এন্থিরান (তামিল: எந்திரன், অনুবাদ 'যন্ত্রমানব') হচ্ছে ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তামিল বিজ্ঞান কল্পকাহিনীভিত্তিক চলচ্চিত্র, এটি এস. শঙ্কর দ্বারা রচিত ও পরিচালিত হয়েছিলো।[৬] চলচ্চিত্রটিতে রজনীকান্ত এবং ঐশ্বর্যা রায় মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন, এছাড়াও ছিলেন ড্যানি ডেনজংপা, শান্তনম এবং করুণাস। গানের সুর এবং আবহ সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এ আর রহমান

এন্থিরান
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকএস. শঙ্কর
প্রযোজককালাইনিদি মারান
চিত্রনাট্যকারএস শঙ্কর
কাহিনিকারএস শঙ্কর
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারএ আর রহমান
চিত্রগ্রাহকআর রত্নভেলু
সম্পাদকএ্যান্হনি
প্রযোজনা
কোম্পানি
সান পিকচার্স
পরিবেশকসান পিকচার্স
মুক্তি
  • ১ অক্টোবর ২০১০ (2010-10-01)
স্থিতিকাল১৬৬-১৭৭ মিনিট[Note ১]
দেশভারত
ভাষাতামিল
নির্মাণব্যয়প্রা. ১.৩২ – ১.৬২ বিলিয়ন[Note ২]
আয়প্রা. ২.৯০ বিলিয়ন

চলচ্চিত্রটির কাহিনী ডক্টর ভাসিগরন (রজনীকান্ত) কে নিয়ে যিনি চিট্টি নামের একটি রোবট বানান এবং পরে সেই রোবটটির ভেতরে মানবীয় অনুভূতি প্রবেশ করালে তিনি ঝামেলায় পড়ে যান কারণ চিট্টি তার প্রেমিকা সানা (ঐশ্বর্যা রায়) কে পছন্দ করে ফেলে এবং তার সাথে প্রেম করতে চায়।

এই চলচ্চিত্রটির সিকুয়েলের নাম হচ্ছে টু পয়েন্ট জিরো

সারাংশ সম্পাদনা

বিজ্ঞানী ওয়াসী করণ একটি রোবট বানান যে মানুষের মতোই কথা বলতে পারে, দেখতে অবিকল তার নিজের মতোই। রোবটটি অনেক দ্রুত কাজ করতে পারে, মানুষের মত সব কাজ সহ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি অসম্ভব কাজও সে পারে। তার নাম ওয়াসী করণ রেখেছেন চিট্টি, রোবটটির শুধু মানুষদের মত দয়া, মায়া বা আবেগের অনুভূতি নেই, সে শুধু মানুষের কথা শুনে কাজ করে, সে ভালো-মন্দ নিরূপণ করতে পারেনা/তার পার্থক্য বোঝেনা। তাই একদিন ওয়াসী রোবটটির ভেতরে মানুষের আবেগীয় গুণাবলী এবং অনুভূতি ঢুকিয়ে দেন কিন্তু চিট্টি তখন ওয়াসীর প্রেমিকা সানার প্রেমে পড়ে। ওয়াসী তখন রোবটটিকে মেরে আস্তাকুড়ে ফেলে দিয়ে আসে।

বোহরা নামের এক বিজ্ঞানী চিট্টিকে আস্তাকুড় থেকে উদ্ধার করে তাকে নতুনভাবে তৈরি করে এবং তার শরীরের ভেতরে একটি চিপ ঢোকায় যাতে করে চিট্টি হিংসাত্মক হয়ে যায়। রোবটটি চেন্নাই শহর জুড়ে ভাংচুর আর খুন-খারাবি শুরু করে আর সানাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওয়াসী করণ অনেক কষ্টে রোবটটিকে সর্বশেষে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় এবং তার ভেতর থেকে চিপটা বের করে তাকে পুনরায় ভেঙে দেয়।

অভিনয়ে সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Enthiran (English Subtitled)"Amazon। ২২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৫ 
  2. "ENTHIRAN (12A) – British Board of Film Classification"British Board of Film Classification। ২২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১২ 
  3. "Sun TV Network Q3 Net up 48.40% at Rs 225.49 cr"The Economic Times। Press Trust of India। ২৮ জানুয়ারি ২০১১। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  4. Bhattacharya, Anirban (৭ অক্টোবর ২০১০)। "Rajinikanth's 'Robot' to end all robots"CNN Travel। ৫ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৬ 
  5. Raghavan, T. S. Sreenivasan (২২ অক্টোবর ২০১০)। "Chitti, the robot, delights tax officials"Bangalore Mirror। ১৩ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৮ 
  6. Koski, Genevieve (৩ মার্চ ২০১১)। "Enthiran"The A.V. Club। ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১১ 

নোট সম্পাদনা

  1. The British Board of Film Classification and Amazon.com gives the runtime as 166 minutes and 177 minutes respectively.[১][২]
  2. The Economic Times claims the film's budget to be 1.32 মিলয়ন,[৩] whereas Anirban Bhattacharya of CNN Travel and T. S. Sreenivasan Raghavan of Bangalore Mirror state that it is 1.62 বিলিয়ন.[৪][৫]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা