কার্ল ভ্যাল্টার জিএমবিএইচ স্পোর্টঅফেন বা ওয়ালথার[১] (ইংরেজি: Carl Walther GmbH Sportwaffen বা Walther) হচ্ছে একটি জার্মান আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পিস্তলের উন্নয়নে এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত ভূমিকা রেখে এসেছে।[২][৩] এর কিছু অস্ত্র অনেকটা কিংবদন্তির শামিল। এর মধ্যে আছে পিপিকেপি৯৯। এ দুটো মডেলের পিস্তলই বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র জেমস বন্ডের ব্যবহারের কারণে বিশেষভাবে পরিচিত। এছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনীর একটি আদর্শ সাইডআর্ম ছিলো ওয়ালথার নির্মিত পি৩৮

কার্ল ভ্যাল্টার জিএমবিএইচ
ধরনজিএমবিএইচ
শিল্পডিফেন্স
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৮৬ সালে জেলা-মেহলিস শহরে শুরু হয়; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কারখানা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, এবং ১৯৫৬ সালে উল্‌মে নতুন করে কারাখানা চালু হয়।
প্রতিষ্ঠাতাCarl Walther উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সদরদপ্তরউল্‌মআর্নসবার্গ
প্রধান ব্যক্তি
কার্ল ভ্যাল্টার, ফ্রিট্‌জ ভ্যাল্টার
পণ্যসমূহআগ্নেয়াস্ত্র, যুদ্ধাস্ত্র
মাতৃ-প্রতিষ্ঠানUmarex উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
ওয়েবসাইটwww.carl-walther.de

নামের উচ্চারণ সম্পাদনা

জার্মান ভাষায়, ইংরেজি w-এর উচ্চারণ বাংলা -এর মতো, এবং ইংরেজি th-এর উচ্চারণ হচ্ছে । তাই এর প্রকৃত উচ্চারণ ভাল্টার। তাই জার্মান উচ্চারণ সম্পর্কে অজ্ঞাত ইংরেজিভাষীরা এটিকে ওয়ালথার উচ্চারণ করে থাকেন।

ইতিহাস সম্পাদনা

১৮৮৬ সালে কার্ল ভ্যাল্টার জার্মানির জেলা-মেহলিসে এই কোম্পানির গোড়াপত্তন করেন। বর্তমানে এটি জার্মান শহর থুরিনজিয়ায় অবস্থিত। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটি মূলত শিকার এবং নিশানা পরীক্ষণের জন্য ব্যবহৃত রাইফেল তৈরি করতো। ১৯৮০ সালে ফ্রিট্‌জ ভ্যাল্টারের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি পিস্তল তৈরি শুরু করে। ফ্রিটজ ভ্যাল্টার ছিলেন কার্ল ভ্যাল্টারের বড় ছেলে। প্রথম থেকে পঞ্চম, ও সপ্তম থেকে নবম মডেলগুলোর ক্যালিবারগুলো ছিলো ৬.৩৫ থেকে ৭.৬৫-এর মধ্যে। ষষ্ঠ মডেলটি ৯মিমি লিউগার পিস্তলের সাথে সাদৃশ্য রেখে তৈরি করা হয়। এটি ব্লোব্যাক ধরনে অপারেশন পরিচালনা করতো। এই মডেলটি ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। এ মডেলের পিস্তল তৈরি হয় প্রায় ১০০০। ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি জনপ্রিয় পুলিস পিস্তল বা পিপি মডেলের পিস্তল তৈরি করা শুরু করে। একই ধারাবাহিকতায় ১৯৩১ সালে পিপিকে (Polizeipistole, Kriminalmodell) মডেলের পিস্তল তৈরি করে। পরবর্তীকালে ওয়ালথার .২২ লং রাইফেল, .৩২ এসিপি (সবচেয়ে প্রচলিত ক্যালিবার), .৩৮০ এসিপি, এবং সামান্য পরিমাণে .২৫ এসিপি ক্যালিবারেরও পিপি ও পিপিকে পিস্তল তৈরি করে। ওয়ালথারের পিপি মডেলের জন্য উৎপাদিত বাড়তি যন্ত্রাংশ এখন পর্যন্ত কোনো পিস্তল জন্য পিস্তলের জন্য উৎপাদিত বাড়তি যন্ত্রাংশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর উৎপাদনের উচ্চ মানসম্পন্নতা বাজার থেকে লিউগার পি০৮ মডেল পিস্তল সরিয়ে এক কর্তৃত্ব দখল করে। পরবর্তীকালে ১৯৩৮ সালে জার্মান রাইখের সহায়তায় স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে ৯মিমি-এর প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য ওয়ালথারে সংযুক্ত হয়, ও ৯৬০ গ্রাম বিশিষ্ট ৯মিমি পি৩৮ মডেলের পিস্তল তৈরি হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ওয়ালথার নিউয়েনগাম কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের বন্দীদের তাদের নিজস্ব কারখানায় দাস শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করেছিলো।[৪]

উৎপাদিত পণ্য সম্পাদনা

হাতবন্দুক সম্পাদনা

খেলার জন্য সম্পাদনা

আত্মরক্ষার জন্য সম্পাদনা

সাবমেশিনগান সম্পাদনা

রাইফেল সম্পাদনা

খেলায় ব্যবহৃত এয়ার রাইফেল সম্পাদনা
খেলায় ব্যবহৃত কার্বন ডাই অক্সাইড রাইফেল সম্পাদনা
খেলায় ব্যবহৃত ছোট নলের রাইফেল সম্পাদনা

আত্মরক্ষার জন্য সম্পাদনা

ছুরি সম্পাদনা

ওয়ালথার যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এমন ছুরিও তৈরি করে।

টীকা সম্পাদনা

  1. #নামের উচ্চারণ অংশটি দেখুন।
  2. "CO2 Guns Walther"। Sports Marketing। ২০১০-০৪-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২০ 
  3. "Walther Pistols"। Walther Pistols। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-২০ 
  4. KZ-Zwangsarbeit Rüstungsproduktion (German ভাষায়), KZ Gedenkstätte Neuengamme, ২০১১-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-১৩, Seit diesem Zeitpunkt stellten Häftlinge [...] Pistolen und Karabiner (Metallwerke Neuengamme, Zweigbetrieb des thüringischen Waffenherstellers Carl Walther. [Transl.: Since this the prisoners built pistols and rifles (Metal Works Neuengamme, a branch of the Thuringian arms manufacturer Carl Walther.] 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা