এনএইচটেন (চলচ্চিত্র)

হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র

এনএইচটেন ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারত এ নির্মিত একটি হিন্দি থ্রিলার চলচ্চিত্র। সুদীপ শর্মা রচিত এই চলচ্চিত্রটির পরিচালক নভদীপ সিং এবং অভিনয়াংশে আছেন অনুষ্কা শর্মা, নীল ভূপম, দর্শন কুমার, দীপ্তি নাভাল এবং রবি ঝাঁকালএনএইচটেন সম্মিলিতভাবে ক্লিন স্লেট ফিল্মজ, ফ্যান্টম ফিল্মস, ইরোস ইন্টারন্যাশনাল প্রযোজনা করেছে এবং এটিই শর্মার প্রথম প্রযোজিত চিত্র বলে চিহ্নিত। এটিতে এমন এক দম্পতির গল্প বলা হয়েছে যারা একদল হিংস্র অপরাধীদের সাথে লড়াই করতে গিয়ে তাদের রোড ট্রিপ বেঁকে গিয়ে স্তবদ্ধ হয়ে পড়ে। শিরোনামটি দিয়ে ন্যাশনাল হাইওয়ে ১০ কে বোঝানো হয়েছে। সেটি হল দিল্লির সাথে পাঞ্জাব এর ফাজিলকা শহরের সংযোগকারী সড়ক পথ।

এনএইচটেন
অফিসিয়াল রিলিজ পোস্টার
থিয়েটারে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকনভদীপ সিং
প্রযোজকবিক্রমাদিত্য মতওয়ানে
অনুরাগ কাশ্যপ
বিকাশ বহল
অনুষ্কা শর্মা
সুনীল লুল্লা
কর্ণেশ শর্মা
রচয়িতাসুদীপ শর্মা
শ্রেষ্ঠাংশেঅনুষ্কা শর্মা
নীল ভূপম
সুরকারঅনির্বাণ চক্রবর্তী
সঞ্জীব-দর্শন
আয়ুশ শ্রেষ্ঠা
সাভেরা মেহতা
সামিরা কোপ্পিকার
চিত্রগ্রাহকঅরবিন্দ কান্নাবিরান
সম্পাদকজাবীন মার্চেন্ট
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকএরস ইন্টারন্যাশনাল
মুক্তি
  • ১৩ মার্চ ২০১৫ (2015-03-13)
স্থিতিকাল১১৫ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
হরিয়ানভি
নির্মাণব্যয় ৮০ মিলিয়ন (US$ ৯,৭৭,৮৬৪)[১][২]
আয়প্রা.  ৩২ কোটি (US$ ৩.৯১ মিলিয়ন)[৩]

ছবিটি নভদীপ সিং এর ধারণা অনুসারে কিছু বাস্তব জীবনের সম্মান হত্যা মামলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাহিনী বয়ন করে ছিলেন সুদীপ শর্মা। ছবির সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবামটিতে অবদান রয়েছে সঞ্জীব-দর্শন, অনির্বাণ চক্রবর্তী, অভিরুচি চাঁন্দ, আয়ুশ শ্রেষ্ঠা, সাভেরা মেহতা এবং সামিরা কপ্পিকার। চলচ্চিত্রটির সিনেম্যাটোগ্রাফার ছিলেন অরবিন্দ কান্নাবিরান এবং এর সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন জাবীন মার্চেন্ট।

এনএইচটেন মূলত ৬ মার্চ ২০১৫ তে মুক্তি পাওয়ার জন্য নির্ধারিত থাকলেও ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন দ্বারা অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় তা স্থগিত করা হয়েছিল। ইতিবাচক সমালোচিত ও প্রশংসিত হওয়ায় ছবিটি ১৩ মার্চ ২০১৫ সালে থিয়েটারে মুক্তি লাভ করে। ফিল্মটি স্লিপার হিট হয়ে উঠেছিল এবং বক্স অফিস থেকে উপার্জন করেছিল ৩২০ মিলিয়ন (US$ ৩.৯১ মিলিয়ন) (জুন ২০১৮-এর হিসাব অনুযায়ী)। এটি তামিল ভাষায় গর্জানি নামে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল।

পটভূমি সম্পাদনা

মীরা এবং অর্জুন বিবাহিত এবং গুরগাঁওয়ে কর্পোরেট চাকুরে। এক রাতে যখন তাঁরা একটি পার্টি উপভোগ করছিলেন তখন তাঁর অফিস থেকে টেলিফোন পেয়ে মীরা গাড়িতে তাঁর অফিসের দিকে রওনা হন। কিন্তু পথে একদল ঠগ আক্রমণ করে এবং তাঁর গাড়ির উইন্ডোটি ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়ে যায়। মীরা পালিয়ে গেলেও এই ঘটনায় কাঁপতে থাকেন। অর্জুন মীরাকে একটি বন্দুক কিনে দেন। মিরার আসন্ন জন্মদিনের জন্য অর্জুন রোড ট্রিপের পরামর্শ দেন; দম্পতি পরের দিন তাঁদের যাত্রা শুরু করেন। মধ্যাহ্নভোজনে রাস্তার পাশের ধাবায় থামার সময় পিঙ্কি নামে এক যুবতী এসে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন; দম্পতিকে জানান যে পিঙ্কি এবং তাঁর স্বামী খুন হতে চলেছেন। মীরা ও অর্জুন দেখেন পিঙ্কি এবং একটি যুবককে দল বেঁধে কিছু লোক মারধর করে গাড়িতে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। অর্জুন হস্তক্ষেপ করলেও গ্যাং লিডার সতবীর তাঁকে থাপ্পড় মারে এবং বলে যে পিঙ্কি তার নিজের বোন। অর্জুন দলটির চলে যাওয়ার পরে পরেই গাড়ি চালিয়ে তিনি এবং মীরা ঘটতে থাকা সম্মান হত্যা প্রত্যক্ষ করেন। পিঙ্কি এবং যুবকটিকে পেটানোর পর সতবীর পিঙ্কিকে বিষ ধরিয়ে দেয়। অর্জুন এবং মীরা পালালে দলটি তাঁদের সন্ধান করতে থাকে। দলটি যখন তাদের হাতে ধরা পড়া ভুক্তভোগীদের জন্য একটি কবর খনন করছিল তখন সতবীর পিঙ্কি এবং সামনের সেই যুবকটিকে গুলি করার জন্য মীরা এবং অর্জুনের বন্দুক ব্যবহার করে। একটি লড়াই শুরু হয়ে যায় এবং অর্জুন ছোটা নামে দলের এক সদস্যকে গুলি করেন এবং মীরাকে সঙ্গে করে পালিয়ে যান।

রাতে গ্যাংয়ের একজন সদস্য অর্জুনকে আহত করে; মীরাও গুলি করে গ্যাংস্টারটিকে মেরে ফেলেন। সাহায্য চাইতে একটি রেলওয়ে ব্রিজের কাছে মীরা অর্জুনকে ছেড়ে যান। তিনি একটি থানার খোঁজ পেয়ে অফিসারকে সাহায্য চাইতে সম্মান হত্যা প্রত্যক্ষ করার কথা জানালে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। মীরা বাইরে এলে এসইউভি তে থাকা একজন ইন্সপেক্টরের সাথে দেখা হয় এবং তারা অর্জুনকে খুঁজতে উদ্যত হয়। মীরা তখন বুঝতে পারেন যে ইন্সপেক্টটির সাথে আক্রমণকারীদের যোগ আছে; মীরা ইন্সপেক্টরটিকে হত্যা করে এবং তার গাড়িটি নিয়েই দলটির তাড়া খেয়ে পালিয়ে যান। মীরা এসইউভিটিকে উল্টে দেন এবং একটি কুঁড়েঘর খুঁজে পান। ঝুপড়ির বসিন্দারা মীরাকে গ্যাং সদস্যের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখে। তারা মীরাকে পাশের গ্রামের সরপঞ্চ (প্রধান) এর কাছে সাহায্য চাইতে পরামর্শ দেয়।

মীরা গ্রামের কর্ণধার আম্মাজিকে তাঁর গল্প বলেন; অনার কিলিংয়ের কথা বলার পরে মীরা দেখেন যে আম্মাজির কোলে একটি বালিশের ঢাকনায় পিঙ্কি শব্দটি সেলাই করা এবং ঘরে পিঙ্কির একটি ছবি। আম্মাজি মীরাকে একটি ঘরে তালা বন্ধ করে রাখে এবং দলটিকে ডেকে মীরাকে তাদের হাতে তুলে দেয়। তারা তাঁকে বাইরে টেনে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। মীরা দলের এসইউভি নিয়ে পালিয়ে রেলওয়ে ব্রিজের দিকে ছুটে যান। যেখানে গিয়ে দেখেন অর্জুনকে খুন করা হয়েছে।

শোকাহত মীরা অর্জুনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে গ্রামে ফিরে আসেন; তিনি এসইউভিটিকে গ্যাং সদস্যদের দিকে চালিত করে তাদের হত্যা করেন। আম্মাজী উপস্থিত হয়ে মৃত লোকদের দেখতে পায়; সে মীরাকে বলে যে পিঙ্কি তারই মেয়ে ছিল এবং সে নিয়ম ভঙ্গ করেছিল বলে তার শাস্তি হওয়ার দরকার ছিল। ভোর হতেই মীরা গ্রাম ছেড়ে চলে যান।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Baby, Badlapur, DLKH, NH10, Phantom, Bajirao Mastani – Right budget and profit sharing key for Box Office success"Bollywood Hungama। ১৪ মার্চ ২০১৫। ৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "NH10 Opens Better Than Queen, Kahaani, Tanu Weds Manu; Equals Mardaani"koimoi। ১৪ মার্চ ২০১৫। ১৫ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "Box-Office Verdicts Of Major Bollywood Releases Of 2015"। Koimoi। ১১ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৫