এম ইউসুফ আলী
এম ইউসুফ আলী (১ ডিসেম্বর ১৯২৬ – ৩১ জুলাই ১৯৯৯) একজন বাংলাদেশি মৎস্যবিজ্ঞানী, প্রশাসক, নীতি নির্ধারক ছিলেন। তিনি প্রাকৃতিক পরিবেশে মৎস্যসম্পদ উৎপাদন, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করতেন।
এম ইউসুফ আলী | |
---|---|
জন্ম | ১ ডিসেম্বর ১৯২৬ |
মৃত্যু | ৩১ জুলাই ১৯৯৯ | (বয়স ৭২)
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
সম্পাদনাএম ইউসুফ আলী ১৯২৬ সালের ১ ডিসেম্বর মাগুরায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুষ্টিয়ায়। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে প্রাণিবিজ্ঞানে স্নাতক হন। এরপর, তিনি কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ফিশারিজ থেকে এমএস ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[১]
কর্মজীবন
সম্পাদনাএম ইউসুফ আলী ১৯৪৫ সালে বঙ্গ সরকারের মৎস্য অধিদপ্তরে যোগদান করেন।[১] দেশভাগের পর তিনি যশোরে মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।[২]
এম ইউসুফ আলী মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক ছিলেন।[১] তিনি ১৯৮৩ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অবসরগ্রহণ করেন।[২] অবসরগ্রহণের পর তিনি বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজে যোগদান করেন।[১]
এম ইউসুফ আলি বাংলাদেশে উন্নত ধরনের মৎস্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা প্লাবিত সমভূমিতে মৎস্য উৎপাদনের সম্ভাব্যতা শনাক্তকরণ শিরোনামের দুইটি প্রকল্পের দলনেতা ছিলেন।[১] তার পঞ্চাশটিরও অধিক প্রকাশনী ছিল।[২] তিনি ফিশ, ওয়াটার অ্যান্ড পিপল ও ওপেন ওয়াটার ফিশারিজ অব বাংলাদেশ শিরোনামের দুইটি গ্রন্থের রচয়িতা। বই দুইটি যথাক্রমে ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে ইউনিভার্সিটি প্রেস, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।[১]
এম ইউসুফ আলী মৎস্য সম্পদের স্বাভাবিক আবাস, বিভিন্ন ধরনের জলাশয় ও জলজ সম্পদের প্রাকৃতিক অবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য কাজ করেছেন। এদেশে রুইজাতীয় মাছের কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির প্রচলন ও সম্প্রসারণের অগ্রদূত ছিলেন তিনি।[১]
এম ইউসুফ আলী তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রাণিবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় চালু করার ব্যাপারে অবদান রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির ফেলো ছিলেন।[১] তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মৃত্যু
সম্পাদনাএম ইউসুফ আলী ১৯৯৯ সালের ৩১ জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।[১][২]