এ রুম অফ ওয়ান'স ওন (বইয়ের দোকান)

এ রুম অফ ওয়ান'স ওন হল একটি স্বাধীন বইয়ের দোকান। এটি ম্যাডিসন, উইসকনসিনের ২৭১৭ অ্যাটউড এভিনিউতে অবস্থিত। একটি নারীবাদী বইয়ের দোকান হিসাবে দোকানটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১] একই নামের ভার্জিনিয়া উলফের ১৯২৯ সালের একটি প্রবন্ধ আছে, তার নাম অনুসারেই এর নামকরণ করা হয়েছিল। এ রুম অফ ওয়ান'স ওন-এ নির্বাচিত বইয়ের বিস্তৃত ভাণ্ডার আছে, যেখানে নারী এবং অ-দ্বৈত লিঙ্গের মানুষ এবং এলজিবিটি সম্প্রদায়ের কাজগুলির উপর মনোনিবেশ করা হয়েছে৷

এ রুম অফ ওয়ান'স ওন (বইয়ের দোকান)
ধরনবইয়ের দোকান
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৭৫
সদরদপ্তর,
মালিকগ্রেচেন ট্রু, ওয়েস লুকস, প্যাট্রিক রথফাস
ওয়েবসাইটwww.roomofonesown.com

বর্ণনা সম্পাদনা

 
এ রুম অফ ওয়ান'স ওন দোকানের একটি অংশ

এ রুম অফ ওয়ান'স ওন নারীবাদ এবং লিঙ্গ অধ্যয়নের মতো ক্ষেত্রগুলিতে বিশেষজ্ঞ, নারীদের দ্বারা এবং সম্পর্কে, অ-দ্বৈত লিঙ্গের মানুষ এবং বিচিত্র ব্যক্তিদের জন্য সাহিত্যকর্ম সরবরাহ করে।[২][৩] ২০১১ সালে একটি বৃহত্তর স্থানে সরে যাওয়ার পর, বইয়ের দোকানটি তার বইয়ের ভাণ্ডারকে আরও বিস্তৃত করেছে এবং কথাসাহিত্য, শিশুদের বই ও স্থানীয় ইতিহাস সম্বন্ধে বইও তাদের তালিকায় যুক্ত করেছে।[৪] দোকানটিতে প্রায় ২০০,০০০ শিরোনামের বই আছে, যার বার্ষিক বিক্রয়মূল্য এক মিলিয়ন ডলারের বেশি।[৫]

এখানে লেখকের আলোচনা এবং বই পড়ার একটি বিশেষ সময়সূচী রয়েছে, দোকানটি সম্প্রদায়ের সম্মেলন এবং অনুষ্ঠানের জন্য বিনামূল্যে স্থানও প্রদান করে।[৩][৬] এই দোকানটি উইসকনসিন বুক ফেস্টিভ্যালের মতো সংস্থাগুলির সাথে অংশীদারীত্ব করে।[৭]

ইতিহাস সম্পাদনা

এ রুম অফ ওয়ান'স ওন ১৯৭৫ সালে শুরু হয়েছিল পাঁচজন মহিলাকে দিয়ে, যাঁরা উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজেদের ডিগ্রি শেষ করেছেন। তাঁরা হলেন স্যাণ্ডি টরকিল্ডসন, মো ডো, সুসান কেচাম, গেইল স্ট্র এবং স্যালি স্টিভেনস।[২] তাঁরা দোকানটি নির্মাণের জন্য $৫,০০০ সংগ্রহ করেছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য নারীবাদী বইয়ের দোকান থেকে সমর্থন যোগাড় করেছিলেন।[২] এর প্রথম অবস্থানটি ছিল ৩১৭ ওয়েস্ট জনসন স্ট্রিটে একটি পুরানো মুদ্রণ অফিসে।[৪] ১৯৯৭ সালে দোকানটি দুটি তলা নিচে নেমে ৩০৭ ওয়েস্ট জনসন স্ট্রিটে যায়;[৫] ২০১১ সালে এটি ৩১৫ ওয়েস্ট গোরহাম স্ট্রিটে, ৬,০০০ বর্গফুট সমন্বিত জায়গায় স্থানান্তরিত হয়। সেখানে আগে অ্যাভোলস বুকস (এবং তারও আগে ক্যান্টারবেরি বুকস) ছিল।[৪][৫]

