট গল্প লিখেছেন। তিনি বিভিন্ন জার্নালে প্রবন্ধও লিখেছেন। উষা কোট্টায়ামের মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশনা পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মালয়ালম চলচ্চিত্র মাঝা-তে সেরা গানের কথার জন্য কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন।[৩]

ও ভি উষা
ও ভি উষা, ২০১৬ সালে
ও ভি উষা, ২০১৬ সালে
জন্ম (1948-11-04) ৪ নভেম্বর ১৯৪৮ (বয়স ৭৫)
পেশাকবি, ঔপন্যাসিক
আত্মীয়ও ভি বিজয়ন (ভাই)

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

 

উষা তাঁর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান হিসেবে কেরালার পালঘাটের কাছে একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] শৈশবের বেশিরভাগ সময়ই তাঁর কেটেছে নিজের গ্রামে। তাঁর বাবা "মালাবার স্পেশাল পুলিশ" -এ নিযুক্ত ছিলেন এবং তাঁর বড় ভাই ও ভি বিজয়ন ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক এবং কার্টুনিস্ট[৪] উষা তাঁর মায়ের অনুপ্রেরণায় মালয়ালম সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন, তাই অল্প বয়সেই এর প্রতি আগ্রহ তাঁর তৈরি হয়েছিল।[৫] উষা ১৩ বছর বয়সে কবিতা লিখতে শুরু করেন এবং মালয়ালাম সাপ্তাহিক মাতৃভূমির "চিলড্রেনস কর্নার"-এ নিয়মিত অবদান রেখেছেন।[৫] ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তাঁর কবিতা নিয়মিতভাবে সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল, সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২৫ বছর। তাঁর ভাই দিল্লীতে বসবাস করতেন, তাই স্কুলের পড়া শেষ করার পর, তিনি দিল্লীতে চলে আসেন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।[৪] ডিগ্রী সম্পন্ন করার পর, উষা একজন সম্পাদকীয় প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরে একটি প্রকাশনা সংস্থার প্রধান সম্পাদক হন।[৫]

কর্ম জীবন সম্পাদনা

১৯৭১ সালে, তাঁর "ইনকিলাব জিন্দাবাদ" শিরোনামের একটি ছোট গল্প থেকে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল।[৬] সেই ছবিতেই তিনি একটি গানও লিখেছিলেন ('আরুদে মানসিলে গানময়ী জ্ঞান')। গানটির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন জি দেবরাজন এবং গানটি গেয়েছিলেন পি লীলা। তিনি সম্ভবত আধুনিক মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে প্রথম মহিলা গীতিকার। ১৯৭৩ সাল থেকে, তিনি প্রায় দশ বছরের ধরে বেশি লেখালেখি করেননি। ১৯৮২ সালে, তিনি আবার লেখা শুরু করেন এবং তারপর থেকে নিয়মিতভাবে লিখে গেছেন। যদিও তাঁর বেশিরভাগ কবিতা "বই আকারে" প্রকাশিত হয়নি, তাঁর একমাত্র উপন্যাস শহীদ নামা ২০০১সালে প্রকাশিত হয়েছিল।[৫] তিনি ২০০৮ সালে কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি সদস্যদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং কোট্টায়ামের মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন।[৭][৮]

কাজ সম্পাদনা

  • স্নেহাগীতাঙ্গল (কবিতা)
  • ধ্যানম (কবিতা)
  • অগ্নিমিত্রান্নোরু কুরিপ্পু (কবিতা)
  • শহীদ নামা (উপন্যাস, ২০০১)
  • নীলম থোদা মান্নু (ছোটগল্প)

পুরস্কার সম্পাদনা

মন্তব্য সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Archived copy"। ১৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৮ 
  2. George 1992, পৃ. 253।
  3. "State Film Awards 1969 - 2012"Department of Information and Public Relations (Kerala)। ৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  4. Ajith Kumar, J. (২৪ নভেম্বর ২০০২)। "A passion for the unknown"The Hindu। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  5. Tharu ও Lalita 1993, পৃ. 567।
  6. "Some Lady Bards"The Hindu। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  7. "Film award jury formed"The Hindu। ১৯ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  8. "Bibliography of new books released"The Hindu। ২২ মার্চ ২০১০। ২৭ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:Malayalam Literature