এ কে এম জহিরুল হক

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক

এ কে এম জহিরুল হক বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক। অনিয়মের অভিযোগে তাকে তার দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে।[১]

এ কে এম জহিরুল হক
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৭ অক্টোবর ১৯৮৪
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1959-01-31) ৩১ জানুয়ারি ১৯৫৯ (বয়স ৬৫)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

এ কে এম জহিরুল হক ১৯৫৯ সালের ৩১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি বিজ্ঞান ও আইনে দ্বৈত স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

জহিরুল হক ১৯৮৪ সালের ৭ অক্টোবর জেলা আদালতে আইনি অনুশীলন শুরু করেন।[৩]

১৯৯০ সালের ১১ জুলাই, জহিরুল হক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০২ সালের ২৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের আইনজীবী হন।[৩]

রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল, জহিরুল হককে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।[৩][৪] নজিরবিহীন ঘটনায় আপিল বিভাগের বিচারপতিরা জহিরুল হক ও অন্য ১৪ বিচারপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।[৫] তিনি এর পূর্বে বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৪] আগস্টে, জহিরুল হক ও বিচারপতি সৈয়দ মুহাম্মদ দস্তগীর হোসেন চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে জামিন দেন।[৬]

২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল জহিরুল হককে স্থায়ী বিচারক করা হয়[৩]

২০১৫ সালের আগস্টে, জহিরুল হক ও বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার একজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা গার্হস্থ্য সহিংসতার মামলা সামরিক আদালতে স্থানান্তর করার পদক্ষেপ বন্ধ করে দেন।[৭]

২০১৭ সালের মে মাসে, জহিরুল হক ও বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী বাংলাদেশ পুলিশের আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর এনাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থীকে কেন হাতকড়া পরিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন।[৮]

জহিরুল হক ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।[৯]

২০১৯ সালে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে পরামর্শ করার পর, জহিরুল হক, বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হককে বিচারকার্য পরিচালনা থেকে বরখাস্ত করেন।[১০] ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত এক রিট মামলায় অবৈধভাবে ডিক্রি জারির মাধ্যমে রায় পরিবর্তন করার জন্য জহিরুল হক ও সালমা মাসুদ চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।[১১][১২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Three HC judges barred from performing judicial acts - Front Page - observerbd.com"The Daily Observer। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  2. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২৩-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  3. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২৩-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  4. "HC gets 17 new additional judges"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৪-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  5. Sarkar, Ashutosh (২০১০-০৪-১৯)। "Rare absence of SC judges marks oath"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  6. "HC stays Milon's property attachment order"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৮-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  7. "Move to transfer woman torture case to military court stayed"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৮-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  8. "Handcuffed to Hospital Bed: HC orders police to explain why they did it"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  9. "HC rejects Khaleda's bail plea in Zia Charitable Trust graft case"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  10. "No farewell to justices mired in corruption, nepotism, misconduct: SCBA"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  11. "Three HC judges out of court for three years"New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  12. "Three HC judges kept out of court"New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