ওমান-সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক

ওমান-সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। উভয় দেশই মুসলিমপ্রধান দেশ এবং উভয় দেশের রাষ্ট্রধর্মই ইসলাম।। তাই উভয় দেশই বিভিন্ন বাধা সত্ত্বেও ইসলামিক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইসলামের প্রসার ঘটাতে আগ্রহী। এছাড়াও উভয়েই আরব বিশ্ব এর অংশ এবং একই সাথে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলেই অবস্থিত। তাই সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও এই দুই দেশের মাঝে অনেক মিল পাওয়া যায়। একই সঙ্গে এই দুই প্রতিবেশী দেশের মাঝে অভিন্ন সীমা রয়েছে। ওমানের ২ টি ছিটমহল রয়েছে এই অংশে এবং শুধুমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্য দিয়েই এই ছিটমহলে প্রবেশ সম্ভব। এই ছিটমহলগুলোর সঙ্গে ওমান উপসাগর এর সীমানাও পাওয়া যায়।

ওমান-সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক
মানচিত্র Oman এবং United Arab Emirates অবস্থান নির্দেশ করছে

ওমান

সংযুক্ত আরব আমিরাত

দুই দেশের মধ্যে আন্তরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ওমানের রাজধানী মাস্কাট এ সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইতে ওমানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয় দেশই অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এবং গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) এর সদস্য।

২০১০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে অভিযোগ ওঠে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমানে একটি বৃহৎ গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছিল এবং ওমানের সরকার তা উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়। এই অভিযোগে আরও বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমানের সরকার এবং সেনাবাহিনীর ওপর গোয়েন্দা তৎপরতা চালায়। ওমানের সরকার সমর্থিত সূত্র থেকে জানা যায়, এই চক্রান্তের জেরে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকজন নাগরিককে আটক করা হয়।

ওমান সরকারের তরফ থেকে ধারণা করা হয়, ওমানের সুলতান, কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ কে উৎখাতের জন্য এই গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হতে পারে। এছাড়াও, ওমান এবং ইরানের মধ্যকার সম্পর্কের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহও এই গোয়েন্দা তৎপরতার কারণ হয়ে থাকতে পারে বলে ওমান সরকার মনে করে। তবে এরপর ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার সবসময়ই এই গোয়েন্দা কার্যক্রমে তাদের উপস্থিতির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে।

এর জেরে ওমানের সুলতান আবুধাবি তে অনুষ্ঠিত গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) এর সভায় অংশগ্রহণ করেন নি, যদিও এই সংস্থার অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানরা সবাই উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তীতে কুয়েতের আমির এর মধ্যস্থতায় দুই দেশ আলোচনায় বসে এবং বর্তমানে দুই দেশের মাঝে অন্ত্যন্ত আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে।[১][২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Oman uncovers 'spy network' but UAE denies any links"। bbc.co.uk। ৩১ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  2. https://web.archive.org/web/20110308034829/http://www.kuwaittimes.net/read_news.php?newsid=NDg0NDM3NjA0। মার্চ ৮, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৮, ২০১১  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)