এমভি আবদুল্লাহ, যার মূল নাম হল এমভি গোল্ডেন হক–একটি বাংলাদেশী বাল্ক ক্যারিয়ার

এমভি আব্দুল্লাহ
MV Abdullah
ইতিহাস
নাম: গোল্ডেন হক
স্বত্তাধিকারী: আব্দিরহমান বিল গুরিগুবে
নিবন্ধনকৃত বন্দর:  পানামা
সম্পন্ন: ২০১৫
ইতিহাস
নাম: আব্দুল্লাহ
স্বত্তাধিকারী: কবির গ্রুপ
নিবন্ধনকৃত বন্দর:  বাংলাদেশ
অর্জন: ২০২৩
টীকা: জলদস্যুদের হাতে ২০২৪ সালের মার্চে হাইজ্যাক হয়।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: বাল্ক ক্যারিয়ার
টনিজ: ৩২৭১৪
দৈর্ঘ্য: ১৮৯ মি (৬২০ ফু ১ ইঞ্চি)
প্রস্থ: ৩২ মি (১০৫ ফু ০ ইঞ্চি)[১]
নাবিক: ২৩

ইতিহাস সম্পাদনা

২০১৫ সালে নির্মিত ৬২৩-ফুট (১৯০ মি) এই জাহাজটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে জাপানি মালিকদের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়েছিল।[২]

হাইজ্যাক সম্পাদনা

২০২৪ সালের মার্চে জাহাজটি মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতো থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরে যাচ্ছিল।[৩] জাহাজটির মালিক কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস জানায়, জাহাজটি ৫৫,০০০ টন বহন করছিল।[৪] ১২ মার্চে জাহাজটি জলদস্যুরা হাইজ্যাক করেছিল বলে জানা গেছে।[৪]

জাহাজের ২৪ জন ক্রুকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল।[৫] জাহাজটি ৭২ নটিক্যাল মাইল (১৩৩ কিমি; ৮৩ মা) সোমালিয়ার উপকূলের পাশে ছিল।[৬] ১৪ মার্চ কার্গো ক্যারিয়ারের ছায়া দেয়ার জন্য অপারেশন আটলান্টার অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বারা একটি নতুন জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছিল।[৭]

কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন দাবি করে, ১৪ মার্চ ভারতীয় নৌবাহিনীর আইএনএস Tarkash জাহাজে থাকা ক্রু সদস্যদের উদ্ধার করতে ছিনতাই করা জাহাজটিকে আটকে দেয় এবং একটি বোয়িং পি-৮ পসাইডন সামুদ্রিক টহল বিমান ওই স্থানে প্রেরণ করে।[৮] যদিও তাদের এখানে সত্যিই কোন কৃতিত্ব নেই, কারন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ উদ্ধারে ভারতীয় নৌবাহিনীর কোন ধরনের সম্পৃক্ততাই ছিল না।

বাংলাদেশী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ভারতীয় নৌবাহিনী সম্পর্কে এই ধরনের মিডিয়া প্রতিবেদনকে “মোটেও সত্য নয়” বলে উড়িয়ে দেন এবং জলদস্যুদের সাথে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন যে, জাহাজটি সোমালি উপকূলের কাছাকাছি নোঙর করা হয়েছিল এবং “পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে দূরে অন্য একটি ছিনতাইকৃত জাহাজের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যার জ্বালানী প্রয়োজন ছিল।”[৯]

মুক্তিলাভ সম্পাদনা

অপহৃত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে $5 মিলিয়ন (€4.7 মিলিয়ন) মুক্তিপণ প্রদানের বিনিময়ে সোমালি জলদস্যুরা ২০২৪ সালের ১৪ এপ্রিল ছেড়ে দেয়।[১০][১১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ABDULLAH, Bulk Carrier - Scheepsdetails en huidige positie - IMO 9745598 - VesselFinder"www.vesselfinder.com 
  2. "Pirates Board Bangladeshi Bulker in the Indian Ocean"The Maritime Executive (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৪ 
  3. "British military reports a suspected piracy attack off the coast of Somalia"ABC News (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ মার্চ ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৪ 
  4. "Pirates seize control of cargo ship near Somalia, say owners"Al Jazeera (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৪ 
  5. Network, MI News (২০২৪-০৩-১৩)। "Watch: Armed Somali Pirates Hijack Bulk Carrier With 23 Crew Members Off Somalia"Marine Insight (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৪ 
  6. Rocky, Nasir Uddin (১৪ মার্চ ২০২৪)। "MV Abdullah fate hangs in balance as pirates yet to issue demands"Dhaka Tribune 
  7. "EU maritime force says it is shadowing a Bangladesh-flagged ship seized by pirates off Somali coast"AP News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৩-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৪ 
  8. Ray, Kalyan। "Indian Navy ship INS Tarkash intercepts hijacked Bangladeshi vessel"Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৭ 
  9. Express, The Financial। "Indian navy bid to rescue BD ship proves hoax"The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২৪ 
  10. "Somali pirates free Bangladesh cargo ship after ransom paid"ডয়চে ভেলে। ১৪ এপ্রিল ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২৪ 
  11. Hassani, Abdiqani। "Somali pirates say hijacked ship MV Abdullah released after $5 million ransom was paid"। রয়টার্স। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২৪