এরাম গার্ডেন (ফার্সি: باغ ارم‎ Bāgh-e Eram) একটি ঐতিহাসিক পারস্য বাগান, যা ইরানের সিরাযে অবস্থিত। এরাম শব্দটির আরবী শব্দ “ইরাম” পবিত্র কোর’আন শরীফে যার অর্থ দেওয়া আছে বেহেশত/জান্নাত। বেহেশতের মতন সুন্দর বিধায় এরাম গার্ডেনকে “বেহেশত” বলা হয়। এই বাগান ও বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাভাম হাউজ ফারস প্রদেশের খোশক নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত।

পারস্যের বাগান
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: ১, ২, ৩, ৪, ৫
সূত্র১৩৭২
তালিকাভুক্তকরণ২০১১ (৩৫ তম সভা)

ইতিহাস সম্পাদনা

 
বাগানে কাভাস হাউজ
 
এরাম গার্ডেনে শোভা বর্ধক পুল ও খেজুর গাছ

ইতিহাস কাভাম হাউজ প্যাভিলিয়ন ও বাগান উভয়ই খ্রিষ্টাব্দ নবম শতাব্দীর মাঝামাঝি ইলখানাতে বা একজন পারস প্রদেশের কাশকাই উপজাতী সর্বোচ্চ প্রধানের দ্বারা স্থাপিত। বাগানের মূল বিন্যাস ও তার তিন-চতুর্থাংশ ফার্সি জান্নাতের বাগান গঠন সম্ভবত সেলজুক দ্বারা অষ্টাদশ শতাব্দীতে স্থাপিত একটি এলাকার সাথে মিল ছিল বলে মনে করা হয় এবং পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় বাগ-ই-শাহ ("Bāgh-e Shāh") (ফার্সিতে “রাজার বাগান”)।[১] খ্রিষ্টাব্দ অষ্টাদশ শতাব্দীতে নেদারল্যান্ডের এক পর্যটক যার নাম “কর্নেলিয়াস ডি ব্রাইউয়ুন এই বাগান সম্পর্কে একটি বর্ণনা লেখেন।

১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বাগানের গঠন সংশোধিত, পরিবর্তিত বা পরিবর্ধিত হয়। বিভিন্ন সময়ের শাসক বা প্রদেশ প্রধান দ্বারা এর পুনঃস্থাপন অথবা ধরন পরিবর্তিত হয়। কাভাম হাউজটি দক্ষিণমূখী লম্বা অক্ষে অবস্থিত। এই বাড়িটি একজন স্থানীয় স্থপতি দ্বারা নকশা প্রণীত হয়, যার নাম হাজী মোহাম্মদ হাসান। এই বাড়ীটির দুই তলায় মোট ৩২ কক্ষ আছে, যা কবি হাফিয -এর বিভিন্ন কবিতা খচিত টাইলস দ্বারা সুশোভিত। যান্দ ও কাজার –এর শাসনামলে এর গঠনগত দিক থেকে নতুনত্ব আনা হয়।

১৯৬৫ সালে, ইরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ অ্যাম্বাসেডর, স্যার ডেনিস রাইট শিরাজ আসাদোল্লাহ ইউনিভার্সিটির আচার্য কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে এই এরাম গার্ডেনের অগলিভি’র রাজকুমারী অ্যালেক্সান্দ্রা একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন।[১] পাহ্লভী যুগে এই স্থানটি সংরক্ষণ ভার অর্পিত হয় পাহ্লভী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর। সে সময় এই স্থানটি আইন অনুষদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কাভাম হাউজে “এশিয়া ইনিস্টিটিউট” স্থাপিত হয়।

বর্তমানে এরাম গার্ডেন ও কাভাম হাউজ শিরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের “শিরাজ বোটানিক্যাল গার্ডেন” (স্থাপিত ১৯৮৩) এর অধীনে অবস্থিত। ঐতিহাসিক বাগান ও কাভাম হাউজ জাদুঘর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। বর্তমানে এই স্থানটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ইউনেস্কো ও ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংগঠন দ্বারা সংরক্ষিত।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Penelope Hobhouse, Erica Hunningher, Jerry Harpur (২০০৪)। Gardens of Persia। Kales Press। পৃষ্ঠা 126। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

https://web.archive.org/web/20130526213016/http://eramgarden.com/