মালিক স্যাণ্ডি টরকিল্ডসন এবং ন্যান্সি গিয়ারি ২০১৬ সালের জুন মাসে, এ রুম অফ ওয়ান'স ওন দোকানকে বিক্রয়ের জন্য রেখেছিলেন। ২০১৮ সালের জুনে তাঁরা ঘোষণা করেছিলেন যে স্টোরটি তিনজন অংশীদার কিনে নেবেন, ক্রেতারা হলেন দুই কর্মচারী, গ্রেচেন ট্রু এবং ওয়েস লুকস, পাশাপাশি ফ্যান্টাসি ঔপন্যাসিক প্যাট্রিক রথফুস[৫][৮]

#বুকস্টোরসএগেইন্সটবর্ডারস প্রচারাভিযানটি এ রুম অফ ওয়ান'স ওন-এর মালিক এবং কর্মীরা সংগঠিত করেছিলেন, তাঁরা ২০১৯ সালের জুলাই মাসের বিক্রয়ের কিছু অংশ একটি অলাভজনক সংস্থা রিফিউজি অ্যাণ্ড ইমিগ্র্যান্ট সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যাণ্ড লিগ্যাল সার্ভিসেসকে দান করেন এবং অভিবাসীদের জন্য আইনি পরিষেবায় সহায়তা করেন।[৯] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ৯০টিরও বেশি বইয়ের দোকান এবং প্রকাশক তহবিল সংগ্রহ অভিযানে অংশ নিয়েছিল।[১০] এ রুম অফ ওয়ানস ওন ছিল ডাউনটাউন ম্যাডিসন ব্যবসার মধ্যে একটি, যারা ২০২০ সালের মে মাসে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পরে বিক্ষোভকে সমর্থন করে বিবৃতি প্রকাশ করেছিল।[১১]

কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এ রুম অফ ওয়ানস ওন পনের মাসের জন্য বন্ধ ছিল, কিন্তু অনলাইন অনুষ্ঠাগুলি উপস্থাপন করা অব্যাহত রেখেছিল এবং তাদের অনলাইন অর্ডারগুলি বাড়িয়েছিল।[৮] ২০২১ সালের অক্টোবরে, বইয়ের দোকানটি আবার খুলেছে, ২৭১৭ অ্যাটউড অ্যাভিনিউতে, একটি নতুন স্থানে।[১২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. O'Brien, Rowan (২০২৩-০৮-০১)। "Magical Queer Bookstores From Around The World"IN Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৮ 
  2. Schechner, Karen (২৭ এপ্রিল ২০০৫)। "Celebrating 30 Years in A Room of One's Own"BookWeb। American Booksellers Association। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০২০ 
  3. Lorenzsonn, E. (২৬ আগস্ট ২০১৮)। "Q&A: New owners of A Room of One's Own look to sustain bookstore's legacy"The Cap Times। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২০ 
  4. Adams, Barry (৬ জুন ২০১৬)। "A Room of One's Own bookstore up for sale in Downtown Madison"Wisconsin State Journal। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২০ 
  5. Adams, Barry (১৪ জুন ২০১৮)। "New ownership group for A Room of One's Own knows its way around bookstores and includes author Patrick Rothfuss"Wisconsin State Journal। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২০ 
  6. "About Us"A Room of One's Own। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২০ 
  7. Mills, Emily (জুলাই ২০১৮)। "Turning the Page"Our Lives Madison। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২০ 
  8. Yahr, Natalie। "Plot twist: How Madison's bookstores survived the pandemic and emerged stronger than ever"The Capital Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২১ 
  9. Schaub, Michael (৫ জুলাই ২০১৯)। "Bookseller campaign #BookstoresAgainstBorders organizes donations for migrant legal aid"Los Angeles Times। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০২০ 
  10. Gordon, Scott (৩ জুলাই ২০১৯)। "A Room of One's Own galvanizes bookstores in the face of atrocity"Tone Madison। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০২০ 
  11. "A Room of One's Own Bookstore"Facebook (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০২০ 
  12. Schlosser, Keagan। "A Room of One's Own begins its new chapter"NBC15 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা