এখনো অনেক রাত
এখনো অনেক রাত ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন খান আতাউর রহমান। এটি খান আতা পরিচালিত শেষ চলচ্চিত্র।[২] এই ছায়াছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন খান আতাউর রহমান। খান আতাউর রহমানের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি পরিবেশিত হয় খান আতা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যানারে।[৩] মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের পরের সময়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই ছায়াছবিতে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুচরিতা, ফারুক, আলীরাজ, ববিতা, খান আসিফ আগুন প্রমুখ। এই চলচ্চিত্রের জন্য খান আতাউর রহমান ২২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন।
এখনো অনেক রাত | |
---|---|
পরিচালক | খান আতাউর রহমান |
প্রযোজক | খান আতাউর রহমান |
চিত্রনাট্যকার | খান আতাউর রহমান |
কাহিনিকার | খান আতাউর রহমান |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | খান আতাউর রহমান |
চিত্রগ্রাহক | আখতার হোসেন |
সম্পাদক | মনির হোসেন আবুল |
পরিবেশক | খান আতা প্রাইভেট লিমিটেড |
মুক্তি | ১২ ডিসেম্বর ১৯৯৭[১] |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
কাহিনী সংক্ষেপসম্পাদনা
১৯৭১ সাল। দেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। জাহেদ, কামাল, সাব্বিররা যুদ্ধে গেছে। সেখানে তারা যুদ্ধের বিভিষিকা দেখে আতংকিত হয়। যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে সবাই কিন্তু সব কিছুতেই রয়ে যায় অপূর্ণতা। যুদ্ধের বিশ বছর পর নিতি জাহেদকে পাবনায় পাগলাগারদে আবিষ্কার করে। যে সেখানে থেকে থেকে চিৎকার করে উঠে। যুদ্ধ শেষ হলে আমরা স্বাধীনতা কতটুকু উপলব্ধি করতে পারছি।
কুশীলবসম্পাদনা
- সুচরিতা - ডাঃ নিতি চৌধুরী
- ফারুক - জাহেদ
- আলীরাজ - কামাল
- ববিতা - বাঁধন
- খান আসিফ আগুন - সাব্বির
- বুলবুল আহমেদ - নিতির বাবা
- শর্মিলী আহমেদ - নিতির মা
- খান আতাউর রহমান - কামালের বাবা
- ইনাম আহমেদ - মাতবর
- হারুনুর রশিদ - শহীদ
- ফাল্গুনী আহমেদ
- শামসুদ্দিন কায়েস
- নাজমুল হুদা বাচ্চু - মনু চাচা
- আনিসুর রহমান
- মজিদ বঙ্গবাসী
- বাবর
- রফিকুল্লাহ সেলিম
নির্মাণসম্পাদনা
খান আতাউর রহমান ছায়াছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখে নির্মাণ কাজ শুরু করেন ১৯৯৪ সালে। ছায়াছবিটির শ্যুটিং হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা ও পাবনা মানসিক হাসপাতালে। ১৯৯৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষে সেন্সরের জন্য আবেদন করা হয়। সেন্সর বোর্ড ছায়াছবিটির ৭টি দৃশ্য বাদ দিতে বলায় পরিচালক খান আতাউর রহমান ক্ষুদ্ধ হন।[৪]
মুক্তিসম্পাদনা
এখনো অনেক রাত ১৯৯৭ সালের ১২ ডিসেম্বরে খান আতার মৃত্যুর পর মুক্তি পায়।[৫]
সঙ্গীতসম্পাদনা
এখনো অনেক রাত ছায়াছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন খান আতাউর রহমান। গীত রচনা করেছেন খান আতাউর রহমান।[৬] গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খান আসিফ আগুন, রুমানা ইসলাম ও দিপ্তি রাজবংশী।[৭]
পুরস্কারসম্পাদনা
২২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক - খান আতাউর রহমান
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ গীতিকার - খান আতাউর রহমান
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Movie List 1997"। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "স্মরণ : খান আতাউর রহমান"। দৈনিক নয়া দিগন্ত। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "অমর প্রতিকৃতি- খান আতাউর রহমান"। দৈনিক সংবাদ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "খান আতা স্মরণে সভা"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ডিসেম্বর ২, ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ বিনোদন প্রতিবেদক (ডিসেম্বর ১, ২০১৫)। "খান আতা: প্রস্থানের ১৮ বছর"। বাংলা ট্রিবিউন। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "গান-চলচ্চিত্রের আইকন"। বাংলানিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ জয়ন্ত সাহা (১০ ডিসেম্বর ২০১৩)। "বাবার স্মৃতিচারণায় আগুন ও রোমানা"। বিডিনিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে এখনো অনেক রাত (ইংরেজি)